স্মৃতির ডালিতে আছে নস্টালজিক তাড়ণা
সুমধুর স্মৃতি ভাসায় কখনো সুখের বাসরে
পুরাতনে পাই সুখ, পাঁজি ঘেঁটে খুঁজি বেদনা।
সকরুণ স্মৃতিকণা করে স্নান বেদনার পুকুরে।


কোথা সে চোখ আজ কোথা সেই প্রাণ
একদা যে চোখ হেসেছিল হেমন্তের ধানে
কোথা সে স্মৃতির রেখা আজো অমলিন
চিত্ত ফুঁড়ে গেয়ে ওঠা কিষাণের গানে!


আজো কি তা অপরূপ শিশিরের ঘামে
আধো-হিমে গুণ্ঠিতা, জাগে নবান্ন উৎসবে?
চম্পাবতী পালাগানে আনন্দ বাদল নামে
লাজ-ভীরু পায়ে নিশি হরষে জেগে রবে।


শিশির পাতায় ভোলে স্মৃতি শরৎ প্রভাত
ঋতুরাজের অগ্রজ তিথি চেতনা জাগালো
হৈমন্তীর প্রিয় অনুরাগে ভেসে যায় রাত
পাতার মর্মরে রঙিন ঊষা উন্মন হলো।


নিশিভোরে প্রশান্তিকা শরতের শারদ টিকা
অধরে পরেছো টিপ অরুণের রক্তিম শোভা
শিশির পরশে হলে সত শুভ্র শেফালিকা
মোহিনী হাসিতে ছড়াও জাফরানী আভা।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭০) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।