ধরণীর এই পথে পথে কুড়াই প্রীতির ফুলগুলি
সোহাগ প্রীতির ধুলো গায়ে ভরি প্রাণের অঞ্জলি।
ফুল? সে তো পাঁপড়ি কেবল দল মেলা কলি
কী দাম আছে তার যদি প্রলুব্ধ না হয় অলি!

জীবনের শতকথা, কত স্মৃতি ভোলা যায় না
মন ফুঁড়ে কখনো বা জেগে উঠে ঘষা আয়না
শুধু-শুধুই চায় যে মন, তার পানেতে তাকায়
যখন তখন কাব্য ঘোড়া সেই মাঠেতে হাঁকায়।

হৃদয় ছুঁয়ে দেখতে, ইচ্ছে করে মুখোমুখি বসার
পায়রা ঠোঁটের অরূপবাণীর গড়তে কাব্য কথার।
কার অধরের মুদ্রা দেখেই ভাবনা জাগে মনে
লাখো ভ্রমর পাখনা মেলে কী সে নেশার টানে?

অযুত শুক্র ছেনে জন্মে যেমন একটি জীবন ভ্রুণ
আবেগের বাসর ফুঁড়ে হয় রচিত প্রীত-প্রণয় তুণ।
জীবন তো মানে না হার, কোনই পরাভব
ঝঞ্ঝাবাতেও যায় করে সে স্বপ্নের অনুভব।


কথা রাখা, সে তো শুধু ‘কথার কথা’ই নয়
মনের কথাটি বলতে তবু কত না ভুল হয়?
প্রণয়েতে কিছু ভুল যদি হয় মন দিতে নিতে
ভুল মুছে প্রীতিটুকু জেগে থাক জীবন রীতে।
জীবনের বাঁকে খুঁজে নাও অমৃত পরিমল
যাপনের জীবন হয়ে উঠুক সুখী অবিরল।