সময়ের বাওকুড়ানি ভাসিয়ে নেয়
অনন্তে আঁকা স্বর্গখানা আমার;
বিস্তীর্ণ জলরাশির সাজানো প্রান্তরে
ইতস্ততঃ ইতি-উতি পানা, দামি ভাবনার আবাসনী ঘোর,
সারল্য প্রান্তরে ভেসে যায় অনিমেষ লয়ে
আমি কি ওদেরই মতো?


যে প্রদীপ জ্বালাতে চেয়েছি জীবনে নিয়ত,
পারিনি; ভাসিয়েছি বানে, নিভিয়েছি শত।


কৃতযুগের যুধিষ্ঠির আমি, হালের ভৈরবী;
জ্বলেছি মিটিমিটি মাটির প্রদীপে
পারিনি আনতে প্লাবন আলোর প্রজ্জ্বলনে।
পার্থিব অভিধায় আমি এক ‘যশোরে কৈ’
কিংবা সুপটু পানকৌড়ির চঞ্চু আঁটা
অসহায় মৌরেলা মীন!


ভ্রম স্বপ্নের এত মাতামাতি সত্য হলে কী উপায়?
মনোঘরে জমা সে সুখের কথা; বল তা কারে জানাই?


এঁকেছি দু’চোখে সোনালি কাজল
তাতেও অধরা প্রভা যায় না দেখা
নিত্য বিরহে নিত্য আঁখিলোড় আনত পাতায়
জাগায় প্রাণেতে ব্যাথা – বেদনা বিধুর।
জেগেছে ব্যথার পাহাড়, কাঁপে নিভু নিভু -
আজো জেগে রয় অজানা অন্তরালে।


- - - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৪১) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।