কুবেরের হাতে বন্দী তুমি-
স্বেচ্ছাচারী আমার স্বাধীনতা;
গোল করোনা, সবার আগে
তোমায় অধীন দেখতে চাই।
স্বাধীন হাওয়ায় মুক্ত স্বদেশ
স্বরাজ আমার অবাধ ভূমি,
গুণ গরিমা কম হলেও
তৃষ্ণা আমার মিটে কমই।


দিয়েছো আমায় স্বাধীনতা অবিরত
ভোগ-দখল আর স্বেচ্ছাচারীর অধিকার।
দেখো না তাই; অবাধ স্বাধীন কত -
তোমার হাতে রইল কি আর বাকী?
তাই দেখে নাও আমায় তুমি -
যা খুশী তা’ই করতে পারি,
নির্বিবাদে শোষতে পারি
নিই সকলই আপন করে, দখলে যা’ পাই।


সত্য ন্যায়ের পথ বুঝি না
বিচার বিবেক তাই বেচে খাই ।
আবার, নাওয়ে’র পালে লাগলে হাওয়া
’ন্যায়পাল’ তো বনেই যাই!
মহৎ নীতির খোলস আছে, আরো আছে
মন ভোলানো সত্য কথার ঝুড়ি(!)
স্বার্থে আঘাত লাগলে আমি
কাউকে দেখো; থোড়াই কেয়ার করি।


স্বাধীন যখন দু’হাত আমার
আছে মন জুড়া সব সাধ আহ্লাদ -
সবই নিজের আপন ভেবে
দু’হাত ভরে নিই যে তুলে।
তুমি স্বাধীন, আমিও স্বাধীন
কেউ কভু নই কারো অধীন
আগ্রাসী তাই করে আমায় ভোগবিলাসের নেশা
আসমুদ্র ক্ষুধা আছে, কেবল প্রবল তৃষা।


- - - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৩৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।