দহন-তাপে তাড়িত বাষ্প-কণার একটি শরণার্থী বহর
উদ্বাস্তু কুয়াশার সামিয়ানায় আবৃত হয়ে
বুকের খাঁচাটি ঘিরে অভিনিবাস খুঁজছিল।
নর্থ-কেপের সুমেরীয় আবেগের জল-হাওয়ার প্রভাবে
সহসাই ওরা মেঘের উপনিবেশে ব্যাপৃত হ’ল।


অসহায় আমি নিরুপায় ছিলাম –
পারি নি ওদের বাধা দিতে কিংবা
ধমকে থামিয়ে দিতে, কেন না -
‘মানুষ’ না হয়েও যে মানবীয় আত্মা ধরেছি
বুকের ওই ভাঙা খাঁচাটি ভরে!


জোর করে থামিয়ে দিতে চাওয়া হৃদয়ের কিছুটা উষ্ণতা
তবু সংযমের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতেই
ওরা বৃষ্টি ধারায় বইতে শুরু করল:
আর, প্রলয় শ্রাবণ ঝঞ্ঝায় এলোমেলো মেঘপুঞ্জ
আকাশ প্রাঙ্গনটি কাপাসে ঢেকে দিল।


জলপরীর পাখনা বেয়ে ঝরে পড়া সে ধারার নহর
পর্বত শিখর ছুঁয়ে শৈলমালার অবগাহন শেষে
গিরিদরীতে মিশে নদী হয়ে সাগর সকাশে ধাবিত হ’ল।
তখনো আমি নিরূপায়, কেন না –
প্রতীতিতে আমার অবস্থান ছিল একটি জলছাপ মাত্র।