২০০৩ থেকে ২০২০। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার তন্তুতে বোনা এই বই। কী লিখেছি আর কেন লিখেছি, দুটোর উত্তর সম্ভবত একই- প্রয়োজন। আমার কাছে কবিতা মানে চলতি পথে হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়া জুতো মেরামতের তাগিদ। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোনো স্নিগ্ধ রমণীর হৃদয় থেকে ভেসে আসা মাতাল সুবাস। প্রচণ্ড আঘাতের পর সব অশ্রু, সব ব্যথা শুষে নেয়া মায়ের আঁচল। ক্রীতদাসের মতো খেটে যাওয়া বেচারা বাবার শূন্য চোখে আশার ঝিলিক। কথা যেখানে শেষ, ভাষা যেখানে স্তব্ধ- কবিতা সেখানে নির্ঘুম ট্রেনের হুইসেল। দূর থেকে ফসলের দানা বয়ে নিয়ে আসা মহান পাখির ঠোঁট।  কবিতা আঙুল চুষতে চুষতে স্বর্গীয় শিশুর কী মনে করে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠা!
কবিতা তো শোষণের বিরুদ্ধে সাহসী গর্জন। বর্বরতাকে রুখে দেয়ার স্পর্ধা। আমি কবিতায় আমাদের অধিকারের কথা বলি। মানব জন্মের মর্যাদার কথা বলি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কথা বলি। যে ছাতাটা মেলে ধরা হয় রোদের প্রখরতায়, বৃষ্টিতে যাকে বারবার ভেজাই প্রয়োজনে- কবিতা সেই নার্সের বুকে নিরহংকার নেমপ্লেট। কবিতার কোনো শালীনতা কিংবা অশ্লীলতা নেই। কবিতা যুদ্ধশেষে জয়ের আনন্দ নিয়ে ফিরে আসা সৈনিকের পায়ে পিষ্ট ঘাসফুল দেখে মন খারাপ হয়ে যাওয়া পরাজয়। কবিতা অনন্ত দ্রোহ, অনেকটা বিরহ। কবিতা একটু প্রেম, পূর্ণাঙ্গ নিঃসঙ্গতা। কবিতা ‘অর্ধেক অনল বাকিটা বিষাদ’।
- (ভূমিকা থেকে)


কাব্যগ্রন্থ: অর্ধেক অনল বাকিটা বিষাদ
লেখক: সাদিক সাকলায়েন
প্রকাশনী: ঘাসফুল
প্রচ্ছদ: শামীম আরেফীন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
প্রাপ্তিস্থান: অমর একুশে বইমেলা ২০২১, স্টল নম্বর ২২৯
অনলাইন পরিবেশক: রকমারি ডটকম