অলি গলি ধরি চলিয়াছে মন,
মত্ত নিজের খেয়ালে।
রিক্ত হইবে ভূষণ খুলিয়া।
তারি পথ আয়ু রাখিছে রুধিয়া।
শেষ খেয়া টাও যাইবে ছাড়িয়া,
নিশি টুকু বাকি ফুরালে।


একা বসে ভাবে ওই দেখা যায়
আলোক বিন্দু সুদূরে।
আছে কি সেথায় ক্ষণিক শান্তি?
মুক্তি পাবে কি পথের ক্লান্তি?
পাবে ক্ষমা সব অতীত ভ্রান্তি?
অনিশ্চিতের দুয়ারে?


এই ভেবে ভেবে শুধু ছুটে চলা,
দিবস-রাত্রি নেশায় একেলা,
সব কিছু ছেড়ে,সমস্ত ভুলে,
খুচরো ব্যথার দোকানে।


দোকানের ভীড় দেখি চমকায়।
সব ক্রেতা সে যে একই মনে হয়!
নিজ মুখই যেন শত আয়নায়,
ফুটিয়া উঠিছে সরবে।


পাগল পরাণ ভয়ে সরে আসে।
কি জানি কি বাকি দেখিবার আছে!
যত কথা ছিল মাথার আকাশে,
দূরে সরে যায় নীরবে।


তবে কি এ চলা দিগন্ত ছুঁতে
মিছিমিছি চলা হলো!
আপনার ছায়া মিছে ধাওয়া করে
অহেতুক বেলা হলো!


কত কোলাহল,কত কলরব!
নিজের ভিতরে নিজেরই যে শব,
বয়ে বয়ে বড় ক্লান্ত আজিকে,
'খেলা ভাঙিবার খেলা'-
এসেছে সময় কথা ডুবিবার।
'আয়না বদলে মুখ মুছিবার'।
মনের পুকুরে ছবি ফুটিবার।
মেঘে মেঘে হ'লো বেলা।


             _______


(আয়না বদলে মুখ মুছিবার লাইন টা চলে এলো একটা খুব পছন্দের লাইন থেকে যা হয়ত মনে কোথাও দারুণ ভাবে গেঁথে ছিল বহু দিন ধরে-
"উম্র ভর গালিব ইয়েহি ভুল করতা রহা,
ধুল চেহরে পে থি ঔর আইনা সাফ করতা রহা")