সময়ের কালস্রোতে বার বেলা যায় বয়ে
কালের নাতি-পুতি; প্রহর দণ্ড পল
আহ্নিক আবর্তে ঘুরে সকাল বিকাল
যাম তিথি মাস কাল বরষের অবচয়ে।


নিরামিষী অতিভোজের খুচরো সময়
ঊষার আবেশে ভোর, দিবাশেষে রাত্রি দীঘল
নিযুত ঘটনারাশি তবু তো সে থাকে অবিচল
কালের আবর্তে সকলের ঘটছে বিলয়।


নিয়ত এ ভব-মেলা, সুখ দুঃখ হাসি খেলা
কে কাঁদে কষ্টে শোকে, কার বেলা দুঃখে ভাসে
আঁখিপাত করে না সে; কী প্রসন্নে কে-বা হাসে
তার কাজ বয়ে চলা, সুখ দুঃখ পায়ে দলা।


দণ্ড প্রহর পল বিনা, মহাকাল রয় অচেনা
কালের অণুপলে একদা ছিলাম আমি
এ ভব-সংসারে নিয়ত গিয়েছি ভ্রমি
একদা থাকব না, সেও তার নয় ভাবনা।


কত যজ্ঞ ধরণী ‘পরে প্রতিদিনই হয়
আছি কি-বা মরি বাঁচি, কিছুতেই নেই ক্ষতি
থামবে না ফুরাবে না দণ্ড পলের গতি
কারো তরে পিছু ফিরে তাকাবারও নয়।


গত হলে এই আজ তা-ই হবে গতকাল
শ্বাসে নিঃস্বাসে তাই খুঁজি বাঁচার প্রেরণা
গ্রহণে বর্জনে আনি জীবনের প্রণোদনা
এভাবেই শ্বাসগুলো হয়ে যাবে মহাকাল।
নিযুত ঘটনারাশি তবুও সে থাকে অবিচল।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭৭) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।