আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) -এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) -এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:86863202-da69-465a-8639-141bf262272c;id=4452024-03-19T04:58:08Zhttps://www.bangla-kobita.com/orbachin/birbie-house/বার্বি হাউজ2019-09-05T21:17:24-04:002023-06-25T18:22:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মোলায়েম ত্বকের ওপর ঘরবাড়ি, গাছপালা, কোলাহল<br />বিশৃঙ্খল ভূমিখণ্ড গল্প শুনতে পুনরায় বসে<br />পান-সুপুরি-দোক্তা, হলাহল, মোলায়েম পরচর্চা।<br />মহামারী দূর হয়ে গেলে ত্বক আরও মোলায়েম হয়<br />গোলাপি আভা, যেকোনো সূর্যকে বাছাই করে আনে। <br />একদৃষ্টির প্রতিমারা দোলনায় দোলে, ঘুমিয়ে যায়। <br />মধ্যরাত্রির টপটপ জলে<br />স্বপ্নেরা, আভারা, অনিদ্রারা, আতঙ্ক গাঢ় হয়।<br />তুলে রাখি উপরে সবার, যেন রিচুয়াল।<br />সারাক্ষণ দোলে আর কখনো কান খাড়া করে কি শোনে <br />প্রতিবেশীর বিপরীত খেয়াল, তবু পারস্পারিক শুশ্রূষায় দিন যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/udasiner-makeup-box/উদাসীনের মেকআপ বক্স 2019-01-31T12:04:41-05:002023-06-25T18:34:07-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>অর্ধেক চাঁদেই তো হয়ে যেত, বাকি অর্ধেক না হয় ঘুমোত, জিরিয়ে নিত। আগে থেকে আমিই তো পাহারায় । কিছু ইজেল ইতস্তত ওড়াওড়ি করে বেড়াচ্ছে। ক্যানভাস নেই, সবার বুকে ক্রুশবিদ্ধ কাকতাড়ুয়ারা আছে। <br />শান্ত মৃগয়া। ধনুকভাঙা পণ।অথচ, ফলাহীন কুঠারাদি।<br />লিটল হাউজ ইন দ্য বিগ উডস। <br />মাতৃগর্ভ নয়, ফিরে ফিরে আসছে আঁতুরের স্মৃতি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/moslinshite/মসলিন শীতে 2019-01-09T06:43:33-05:002023-06-25T18:23:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমি এবং আমার দ্বৈততা, একসাথে মিলেমিশে একটা শীতপোশাক ভর্তি ট্রাংকে সারা বছর ঘুমিয়ে থাকি, ন্যাপথলিনের গানে। চৌকো বাসস্থানে, বিরোধের স্তরবিন্যাস। সেখানে, একাকী, নিঃসঙ্গ এক নির্জনতা ঈর্ষান্বিত হয়ে অন্য দুই নির্জনতাকে এক হতে দিচ্ছে না।<br />সবাইকে সাথে নিয়ে, এক সময় বেরিয়ে পড়ি শীতপৃথিবীতে। হিমবাহে, হিমাঙ্কের বাসনায়, নিজ নিজ আকৃতির কোমল তুষারদানব হয়ে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/tokhoni/তখনই 2018-10-12T15:00:29-04:002023-06-25T18:34:07-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি, তখনো রয়ে গেছে কিছু পুরোনো মানচিত্র। পুরোনো সীমানা, তারও অধিক পুরোনো সমুদ্র। তখনো, পুড়ে যাওয়া মোমের অবশেষ, ফুলশয্যার গোপন কালি। সোনালি আলো কমে আসছে, নিভে যাওয়ার আগে দেখে নিই যতোটা পারি। ল্যাম্পপোস্টকে মনে হয়ে ঝুঁকে থাকা প্রাজ্ঞ কোন বয়োঃবৃদ্ধ। আবছা আলোর ফুলগাছগুলো লুকিয়ে ফেলছে নিজ নিজ ফুল, নিজ নিজ জগদ্ধাত্রী। তার মধ্যেই তড়িঘড়ি আয়োজন, কর্পূর-নিশাদল দর্শকের সারি। তোমারও লাগিয়া তখনই বন্ধু বেঁধেছিনু অঞ্জলি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/sara/সাড়া 2018-09-26T11:48:42-04:002023-06-25T18:34:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কিছু মধ্যস্থতাকারী পাথর।<br />তারপর ঠায় বসে থাকা<br />পাথরেরই মতো।</p>
<br /><p>অর্ধপঠিত গল্পে<br />এলিয়ে শুয়ে থাকা। <br />টানেলে গড়িয়ে পড়ার সাধ<br />গল্পেরই মতো।</p>
<br /><p>ভূতের চোখ, ভূতের হাত। <br />ভাবছি ভূতকে দেব উপহার<br />তার পছন্দসই পোশাক।<br />তারপরে বিদায় অভিশাপ, <br />ভূতেরই মতো। </p>
<br /><p>কলিংবেল থামে। <br />তুমি ঘরে ঢুকে যাও-<br />তবু তুমি বাজতে থাকো<br />ঘরে-বাইরে কেউ-ই নেই। <br />তবু তুমি বাজাতে থাকো<br />অন্তর্গত কলিংবেল যতো।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/judgement/জাজমেন্ট 2018-08-25T19:03:51-04:002023-06-25T18:23:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বনভোজনের ঠিক বিপরীতেই<br />বনভোজনের দর্শক। যদিও ক্ষুধাহীন-<br />তারা শাশ্বত। তারা দেখে রাখছে।<br />কক্ষপথের হেরফের,<br />আবহমান, স্থির, কৌতুকময় চোখে<br />ফের মেরামত হয়ে যাচ্ছে।</p>
<br /><p>লারেলাপ্পা, লারেলাপ্পা।</p>
<br /><p>গ্রহগুলো দিয়ে পামিং দেখাচ্ছে<br />অন্য বাস্তবতার জাদুকর।<br />তার বিপরীতেই জাদুর দর্শক।<br />যারা স্থানীয়, প্রাগৈতিহাসিক।<br />যারা বনভোজন দর্শনের ধারাবাহিক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/shobgondho/শবগন্ধ2018-04-30T06:08:30-04:002023-06-25T18:34:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>জোনাকিপোকা ঘিরে আছে, এমন কয়েকটা ঝোপের মাঝখানে তুমি বসে আছো। আজ তুমি তাদের দ্বারা পরিবৃত হয়ে চাঁদের আলোয়, তাদেরই শোনাবে কবিতা। ভাষিক দূরত্ব পার হতে চেষ্টা করবে, নিজস্ব ডায়ালেক্টে। অবাধ্য জোনাকিদের,যাদের পাখার ইতস্তত খসখসানি তোমার কান অবধি গেল, শেষরাতের দিকে তাদের আঙুলে পিষে দিলে। মরা আলোর গন্ধ আঙুলে নিয়ে ফিরছ যখন, সংশোধনবাদী জোনাকিদল নিয়ম ভেঙে তোমাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যর্থ বিপ্লব পরবর্তী অধুনা শ্লোগানে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/reply/রিপ্লাই2018-03-21T12:37:44-04:002023-06-25T18:34:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শত্রুর নিন্দা করার সময়কালে যদি সে এসে পড়ে নিন্দাঘরে, তবে তারও পরমায়ু বাড়ে। কীভাবে যেন রটে যায় সমাচার, গায়েবি ঢংয়ে। যার কথাই ভাবা হলো, পেয়ে গেল আভাস। সেন্স অফ রিউমার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আয়ু উদ্ধারকাজে পাঠিয়ে দিল যার যার ছায়া। <br />এমনই একটি ছায়া এসে চুপি চুপি বলছে, যেন তার আগমনের চেয়েও গোপন কোন কথা।<br />বলছে,' আয়ু আসলে বাড়াতে চায় না সে। আমি হলাম অবচেতনের আরও একশো ছায়ার একটা। সুতরাং,পূর্বের বরাদ্দকৃত আয়ুই তাকে দিক ছায়া। ' <br />'আর তুমি? তোমার কি হবে মাননীয় গুপ্তচর ছায়া? '<br />'একটুক্ষণ আলো ফেলে গুম করে দাও। '</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/eleven-oclock/ইলেভেন ও'ক্লক 2018-03-16T07:54:08-04:002023-06-25T18:23:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ট্রামলাইন থেকে সরিয়ে নিই<br />পোশাকসমেত নিজেকে।<br />এসে বসি টাইমলাইনে -<br />কাঁটাতার আর ব্যারিকেড,<br />হাসি আর পিপাসা,<br />লোগোতে রাগ আর ভালো লাগা। <br />ঘুমের ভেতরেই ঘোরাফেরা। <br />টেবিলে ঢাকা আহার, <br />ভূতগ্রস্ত হয়ে শুধু দেখে যায় <br />হিজিবিজি জংশন। পাশাপাশি <br />চিরাচরিত নগ্ন ট্রামলাইন আর<br />দ্বিধাগ্রস্ত টাইমলাইনের শুয়ে পড়া।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/outerlook/আউটার লুক 2018-03-05T04:01:32-05:002023-06-25T18:23:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ফনফনিয়ে বেড়ে উঠছে শাখা<br />অনিশ্চিত, অথচ উর্ধ্বপানে।<br />পরিচর্যায় ত্বরান্বিত হয় কিছুটা বেড়ে ওঠা<br />তবু একাকীও, অলস রূপকথা সে শোনে না। <br />গুল্মের প্রকার তার নিজের কাছেই অজানা<br />তবু একটা পরিচয়পত্র, পল্লবে বর্ধিষ্ণু।<br />নিজের কাছেই রেখে দিয়ে সবকিছু - <br />ছুঁড়ে দিচ্ছে বাতাসের ডাম্বেল<br />প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের বসন্তে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/anniversary/এনিভার্সারি2018-02-20T08:05:29-05:002023-06-25T18:22:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ফণা তুলেই যে সাপ মমি হয়ে গেল<br />কোন গূঢ়ার্থ জানতে চেও না তার কাছে।<br />তোমাদের ধূলোই আজ প্রকৃত পরিব্রাজক,<br />বালির বাধ, জেনো, আজ যা সম্ভাবনা,<br />কাল কিংবা তার পরের অগণিত দিনেও তা শুধু<br />শুয়ে থাকা বয়েসী পদচিহ্ন।<br />মহাপ্লাবনের পরে শুধু নয়,<br />ভেসে যাওয়ার সময়ও, সব শান্ত ছিল।<br />গোছানো ট্রাভেল ব্যাগের গ্রেভইয়ার্ড ছিল -<br />আমি দ্বাররক্ষী, আর তুমি ছিলে।<br />সবার জন্য একই শোক, একই এপিটাফ<br />সার্বজনীন কান্নার জন্য কোথাও কাউকে খুঁজছে সবাই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/biroti/বিরতি2018-02-12T13:56:57-05:002023-06-25T18:22:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>গুনগুন স্বরের একটা লাজুক গানের ভেতরে বসে থাকে একটা তক্ষক।<br />আশানুরূপ রঙে সজ্জিত হয়ে এসে পড়ে কাঠঠোকরা, <br />বন্ধুত্বসুলভ কথোপকথনের আড়ালে চলতে থাকে ধ্বংসযজ্ঞ<br />অস্থায়ী থেকে অন্তরা<br />শিরোনাম হয়ে যায় অতীব পাকাফল<br />খসে পড়ে শুয়ে থাকে, মাদুরের মতো।<br />বিশ্রামের জন্য ডাকে বন্ধুদের, ডাকে আনাড়ি সঙ্গীতবোদ্ধাদের।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/safety/সেফটি2018-02-10T15:51:35-05:002023-06-26T06:22:56-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শীতপোশাকের সাথে বিচ্ছেদ এড়াতে পারো না <br />তাই সারা বছর শুয়ে থাকো তুমিও, গহীন ট্রাংকে। <br />নাড়া খেয়ে ওঠো বিলীয়মান কুয়াশার স্মৃতিশব্দে<br />গলা জড়িয়ে ধরে থাকো ভাঁজ করা কার্ডিগানের - <br />একটা গলন্ত শিশু তুষারমানব নিভৃতে এসে ঢোকে ট্রাংকে<br />সেই কচি হাতখানিতে সুঁই-সুতো ধরিয়ে দিয়ে<br />তুমিও একদিন একটা সবুজ বোতামের কার্ডিগান হয়ে গেলে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/navochari/নভোচারী 2018-01-27T06:07:05-05:002023-06-25T18:23:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>তখন প্রহরী নেয় না কোন বাড়তি সতর্কতা<br />প্রবেশমাত্রই ঘিরে ফেলে চাক চাক মৌমাছি<br />সিঁড়িতে মজুদ জংলি লতাপাতা<br />শরীরের শ্যাওলা শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে<br />স্তরীভূত রক্ত ফুটে ওঠে কোমল দেয়ালে<br />বিশ্রামের অনেকদূর অবধি গড়িয়ে যাই<br />জখমী বিছানা ভেসে ওঠে শূন্যে।<br />হাতছাড়া বারবি ডল, টাটা দিচ্ছে নাগালের বাইরে<br />উপোসী কাঠিন্যে, বেশভূষা তখন ডিনারের।</p>
<br /><p>সাবধানবশতঃ আরও আরও শীতপোশাক মজুদের ব্যস্ততায়<br />সমস্ত খিলের আড়াল হারিয়ে ফেলেছি, <br />দৌড়ে ছুটে বেড়ানো, অব্যস্ততায় -<br />কোন কোন শুয়ে থাকা ঘুড়িকেও, তাৎক্ষণিক উড়িয়ে দিয়েছি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/ugdhjgff/মাকড়শার জাল2018-01-04T15:42:52-05:002023-06-25T18:34:07-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ঝরা পাতারা ঝুলে আছে শূন্যে। তাদের ব্যাপ্তি নভোমণ্ডল ছাড়িয়ে আরও কিছুটা। রোদের গান আর অব্যর্থ চশমার উঁকিতে দেখো মিইয়ে গলে যাচ্ছে সব। স্বপ্নের ক্লিপবোর্ড, আরও গহীনে ঢোকার পিন কোড, নিভন্ত শরীরে একটানা চলতে থাকা টিকটিক আওয়াজ, সতর্কবাণীর মতো ঝিঁঝিঁপোকার উড়ন্ত রাজ্য - তোমাকে গোপনে শুনিয়ে দিচ্ছে অন্তরালের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। পুরনো কার্পেটের দাগ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রসরমান আলোকধারী, ফিরে আসছে। পড়ে থাকছে করুণ মশালচিহ্ন।<br />বাহিরের পথ জুড়ে ধাঁধা, অন্ত্যমিলের। সুড়ঙ্গ আর নিদ্রাধারী মুকুটের ভেতরে ফেলে এসেছ মীমাংসা। বসো এখানে বিশ্রামে। যেমন বিশ্রামে অনন্ত জিজ্ঞাসার রাজকীয় ফটক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/basehospital/বেস হাসপাতাল 2017-12-21T12:26:19-05:002023-06-25T18:22:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>খুব সতর্কভাবে আসন্নপ্রসবার পায়ের ধ্বনি শোন। মৃত মাঠের পুরোটা একটুক্ষণের জন্য বেঁচে উঠছে, করে দিচ্ছে স্থান। পতিত আকাশের কিছুটা অংশ আছে পাহাড়ায়। এক বিছানা থেকে সারি সারি সাদার দিকে শেষ বিছানা অবধি দৌড়ে যাচ্ছে উদ্বিগ্ন জোকার। পরিচ্ছন্ন, শুকনো, কর্তিত অঙ্গগুলো জ্যোৎস্নার সাথে মিলে তৈরি করেছে মনোমুগ্ধকর ভাগার। <br />শেষরাতে ঘুম ভেঙে গেলে পুনরায় ঘুমের আয়োজন করে নি কেউ। নিজ নিজ স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে নেমে আসছে মাঠে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছে পোর্টেবল সাইনবোর্ড। <br />এরপরে যারাই আসছে, উপশম হিসেবে পাচ্ছে শুধু কিছু শয্যাচিহ্ন, আর নিঃশ্বাসের দাগ।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/bondi/বন্দী2017-12-14T07:11:29-05:002023-06-25T18:22:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ছেলেধরার কাছে স্বেচ্ছায় চলে যাবো, ভাবতেই - <br />তার থলে থেকে বেরিয়ে পড়ে নিরীহ বিড়াল,<br />আর কিছু নেই। আমার দেখা শেষ হলে<br />শৃঙ্খলা মেনে তারা আবার ঢুকে পড়ে থলের ভেতর, ওমে।<br />এই পরিণত শীতে চুপিসারে ভেতরে বাস করে যে মেয়েটা-<br />আনমনে চাপায় লাইট গ্রীন একটা কার্ডিগান।<br />হাঁটতে হাঁটতে যখন মনে পড়ে ফেরার কথা<br />ভয়ের ঢালাইয়ে পুরো রাস্তা সয়লাব হলে, পা পড়ে।<br />ছেলে হতে হতে ফিরে আসে আবার, অভিমান হয়<br />নিজের দেশে, শীতের পিঠা খাচ্ছে, স্বার্থপর ছেলেধরা।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/jodioconfession/যদিও কনফেশন2017-12-10T14:20:28-05:002023-06-25T18:23:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>যে পথে কালো পিচের মতো সন্ধ্যা ধেয়ে ধেয়ে আসে, তার কাছে বন্ধক রেখেছি সমস্ত গোপন বাসনা, ইদানিংকালে বাড়তি নিদ্রাটুকুও। ফলশ্রুতিতে, হয়ে উঠেছি সবুজ মাঠের মাঝখানের সাদামাটা অথচ দৃঢ় এক রহস্যহীন গাছ। বৃক্ষসমাজেও ড্রাকুলার প্রজাতি আছে, দিনের বেলা কফিনের বন্দোবস্ত করতে না পেরে যারা পরে নেয় পাতার মুখোশ।<br />আর এই বহুবর্ষজীবীর হাওয়া যার গায়ে লাগে, সে-ই হয়ে ওঠে উদ্যানের নিয়মিত বিশ্রামগ্রহীতা। শ্বদন্তের জাদুঘরে প্রকৃতপক্ষে দেখার কিছুই নেই। যেকোনো পরিক্রমা শেষ হলে, বর্তমান দাঁড়িয়ে থাকে নাকের ডগায়।<br />উল্লেখযোগ্য আরও আরও প্রজাতি নিয়েই এখন আমার বসতি।<br />প্রোথিত শিকড়ের ঝাঁঝলো গন্ধ আর উর্বরতার পরীক্ষা হয়ে যাক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/periscop/পেরিস্কোপ2017-11-20T07:03:31-05:002023-06-25T18:23:07-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ধূলোর ক্যানভাসে আঙুল দিয়ে টেনে টেনে যে ছবিটা দাঁড় করানো হলো, তা মূলত একটা ঠোঙ্গার মতোন চাঁদ। ধূলোর ক্যানভাস আর কুয়াশার ক্যানভাসের পার্থক্য হলো আর্দ্রতা। হোয়েন দ্য ফগ ইজ মিসিং, নাথিং স্টেজ অন দ্য গ্লাস।<br />গায়ের মাপ, জুতোর মাপ ভুলে গিয়ে পরে আছ উদ্ভট জুতো আর জামাকাপড়। পাহাড় আরোহণের পরিশ্রম বাঁচাতে ছোট্ট একটা টিলায় উঠে মুগ্ধতার ভাণ করছ। আর বাতাসে উড়ে গেল প্রথমে তোমার সবগুলো চুল, তারপরে মাথা, ধড়। ছুটছে জোড়া লাগতে, একে অন্যের পিছে। <br />বকছ প্রলাপ, অথচ শোনাচ্ছে ইউনিভার্সাল ট্রুথের মতো। মানুষ নিকটে গেলে যে সারস মৃত, সে উড়ে যেতে পারে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/jor/জ্বর তখন শুশ্রূষা 2017-11-18T15:30:07-05:002023-06-25T18:23:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>জ্বরের সাথে পারদের সম্পর্ক, শরীরের নয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওঠানামা, এক সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত। শরীরভর্তি অসহ্য আরামদায়ক কোমল লাভা, শ্বাসের সাথে মিশে মিশে থাকছে কাল্পনিক প্রতিশোধের হলকা।<br />এরপর বৃষ্টি, ভায়োলেট এবং ভেলভেটে মুড়ে পুরো চরাচরে নেমে আসে খণ্ড গল্প, তার বিবিধ পসরা। রাত্রির যেখানে সাদা পাড়, সেখানে দৌড়ে গেলে দেখা দেবে নিরাপত্তাহীনতা। পরিমিত ডোজে চলতে থাকে সমূহ স্বপ্ন। তুমি এক পাশে, জ্বর অন্য বিছানায়। স্বরে স্বরে রচিত হতে থাকে বিলম্বিত আরোগ্যের ইশারা।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/rupkotha/রূপকথা2017-11-17T07:43:01-05:002023-06-25T18:34:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ভয়ের গল্প শুনতে ঠিক ভয় নয়, কেমন সঙ্কোচ হয়। নিদারুণ দানব ভোঁতা কৌশলে জমাতে না পেরে মরচে ধরা গদা পাশে নিয়ে নিরুপায় শুয়ে থাকে। রাজকুমারীর অলংকার তার রুগ্ন দেহ সাপেক্ষে বড় বড়। সোনার কাঠি, রূপোর কাঠি নোংরা বিছানায় শুধু গল্পের সাক্ষী হয়ে পড়ে থাকে।<br />কে আর রাজকুমার, সে এখন অন্য কারও বাহন হয়ে ঘোড়া সেজে ছুটছে।<br />রূপকথা এমনও হয়!</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/angshogrohon/অংশগ্রহণ2017-11-08T14:29:11-05:002023-06-25T18:22:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পুরোনো জলের ঘ্রাণ,<br />একা একা নিতে - <br />হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাই একাই<br />নির্জন ফ্রিসবি খেলার মাঠে।<br />আনাড়ি শিকারির মতো<br />পিটপিটে চোখে তাকাই<br />যদিও তৃণভোজী প্রাণী শুধু নয়<br />লতা বেয়ে ওঠা পোকারাও<br />লেগে আছে মৃত। নিঝুম ঘুমে।<br />যেদিকে মাথা গলিয়ে দিই<br />সেদিকেই দুর্ভেদ্য সবুজাভ বন<br />আর নিরীক্ষাপ্রবণ আয়না - <br />কি যেন নিতে হবে সাথে<br />আর যা ফেলে এসেছি পথে<br />পরিত্যক্ত ক্যাম্পফায়ারের সাথে - <br />এখন শুধুই গতির স্মৃতি<br />পরিপাটি তৈরি করা মাঠে।<br />তুমি ছুঁড়ে দাও ফ্রিসবি<br />আমাকে ভেদ করে চলে যায়<br />বনান্তরে, উষ্ণ সবুজ অন্ধকারে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/stay-dry-today-2/স্টে ড্রাই টুডে - ২ 2017-10-20T10:56:39-04:002023-06-26T16:11:04-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বৃষ্টিকে ইন্টারপ্রেট করতে গিয়ে আমার আর ভেজা হয় না। বাসের ঝাপসা জানালা দিয়ে পিচরাস্তার জমে থাকা নোংরা পানি দেখি। সকালের বৃষ্টিকে বিকেলে ডিকোড করা সম্ভব না। আর প্রতি মুহূর্তেই সিরাজ সাই কানের কাছে বলে যাচ্ছেন, যা হারাইছ, তা তোমার না। <br />সম্ভাবনার খোলা পথগুলো গিয়ে মিশেছে অন্ধকার ম্যানহোলে। আর সেখানেই বোঝা যাচ্ছে যে উভচরের অহংকার আজ আর টিকছে না। ইনটারভ্যাল শেষ হলে দেখো, শহরের সমবেদনা আর আকাশের অগণিত মেঘের অরিগামি, কেউ কাউকে চিনছে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/staydrytoday/স্টে ড্রাই টুডে -১2017-10-13T11:19:22-04:002023-06-26T10:54:50-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সতর্কবাণী, শুভকামনা এবং প্রচ্ছন্ন ঈর্ষা দিয়ে শুরু হচ্ছে সকালের শুভেচ্ছা। বাগানের পরিচর্যাকারী সাবধানী প্রায় সকল মানুষকেই মনে হয়েছে এড়ানোর যোগ্য। চায়ের টেবিলে কেবল চা নিয়েই কথা বলো, সম্ভাবনা নিয়ে নয়। অর্ধেক শহরে বৃষ্টি হচ্ছে, বাকি অর্ধেক বাসনা কিংবা শঙ্কায়। তোমার প্রেমিকার শহরে হয়তো ভ্যান গঘের ছবির উপযোগী রোদ নেমেছে। জেনে নাও গমক্ষেত অবধি সে পৌঁছাতে পেরেছে কিনা। জেনে নাও দুপুরের মেন্যুতে সে জাঙ্ক ফুড খাচ্ছে কিনা। তার বেড়ালকে তুমি পরেও হিংসা করতে পারবে। <br />পুনশ্চ : শেষমেশ পুরো শহরে বিরতি ব্যতিরেকেই বৃষ্টি নামছে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/ektirecipie/একটি রেসিপি এবং পার্শ্ববর্তী খাদ2017-10-12T13:47:12-04:002023-06-27T05:35:24-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>দ্বার খুলে দিলে যাবতীয় সব কেমন অলস ঢুকে পড়ে। পুরাতন টেবিলে উঠে বসে থাকে চাঁদ। নাম না জানা কয়েকটি তারা আনে কিছু মীমাংসাপ্রস্তাব। এর মধ্যেই ঘুমের পাহাড় আরও শক্ত হয়ে ওঠে। স্বর্ণ নেই, ঘুম শুধু -জানার পরে গাঁইতি, শাবল ঝর্ণার স্বছ জলে ধুয়ে রেখে চলে যায় খনিজ সন্ধানীরা। ক্যালেন্ডার হয়ে ওঠে শুধু কিছু সাদা পৃষ্ঠা, যাতে লিখে রাখা যেতে পারে খসড়া ব্যতিরেকেই চিরকালীন ঝুলে থাকার মতো চূড়ান্ত কিছু রাজসিক ইশারা।<br />এই যে উপকরণ, এই যে ব্যঞ্জন, তবু নিজের ঘুমকে তুমি ভোরের এলার্ম অবধিও নিয়ে যেতে পারলে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/borsha/বর্শা 2017-08-14T05:37:28-04:002023-06-25T18:22:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সঙ্গত কারণে এখন বর্ষার শেষ। তারপরেও বাড়তি যা দেখছ, ওগুলো ওয়াইল্ড ড্রিজলিং। তোমাদের যাবতীয় পঞ্জিকা পকেট ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে। যাত্রা নাস্তি।<br />বিশ্বাস করো, সজারুসদৃশ কদমফুলকে আর ভালো লাগে না। আধভেজা কাপড়ে অর্ধেক পথও পেরোই নি। জ্বরের ভয়। আর্দ্রতা বাড়ছে, স্পিড উঠছে না। <br />রাস্তা আটকে দাও। পিচের রাস্তাকে অনেকক্ষণ একা ভিজতে দাও। পারলে তাকে গুগল ম্যাপ থেকেও সরিয়ে দাও।<br />সঙ্গত কারণে, নিয়মিত বর্ষা আসতে অনন্তকাল দেরি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/archokh/আড়চোখ2017-08-11T03:12:22-04:002023-06-25T18:22:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>রোদের পাহারায় দিনের ভেতর ঘুরি।<br />অন্ধকারের করুণায়, জায়গা হয় রাতেও।<br />তোমাদের সার্কাস তাঁবুর চারপাশে -<br />বসিয়ে রেখেছ ডেনজার লোগো।<br />ভিতরে ঘটে যাচ্ছে ম্যাজিক, সংগীত।<br />রূপসীরা আসলে তেমন রূপসী নয় ভেবে,<br />অভ্যন্তরীণ দর্শকদের জন্য আমিও সমব্যথী।<br />কিন্তু ভেতরের কেউ জানে না -<br />কেউ একজন ঢুকতে পারছে না, শো শেষ হচ্ছে।<br />বেরিয়ে যাওয়ার স্রোতে, আমিও মিশে যাই। <br />আমাকে দেখে নিশ্চয়ই ভাবছে সবাই, <br />এই লোকটাও ছিল।<br />মেতে উঠি মুখরোচক আলোচনায়।<br />কীভাবে মুখে রোচে এসব, তাও ভাবি গোপনে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/angurbaganer-hotspot/আঙুরবাগানের হটস্পট2017-08-07T12:50:05-04:002023-06-25T18:22:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>"The future has an ancient heart." <br />― Carlo Levi.</p>
<br /><p>কোনরূপ মদিরতা নয়,<br /> ঐ যে দেখো ঝুলে আছে আঙুর,<br /> যেন এক থোকা দাসত্ব। <br />পুরোনো মদ, পুরোনো পিপে<br />পাশে বসা প্রাচীন নাবিকেরা<br />অপেক্ষার ধীর বাসনাতে নয়,<br />বসে আছে<br />বসেই আছে -<br />শুধুমাত্র পুরোনো হতে হবে বলে।<br />তখন ধূলোরাও এন্টিক,<br />দৃশ্যমান যা কিছুই আছে<br />শুধু একটু স্পর্শের ব্যবধান।<br />আর স্পর্শের বাসনা নিয়ে<br />তুমিও শুরু করো পুরোনো হওয়া।<br />স্পর্শের স্মৃতিরাই কেঁদে চলছে কেবল।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/barti/বাড়তি2017-08-04T18:22:40-04:002023-06-25T18:22:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পুরোনো কথারা ঝরে যাচ্ছে শুকনো পাতার মতো। চকচকে পেন্ডুলাম দুলছে যেন 'না' বোধক ভঙ্গিতে। পুরো বছরের বাইরে থেকে একটা দীর্ঘমেয়াদী কাল্পনিক ঋতু এসে দখল নিচ্ছে সবকিছুর।<br />লিপ ইয়ার জানে না, একটা বাড়তি আধখাওয়া ফলের মতো দিন ছাড়া সে আর কিছুই দিতে পারে নি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/future/ফিউচার 2017-07-22T08:06:57-04:002023-06-25T18:23:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>তুমি ঢেউয়ের মতো ছুটে আসলে আমি বালুতীর সরে যাই সমুদ্র থেকে দূরে। নটিক্যাল মাইল জুড়ে দ্বিধা, আর তখনই পুরো সমুদ্র ঠান্ডায় জমে যায়। টিনএজারদের আইস স্কেটিং, কেউ হঠাৎ পড়ে গেল পাতলা বরফ ভেঙে।<br />শেল্টার নিতে পারো নিমজ্জিত পুরোনো জাহাজে, কিংবা বারবিকিউয়ের আগুনে নিজেই দিতে পারো ঝাঁপ। ভাবতে পারো পৃষ্ঠে নরোম শাদা ফোম নিয়ে পুরো সমুদ্রই একটা কফিকাপ। পুরোনো শ্যাওলা আর লবণাক্ত বাতাস মিলে তোমার শরীর থেকে ভাসিয়ে আনছে বুনো ঘ্রাণ।<br />এর মাঝে পেরিয়ে গেছে অনেক বছর। পৃথিবী গোলাকার বলে আমি চলে গিয়েছি সমুদ্রের ওপারে, হয়ে গেছি অন্যপাশের বালুতীর।<br />এবার তুমিও উল্টোমুখী ঢেউ হওয়ার প্রস্তুতি নাও আবার। এপাশ ওপাশ করে কোন এক শেষরাতে তুমি ঘুমিয়ে পড়বে। আমি ডুবতে থাকবো, বাড়বে তোমার উচ্চতা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/one-shot/ওয়ান শট2017-05-14T14:53:41-04:002023-06-25T18:23:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>জলকে সাথে না নিয়ে<br />জল কোথাও যায় না।<br />স্নায়ুবিক চাপে হয়তো<br />খানিক দ্বিধাগ্রস্ত থাকে সে, <br />তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে <br />জল কখনোই দেরি করে না।<br />রোদতপ্ত মাটির উপরে<br />সে মুহূর্তই দেরি করে।<br />তারপর - <br />অপরাপর জলেদের সবাইকে নিয়ে<br />সে সুবোধের মতো মিশে যায়।<br />যেন কেউ সাথে নেই, সে একাই।</p>
<br /><p>কী ভীষণ জলসাম্রাজ্য <br />অথচ, জলবৎ তরলং।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/last-seen/লাস্ট সীন2017-04-14T07:24:13-04:002023-06-25T18:23:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>দেখা গেছে, আসলে দেখা যায় নি। <br />উপস্থিতি বোঝা গিয়েছিল শুধু<br />তারপরে এক মিনিট আগে, দুই মিনিট আগে<br />চার ঘণ্টা আগে, পাঁচ ঘণ্টা আগে।<br />স্ক্রিনের তাচ্ছিল্য<br />ফেরত আমিও দেব ভাবি।<br />একদিন বলেছিল, আসলে বলে নি<br />শর্টকাটে লিখেছিল শুধু<br />টি সি, যাকে বলে টেক কেয়ার।<br />যত্ন নাও, কিংবা যত্ন নিও।<br />কিসের এতো যত্ন চাই - <br />আমিও বুঝি না। সেও ভুলে যায়।</p>
<br /><p>শুধু অর্ধবৃত্তের বলয়। </p>
<br /><p>একদিন সবুজ বাতি<br />সক্রিয় হই দুজনে। অথচ দুই দিকে।<br />যেন ট্রাফিকের সবুজ সংকেত।<br />দুইটি যান ভিন্ন ভিন্ন পিচরাস্তায়<br />আলাদা সতর্কতায়, আলাদা গতিতে।</p>
<br /><p>কারও স্ক্রীনে কেউ স্বার্থপর<br />যে স্বার্থপর, ভিন্ন পর্দায় আবার সে-ই প্রধান<br />স্মাইলি, লাল হলুদ বেগুনী।</p>
<br /><p>মানুষগুলো শতশত স্ক্রীনে ভাগ হয়ে যাচ্ছে<br />ভার্চুয়াল দুনিয়ার জনসংখ্যা অসীম<br />ইমেজসংখ্যা অসীম।<br />যাকে শেয দেখা গেছে একবার,<br />আবারও শেষ দেখা যাবে বহুবার।<br />এখানে মৃত্যু নেই, আত্মহত্যা আছে।<br />নীল হলো স্বাভাবিক পোষাক<br />আর যে মরে যায় স্বেচ্ছায়,<br />বরাদ্দ আছে কালোকাঠ কফিন।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170411095215/বেমানান2017-04-11T09:52:34-04:002023-06-25T18:34:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>তাড়াহুড়োয় সাবানের ফেনা চোখে ঢুকে যায়। আর স্নান যদি উদাসী হয়, তাহলে দেখো, কিছু ফেনা স্নান শেষেও শরীরের এখানে ওখানে লেপ্টে থাকে। <br />রোমকূপ কখনো আটকে যায় না, কিছু পরিচিত ধূলিকণাদের নিজ সাধ্যমতো সে আশ্রয় দেয়। শরীর একটা ইকোসিস্টেম। ভেতরেও, বাইরেও।<br />সেই পরিশ্রুত শরীর সাপেক্ষে তুমি আমি বড়োই বেমানান।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/momer-palish/মোমের পালিশ2017-03-28T08:07:38-04:002023-06-25T18:23:03-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পরিচিত কাপড়,<br />প্রতিটি দিন -<br />সেই একই ট্রায়াল রুম।<br />আয়না নিজেই নিরীক্ষাপ্রবণ,<br />দাঁড়িয়ে থাকতে হয়<br />অভ্যাসে, অনিচ্ছায়। <br />লেগে থাকা প্রসাধন,<br />মিইয়ে আসে রোদে<br />কিংবা এমনিই গলে যায়।<br />চোখ ও চশমার কাচ -<br />মাঝখানে রোদ, <br />আটকে আছে শীত<br />আর অতিরিক্ত ঘুম। <br />একটা চিড়িয়াখানা -<br />কিছু ভাঙা খাঁচা<br />তবুও পশুরা কোমল।<br />চতুর্দিকে স্নান,<br />এখানে ডিহাইড্রেশন , <br /> না মেলানো সরল অঙ্ক,<br />সাঁতারসদৃশ ভাসতে গিয়ে <br />হয়ে যায় পুরোনো ভ্যাসলিন।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170225025841/জড়ের আয়ু এবং জড়ের জরায়ু2017-02-25T02:59:41-05:002023-06-26T05:15:07-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মন কখনো কংক্রিট হয় নি -<br />কেন হয় নি?<br />তা -ই মন এখনো দেয়াল নয়।<br />দেয়াল বহুদিন, বহু পঞ্জিকা<br />পার হয়ে গেলে,<br />শ্যাওলাধরার মতো অথচ শ্যাওলা না জমলে<br />নতুন দেয়াল নামের কলংক কিংবা<br />দুর্নাম জোটে। <br />ধ্রুপদী ছাই দিয়ে পরে মাখতে হয়।<br />এখানে সবকিছু আলাদা,<br />পুরোটাই শ্যাওলার দেয়াল<br />পুরোটাই ছাইদেয়াল<br />পুরোটাই ফাঁকা। নেই দেয়াল।<br />কংক্রিট কাছে ঘেঁষতে পারে না<br />মন তাকে পাহারা দেয়।<br />দৃষ্টি দিয়ে সারি সারি দেয়াল<br />কংক্রিটের গাদাকে গিলে নেয়।<br />কাঠঠোকরা মন সেই স্তুপের উপর<br />ঠোকরাবার উপযোগী গাছ বানায়<br />ঘরবাড়ি বানায়।<br />উপরে উদ্ভিজ দেয়ালের পোশাকি অভিষেক, <br />আর নিচে চৌকো ভাষার খোলকমুচি, <br />আর্তনাদরূপী গান শোনা যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170224012800/চুলো চুল্লী এবং অভিযোগহীন ধোঁয়া2017-02-24T01:28:45-05:002023-06-25T18:34:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>যার সাথেই দেখা হলো, আমি বললাম এবং বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে, রোদ আসলে একটা আলোরঙা অন্ধকার। কেউই বিশ্বাস করলো না। কেউ কেউ তাচ্ছিল্য করে বললো, আরে তুমি তো রাত্রিবিতারিত এক ইনসোমিনিয়াক। রাত্রি অবশ্য ধমক টমক কিছু দেয় না। শুধু বলে, বেচারা অন্ধকার, ওর অর্থগৌরব নেই, বংশগৌরব নেই। ছাইমাখা তারল্যই ওর অহংকার। তাকে যদি রোদের সাথে এক করে দেখি, তাহলে আর অবশিষ্ট থাকে কি?<br />রোদ, যাকে নির্দয় এক শিকারী বলে জানে সবাই, আহত হয়ে পড়ে থাকলে ওপর থেকে তা বোঝার উপায় নেই। বলো আলো কিংবা অন্ধকার, আমি তাদের মিলিয়ে দিতে চাই। পারস্পরিক শুশ্রূষা আদানপ্রদান করে তারা আহ্নিকগতির এক দৃঢ় এবং দীর্ঘজীবী বাস্তুসংস্থান গড়ে তুলুক। মানুষের দোপেঁয়াজা মানুষই খাক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170218083203/আসবাব2017-02-18T08:32:17-05:002023-06-25T18:34:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কাচের ওটি আয়না, ওপাশে সিন্থেটিক বিকেল, আর এপাশে তুমি ভাবছ নিজেকে বিষণ্ণ। এই ভেবে তুমি একটি একান্ত ব্যক্তিগত মিশ্রণের ককটেল গ্লাস হাতে তুলে নাও। পরনের কাপড়ও তোমার কাছে বাড়তি মনে হয়, অতিরিক্ত লাগে নিপাট বিছানা আর তার ওপরের চাদরের গোছগাছকেও। তুমি চিলেকোঠার ঘর অবধি যাও, আর যাও না। ছাদের বন্ধ দরজা খোলার উদ্যোগ নাও না, কারণ এবারের আলসেমিতে তোমার ভাগ্যে দরজার এপাশ। ধূলোময় চুলে হাত নেড়ে জট ছাড়াতে চাও, চুলের মাঝামাঝি এসে আর জট ছাড়াতে চাও না, হাত নামিয়ে ফেলো, কেননা তুমি ভাবো স্নান তো হবেই। এরপরে স্নানের উদ্যোগ নিতে তোমার আরও বিলম্ব হয়, কারণ তোমার ভেতরের এক্সেলেটর বিকল এবং তুমি সেই বিকল সিঁড়ির মাঝখানেই দাঁড়ানো। তুমি নিচে নামা কিংবা উপরে ওঠার জন্য পা ফেলো না, কেননা তোমার ধারণা এক্সেলেটর আপনাআপনিই ঠিক হয়ে যাবে।<br /> সন্ধ্যার আগমনকে তুমি স্বীকার করতে চাও না তাই কাচের ওপর পর্দা ফেলে জ্বেলে দাও সবগুলো আলো। আলোতে তুমি অসহায়, কিন্তু নেভানোর কথাও তুমি দ্বিতীয়বার ভাবো না।<br />তুমি হয়ে গেছ ঘরের অন্যান্য থিতু হয়ে যাওয়া কাঠের আসবাবের মতোই। জীবিত ছারপোকার ভয় ছাড়া অন্য কোন শঙ্কা ধর্তব্যের ভেতর পড়ে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170217091945/জলসর্বস্ব2017-02-17T09:20:32-05:002023-06-25T18:34:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শোকাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে <br />পড়ে আছে একটি প্রকাশ্য কান্নাচিঠি ।<br />একদম ফ্যাকাসে, কিছুই লেখা নেই<br />ফকফকে ঝাপসা।<br />খামটা খোলার চেষ্টা করা যেতে পারে,<br />তবে লাভ নেই,<br />খামটাও সিক্ত, কান্নাভেজা -<br /> এলিয়ে একপাশ, বাঁকা।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170213124245/ডুবুরির পোশাক2017-02-13T00:43:09-05:002023-06-25T18:34:01-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ডুবুরি সমুদ্রের তলায় মৃত্যুর আগে বুঝেছিল, <br />রক্ষাকারী ভারী পোষাকটাই <br />তাকে আরও গেঁথে দিচ্ছে তলদেশে। <br />যে নভোযান অতি সাবধানভাবে এয়ার টাইড -<br />ফাঁকফোকর গলে একটু মহাজাগতিক বাতাস<br />কোনমতে ঢুকে গেলেই,<br />নিভৃতের শব্দহীন, সময়ের হিসাবনিকাশহীন প্রলয়কাণ্ড।<br />পথ্যের বেলায়ও আমাদের মানতে হলো <br />সমূহ ব্যবস্থাপত্র।<br />ডোজের অপরিমাপে বিগড়ে যায় শরীরযন্ত্র।</p>
<br /><p>যদি প্রমাণিত হয়, এতোসব ভুল -<br />সেটা ব্যতিক্রম নয়। হেলার যোগ্য মিরাকল।<br />আর কে না জানে -<br />সমস্ত মিরাকল ঘটে ঘটনাস্থল থেকে দূরে,<br />সাধারণত, ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে<br />মিরাকলের হাতেপায়ে পরাতে হয় বেড়ি।<br />তাও, পরিস্থিতির সাথে কানেক্টেড হতে<br />কিছু দেরি, কিছু নিমরাজি, কিছু আত্মাভিমান।</p>
<br /><p>সুতরাং, আমি যদি ডুবুরি হই<br /> জলজ শ্যাওলার আড়াল নেব।<br />মানানসই নয়, এমনভাবে ভেসে উঠে<br />অসহায়ত্বের সামুদ্রিক পাঠ নেব না।<br />আমি দৃশ্যমান মর্ত্যের পাশাপাশি<br />গর্জনশীল সমুদ্র, <br />এলোমেলো ঢেউয়ের রোলার কোস্টার, <br />এবং অপঠিত নোনা শ্যাওলারও সন্তান।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170207071553/পোষক2017-02-07T07:16:18-05:002023-06-25T18:33:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>অসুখ যে নিয়ে আসে, সিজন চেঞ্জ হলো তার প্রিয় ঋতু। সুস্থতাকে বিজ্ঞাপন করে বড়োজোর গড় আয়ুর মহাসড়কে ওঠার মেঠোপথ ধরা যায়। প্রিয় অঙ্গেরাই বলে দেবে অসুখের সময়ে অলংকার নেবে, নাকি শুশ্রূষা। অভয়বাণী ছিল, কোনমতে গড়পড়তা একটা লাফ দিলেই পেরোনো যাবে ভোঁতা আর তপ্ত অসুখের মায়াময় ঝিলগুলি। অতিরিক্ত সাবধানী হয়ে, পতিত হবার আগেই নিয়ে নিই প্রয়োজনাধিক পথ্য।<br /> সবকিছু মেঠোপথ আর মহাসড়কের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে, নিজ দায়িত্বে অসুখের জলাশয়ে কি নিদারুণ হুটোপুটি খেতে থাকি! নিয়ে আসা সমূহ পথ্য এখানে ভেসে থাকার আশ্রয় এবং কদাচিৎ অসুখের প্রতিই অঞ্জলি।<br />ব্যাধিরা ছলচাতুরি করে শরীরে বেড়ে ওঠে, যদিও আড়ালের আলাদা করে প্রয়োজন নেই কোন । অন্তত এই তিন মহলা বাড়ি, তার ঝোপঝাড়জঙ্গল এবং সম্মুখের প্রশস্ত উঠোনে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170203083534/বহুরূপী বরফ2017-02-03T08:36:04-05:002023-06-25T18:33:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ধ্রুপদী বিকেল প্রাচীন সূর্যটি বয়ে চলছে। কিছু বিকেল জমা হয়ে থাকছে নিয়মিত পাখিদের ধূলোমাখা পালকে। গা থেকে নিংড়ে আরও খানিকটা অতিরিক্ত বিকেল জমা করে রাখে অপ্রশস্ত নীড়ে, এতে করে গোপনীয়তা বাড়ে, বাড়ে সঞ্চয়ও। দ্রাক্ষার মতো বিকেলও যতো পুরোনো হয়, ততোই উপযোগ বাড়ে। ক্রমেই তৈরি হয় এক বোতল মজবুত ছিপি আটা বিকেল।<br />থরে থরে সাজানো পানীয় থেকে বের হয় বয়স অনুযায়ী বর্ণচ্ছটা। হাঁটতে বের হওয়া দেহগুলো একই সাথে ক্লান্ত এবং পুলকিত হয়।<br />বহুরূপী বরফেরা এভাবেই নানা ঋতুর ছলে বারংবার শীতকালের অজস্র আইস কিউব নিয়ে হাজির হয়। উদযাপনে সাহায্য করে। চিয়ার্স। <br />পুরোনো বক্রপথেই নিঃশব্দে ঝরে যাবে, শিরায় উপশিরায় এই আদিম তথ্য নিয়েই নতুন পাতারা গজায়। বিষাদের সবুজ বরফে বসন্তটা মোড়া।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170131111002/ধূলো নিদ্রা ও নক্ষত্র2017-01-31T11:12:05-05:002023-06-25T18:33:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>রাত্রি তার সৈন্যদল নিয়ে একাই একশো<br />আমরা বলি জ্যোৎস্না -<br />আসলে চাঁদ উঁকি দেয় কিংবা<br />নির্জন, রূপালী দেহের আড়মোড়া ভাঙে -<br />তার মহাশৌণ্যিক স্লিপিং ব্যাগ থেকে। <br />ওদিকে তারাদের ক্যাম্পিং -<br />মুখরোচক গল্প আর<br />মেঘবণিতা লুটের পায়তারা।<br />একটু আড়াল পেলেই<br /> কসমিক ধূলোর সাথে লম্বা ঘুম।<br />আমার কোন টেলিস্কোপ নেই,<br />পৃথিবীর যে ভূগোল আমি জানি <br />তাও কারও সাথে মেলে না।<br />আকাশরাজ্যের সাথে তাই মিলিয়ে দেখি,<br />বেশ মিলে যায়।<br />কোন মিসিং পিস নেই, একটা পূর্ণ ফ্রেমওয়ালা ছবি। <br />তারাবাহিনী স্বপ্নে করে নিজ নিজ ছায়াপথ অতিক্রম,<br />আলো ফোটার কিছু আগে আমিও ঘুম, <br />জাগতিক এলার্ম ঘড়িদের অরণ্যে রোদন। <br />এই আমি তলিয়ে গেলাম। <br /> সরলার্থে স্নান, আর পূণ্যার্থে শাপমোচন।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170128083236/অবতরণ2017-01-28T08:32:57-05:002023-06-25T18:33:59-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ইহজাগতিক ঘুড়িগুলোই বোধহয় গোত্তা খেয়ে নিচে নামে, উদাসীনেরা সুতোবন্ধন ছিন্ন করে আর অনুগতদের ইচ্ছেমত বাতাস কেটে কেটে উড়িয়ে শেষমেষ নাটাইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।<br /> আকাশে তারা পাশাপাশি ওড়ে কিংবা পাশাপাশি না হলেও ঘুড়িদের ব্যক্তিগত ট্যালিপ্যাথিক নিয়মে কথা বিনিময় হয়। নিজ নিজ ঘুড়ির দিকে মানুষের একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকা, অন্যদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আকাশকে একারই ভ্রমণপথ বানানোর অলীক প্রচেষ্টা, এসবে মহাজাগতিক ঘুড়িদের কিছু আসে যায় না। কারণ, নিজ পরিণতি না জানলেও মানুষের ভবিষ্যৎ বিষয়ে ঘুড়িগুলো সম্যক অবহিত।<br />ছোটবেলার ঘুড়ি কৈশোরের আকাশ থেকে নেমে অনন্ত সময়ব্যাপী বিশ্রাম নেয়। আর আমরা, যারা তাদের উড়িয়েছিলাম, তাদের উপর আকাশ বিদীর্ণ হয়। আকাশ বলে কিছু নেই, তারা জেনে যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170126063253/আধাস্বপ্নের ব্যর্থ প্রক্রিয়াজাতকরণ2017-01-26T06:34:11-05:002023-06-25T18:33:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>এয়ার ফ্রেশনার ছড়িয়ে পড়লেও, <br />নিরাপত্তাহীনতা থেকে যায়।<br />গরাদে, সিলিংয়ে,<br />কিছু সাদা আর কিছুটা ময়লা দেয়াল, সবখানে -<br />স্থায়ী ম্যালানকনিক ছাপ।<br />সুগন্ধির কোরকে কোরকে,<br />আনন্দের বার্তাবাহী ক্লোরিন কণা ছোটে দিগ্বিদিক।<br />রুমভর্তি বাতাসকে পূর্বের থেকেও<br />থমথমে করে দিয়ে -<br />কণাদের নির্ভীক যাত্রা শুরু হয় মহাশূন্যে।<br />ভূমিকম্প ছাড়াই মরুপৃথিবীর দালানগুলো, <br />পলকা গ্যাসবেলুনের মতো <br />একটু একটু করে মাটিতে ধ্বসে পড়ে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170125055941/মৌসুমী অসুখের ট্রেইলার2017-01-25T06:00:19-05:002023-06-25T18:33:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>নিজ শরীরের চেনা নাড়াচাড়াগুলো অপভ্রংশ হয়ে ওঠে। বুকের জলাশয়ে মৃতপ্রায় একটা বাদুড় তার সারা দেহ ছড়িয়ে রাখে জালের মতো। অদৃশ্য চিমনি দিয়ে উড়তে থাকে তপ্ত আশংকার ধোঁয়া। গেল মৌসুমের পথ্যগুলো শেষ হয় নি, অলীক সুস্থতার ভগ্নাবশেষ হিসেবে রয়ে গেছে।<br />হাসপাতালগামী যানবাহনগুলো স্বভাবে ইতস্তত আর একরোখা হয়। বিপদ সংকেত এবং যাবতীয় সিগন্যালবাতির সাথে তাদের পূর্ব বোঝাপড়া থাকে। <br />তবুও, আক্রান্তকে বহনকারী তুমুল বেগের অসুখগাড়ির কোথায় যেন সরীসৃপের পলায়নপরতা আছে। <br />অস্ত্রপাচার তার নিজস্ব নিয়মে চলে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170123094456/আমি আর রকিং হর্স2017-01-23T09:49:27-05:002023-06-25T18:33:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কোথায় আর যাওয়া, তাড়া তো নেই কোন। তারচেয়ে বরং পুরোনো দিনের কথা হোক। উপত্যকা আর গিরিখাতগুলো পেরোতে কীভাবে? সঙ্গী জুটেছিল কজন, আর সঙ্গিনী?<br />পেন্ডুলামের মতো যতোসব নিরাসক্তির ভাব ক্ষান্ত দাও। তুমি কি ব্ল্যাক বিউটিকে চেন? ঘোড়াটাকে কখনো না দেখলেও আমি জানি, পৃথিবীর সমস্ত ঘোড়া আনা সোয়েলকে এক নামে চেনে। লেখকের ঘোড়ারোগ, একটা ঘোড়াকে নিয়েই মেতে রইলেন। <br />আমি আমার অধীনস্থ রকিং হর্সের প্রভু। সমস্ত বিপদ, অদৃশ্য শত্রুর হননেচ্ছা, আর আমাকে সাবধান করে দিতে তার মৃদুস্বরের হ্রেষা, নাকের ফুটো বড় করে গাঢ় নিঃশ্বাস নেওয়া, সবই টের পাই।<br />ওটা ওটা বলবে না তো! ও একটা আস্ত ঘোড়া, আমার ঘাড় অবধি চুল ওর আভিজাত্যের কেশর।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170117070145/জৈব ভূমি2017-01-17T07:03:47-05:002023-06-25T18:33:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>চেনা পথঘাট নিজেই লোপাট করে দিয়েছি আর আমার দুই প্রান্ত সর্বদাই যেন সমমেরুকে ধরতে গিয়ে বিকর্ষিত হয়ে ঠেসে চেপে আসছে। কখনো প্রেতেরা এসে বলতে চায়, সাবকনশাস মাইন্ড নিয়ে আর বিভ্রান্ত হয়ো না, শেষরাতে বিনা কারণে এখনো ফুলচুরির ঘটনা ঘটে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এখনো কেউ মুঠো মুঠো গাঁদাফুল ছিঁড়ে নেয় আর ঘরে ফেরার আগেই পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছড়িয়ে রাখে রাস্তায়। প্রেতেদের আমি বলতে চাই, পরিশ্রমী সেই ফুলচোর নিশ্চয়ই ঘরে ফেরার আগে হাতের গন্ধ নেয় এবং হাত ধুয়ে ফেলে। কার্যকরণহীন ঘটনার পাশাপাশিই একসাথে থাকে চরমতম বস্তু, বস্তুদের ইহজাগতিকতা এবং অন্যান্য প্রান্তিক অবস্থান।<br />এসব চেপে রাখলেও প্রেতেরা আমার চিন্তা ঠিকই ধরে ফেলে আর হুমকি দেয় প্রতিরাতে এসে উপদ্রব করবে ।<br />আমি ভয় পেয়ে আমার চারপাশ এবং নিজের দেহেও ঋতু বিবেচনা করে অসংখ্য জানা অজানা ফুলের চারা রোপণ করে রাখি। সম্ভবত এরপরে কি ঘটবে সে বিষয়ে সমঝোতায় আসতে না পেরে ফুলচোর নিহত হয়েছে প্রেতেদের হাতে,অথবা নিজের জমানো কাঁটাস্ত্র দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্নও করে দিতে পারে। তবে হন্তারক যেই হোক, কেউ আর আসে না রাতে । আমাকে মিছেমিছি সত্যাসত্য বোঝানোর সব রকম প্রয়োজন ফুরিয়েছে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170116070553/ন্যাপথলিন2017-01-16T07:06:09-05:002023-06-25T18:33:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>অনেকদিন পরপর ডালা খুললেই কেবল ন্যাপথলিনের সুমিষ্ট গন্ধ তীব্র হয়। এই আশাতেই কেবল নিজেকে ব্যস্ত ঘরের মেঝেতে রাখি। ওদিকে উঁচু কার্নিশে মাকড়সার নির্ভরযোগ্য জাল আর পরিচিত বয়েসী ধূলায় আবৃত হয় পুরাতনের স্তুপ।<br />খুললে দেখা যাবে, ন্যাপথলিনগুলোই আছে শুধু, পুরোনোরা মিলিয়ে গেছে পুরাতন নিয়মেই। যদি খুলে ফেলি, যদি একদম প্রকাশ্য সব, তবে এমনই উদ্বাস্তু থলে, গন্ধসর্বস্ব খাঁ খাঁ করে । <br />দেখার জন্য চোখ নিজে আলো পাঠায় না, বস্তুদুনিয়া থেকে আলো এসে লাগে। চোখকে দোষ দিই না। আলোধর্ম কিছুটা উদ্বৃত্ত থাকে, তার ডানায় ভর করে কারুজ অন্ধকারে চোখ সয়ে আসে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170114063046/হীনযান2017-01-14T06:31:04-05:002023-06-25T18:33:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কান্নার স্বাদ কেমন? যাকেই এই প্রশ্ন করি, সে -ই উত্তর দেয়, কান্নার স্বাদ নোনা। একজন পেলাম যে বললো, নোনা হলো চোখ নির্গত জলের স্বাদ, আসলে কান্নার কোন স্বাদ নেই। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, লোকটি প্রথম প্যারাস্যুট নির্মাতাদের বংশধর হতে পারে, যারা জানতো আকাশ হলো ভূমিতে দাঁড়িয়ে সৃষ্ট দৃষ্টিসীমা এবং মহাশূন্যে আকাশ বলে কিছু নেই। এসব তারা জানতো, কিন্তু সবাইকে বলে বেড়িয়ে অযথা বাহবা কুড়াতো না।<br />কিন্তু এই লোকটি আমাকে অবাক করে জিজ্ঞাসা করলো, কান্না ছাড়া অন্য কিছুর স্বাদ কিংবা রঙ জানতে চাই কিনা? আমি বললাম, একজন কালার ব্লাইন্ড মানুষ কাঁদলে, কান্নার কোন রঙটা তার কাছে এলোমেলো লাগবে?<br />সে অবাক হয়ে বললো, কোন রঙটা মানে? কান্নার তো কোন রঙও নেই। স্বাদহীন, বর্ণহীন কান্না।<br />আমি একটু ক্ষুন্ন হয়ে জানতে চাইলাম, এত হীনতার ধারণা তারা কোথা থেকে পেল? কেন পেল?<br />সে কিছুমাত্র বিরক্ত না হয়ে বরং বিনীতভাবেই বললো, মহামান্য, চলুন ধ্বংস হয়ে যাবার আগেই মহাজাগতিক ঠিকানা খুঁজে বের করি। হীনতা থেকেই যদিও আমার জন্ম, তবু ক্ষীণ একটা পরিযায়ী মন আপনার ঐ কান্নার মত আমি লালন করি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170105104250/কথাদের মুদ্রণযোগ্যতা2017-01-05T10:43:29-05:002023-06-25T18:33:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমি কথা বললে,<br />সেটা ভালো শোনায় না।<br />আমি কথা বললে,<br />সেটা ভালো দেখায় না।<br />যদি কথা বলি,<br />সেটা আসলে কোন কথাই হয় না।<br />তাই, কথার কথা বলি আর কি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170104021915/হাইড অ্যান্ড সিক2017-01-04T02:19:43-05:002023-06-25T18:33:55-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ঘরের ভেতরেই <br /> যুতসই কিছুর আড়ালে লুকোতে হবে। <br />ঘরের বাইরে পালিয়ে থাকা যাবে না।<br /> এটাই হল 'হাইড অ্যান্ড সিক' খেলার নিয়ম <br />এরপরে খোকা ঘুমালো, <br />পাড়া জুড়ালো,<br /> বর্গি এলো দেশে।<br />ঘরে যে থেকে গেল -<br />দেখলো সে কেবল একা আছে।<br />আর সবাই ঘরের বাইরে, দূরে দূরে<br />পালিয়ে নেই কেউ -<br />তবু তার খুঁজতে ইচ্ছা করে না।<br />কারণ, খেলার নিয়ম<br />একবার যদি ভঙ্গ হয়,<br />তাহলে পুরোটা নতুন করে শুরু করতে হয়।<br />পুনর্বার শুরুর সেই প্রক্রিয়ার,<br />ক্লান্তি, অবসাদ, বিচ্ছিন্নতাবোধ<br />এবং পুনরায় নিয়ম ভঙ্গের সম্ভাবনা -<br />সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170103080240/অন্য অনুলিপি2017-01-03T08:03:01-05:002023-06-25T18:33:53-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমার কেবলই মনে হয়। যা দেখি, মনে হয় অন্যকিছু। তাই, একেকদিন মনটাকে স্বপ্নে পেতে ইচ্ছে করে। মনটা যদি আমাকে তুমুল ধাওয়া করে খাদের কিনার থেকে ফেলে দেয়, প্রবল ভয়ের মধ্যেও মনে হবে, জড়িয়ে ধরার জন্য মা শুয়ে আছে বরাবরের মতোই, পাশে। নানাবিধ প্রস্তরাদি, তাদের রঙ, ঝাউবনের অন্যরকম বিন্যাসের সম্ভাবনা, রাত্রির লিবিডোপ্রস্তাব, পরিধানকৃত বস্ত্রের প্রকৃত বয়স, এসব আপাত উজ্জ্বল অর্থহীন অনুষঙ্গ নিয়ে মনের দায়বদ্ধতা অনেক।<br />রঙজ্বলা ডুমায় আবৃত হতে হতে প্রতিদিনই ভাবি, সিলগালা সাজঘর থেকে এক চিমটে প্রসাধন কি উড়ে আসতে পারে না মিরাকল হয়ে? <br />এই পূর্ণদৈর্ঘ্যের বিষাদযাপনে কোন বিজ্ঞাপন বিরতি নেই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20170101112701/প্রজনন ঋতুতে2017-01-01T11:27:37-05:002023-06-25T18:33:53-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>প্রজনন ঋতুতে বন্ধ্যা মাছেদের কি থাকার জন্য আলাদা নদী আছে? প্রকাশ্যে আড়াল থেকে বেরিয়ে সেই নদীতেই সাঁতরানো যায় কিছুক্ষণ। তারপর সেই অবাঞ্ছিত মাছেদের সাথে মিলে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকবো টোপবিহীন বড়শি কিংবা ছিঁড়ে হা হয়ে থাকা জালটিকেও। ডাঙায় মৃত দশায় আমরা হয়তো শুয়ে থাকবো হতভাগ্য অন্যান্য মৃত গর্ভবতী মাছেদের সাথে।<br />বেঁচে থাকাদের দল ভারি হয়ে উঠুক। সর্বাধিক সহজ নিঃশ্বাসে সন্তানেরা তোলপাড় করুক নিজ অভয়ারণ্যে। <br />এই যে খোসাছাড়ানো কমলার গন্ধমাখা স্বীয় অস্তিত্ব, সে যে কীভাবে যন্ত্রণা দেয় মাঝেমধ্যে, ভেবে পাই না। ঘুমের জন্য কাঙাল হয়ে থাকি আর ঘুমানোর সময় নিকটে এলে তৎক্ষনাৎ তড়িঘড়ি প্রস্তুতির চন্দ্রাভিজান এবং পরিত্রান। বাঞ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে দিতে ভাবি, অগোচরে কবে যেন সকল বাঞ্ছাই পূরণ হয়ে নিরানন্দের ভেতরে বসে আছে।<br />আমার মূলত মানচিত্রের দরকার হয় না কোন। সামনের বাধা সর্বদাই কেন যেন নূন্যতম দূরত্ব মেনে গড়াতে থাকে আর ঝর্নাজলের কাছে এলে নির্দ্বিধায় ডুবে যায়। তখন আমি পরিমিত পান শেষে অবশিষ্ট পিপাসা নিয়ে গুটিসুটি মেরে ফের ঘুমাই দেহ সাপেক্ষে ছোট কোন সমতল পাথরে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161231092851/দৃশ্যসেবন2016-12-31T09:29:19-05:002023-06-25T18:33:53-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>যে খুনি, যবনিকা সম্পর্কে তার কোন ধারণা থাকে না। মৃতদেহ তো পড়ে থাকে নিশ্চিন্তে। অথচ যথারীতি যবনিকা ঘটে যায়। দূর থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বসে সাধারণ দর্শক হিসেবে বিভিন্ন ধরণের যবনিকা নামক হননদৃশ্য চিহ্নিত করি। হাতে ছুরি ধরিয়ে দিলে সেইসব ইনসিডেন্ট গুলোও হয়ে উঠতে পারে নির্দ্বিধায় খুনি।<br />যবনিকাপাতের গতিপথ পাল্টে যায়। পর্দাপতন বলে তো কিছু নেই, শুধু ক্যারাভান ঢাকা ভারি ভারি তাঁবুসদৃশ মেঘবস্ত্র উড়ছে ঋণাত্মক অনন্ত থেকে ধনাত্মক অনন্তে। <br />সূচনাবিন্দুর আদিখ্যেতার রেশ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161223014924/নিরস্ত্র গোধূলিতে2016-12-23T13:49:58-05:002023-06-25T18:33:53-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বেলাভূমিতে আছে সূর্যাস্ত মেশানো নুড়ি, সেখানে নিজেকে দুঃখকরোজ্জ্বল বলে ভাবি। সকল সান্নিধ্যকেই মনে হয়, মাত্র হাঁটু সমান বেড়া। পেরোলেও পেরোনো যায়, না পেরোলেও নিজ বাসনাভূমি কিছুটা সুরক্ষিত। ফিরে পাচ্ছি অপহৃত স্মৃতি, এই বেলাভূমিটাই তো আমি। কোন এক অধিবর্ষে, অতিরিক্ত দিনটিতে তপ্ত বালুপথে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্জ্যনগরীতে। অভ্যাসগত যাপনপ্রণালী মেনে নিই, তাই ফিরে যাই বর্জ্যের সাথেই সহজিয়া সহবাসে।<br />শুধু বালুতটে রেখে যেতে যাই একটা টব আর তাতে কিছু অনুগত দো আঁশ মাটি। অহংকারের চিহ্ন আর নিজ পূর্বপরিচয়ের সামান্য ঐচ্ছিক বনভূমি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161207025537/স্তর ভেঙে ভেঙে2016-12-07T02:56:01-05:002023-06-25T18:33:50-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কার্ভাড ভ্যানে করে শববাহকেরা নিয়ে গেছে আমার অগ্রন্থিত লাশ। শকুনজন্মে আকাশের স্থির, হিংস্র স্তর থেকে তাকিয়ে থাকি নিজ মৃতদেহের দিকে। কলপ করে পালকসমেত পুরো শরীর নিশ্চিতভাবে কালো করে নেই। অবতরণের পর সন্তপর্ণে লাশের কাছে গিয়ে পৌঁছাই। শকুনেরা জানি নরোম চোখ থেকেই শুরু করে। আমিও দেখি খোলা চোখ। ডানার ভোঁতা কৌশলে তা বন্ধ করে দিই আর সমস্ত শরীরের কালো পালক ঝেড়ে লাশটি ঢেকে দিই।<br />পালকহীন নগ্ন শকুনের নশ্বর আত্মহত্যাপ্রণালী কিংবা ক্ষুধা সম্পর্কিত অধ্যায়গুলোতে নতুন করে পরিশিষ্ট যোগ করার নেই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161205090746/সন্ধ্যাফেরত2016-12-05T09:08:40-05:002023-06-25T18:33:50-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সন্ধ্যাফেরত সন্ন্যাস নিয়ে নিদ্রা অবধি কত দূরে যাওয়া যায়? জানালা আটকে দেওয়া, চোখ সাপেক্ষে সুক্ষ্ম পতঙ্গেদের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষা, জলের গ্লাসটা গোলাকার কার্ডবোর্ড দিয়ে ঢেকে রাখা -এসব ঘনঘোর স্বার্থপরতার মাঝখানে কিঞ্চিৎ জায়গা পেতে গেরুয়া বসনটা বসবে কোথায়?<br />ব্যস্ততা শুরু হলেই কে যেন আমাকে এই প্রশ্ন শোনায় আর দেউলিয়ার মতো নিশ্চিন্তে হাসে। হাসতে হাসতে তার সামনের পাটির সাদা দাঁতগুলো বেজায় বড় হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে কিংবদন্তির বিল হিকক হয়ে যেতে পারলে মন্দ হতো না। অবশ্য বন্দুকবাজ আর লক্ষ্যভেদ, এই দুটি সম্পর্কেই আছে হতচ্ছাড়া দেউলিয়াটার সম্যক ধারণা। তাই, মুখের দিকে গুলি ছোঁড়ার পরমুহূর্তেই সে ফিরে যাবে পূর্বাবস্থায়, আর আমাকেও কাটাতে হবে আবার একইভাবে পরবর্তী দিন।<br />ধারাপাতের সামনের বড় বড় সংখ্যাগুলো তাদের মতোই বড়ো চোখ নিয়ে চেয়ে থাকে। এগুলোকে আবার বৈতরণীর অধিক পাত্তা দিই না। প্রতিদিনের চাঁদগুলো যদি মিলেমিশে হয়ে যায় এক রঙের বোতাম, তবে অন্ধকারের জামা পরে পুনরাবৃত্তিই সই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161125035906/সন্ধ্যা ও তার নৈয়ায়িক সহপাঠী2016-11-25T03:59:35-05:002023-06-25T18:33:50-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ইদানিং সন্ধ্যাগুলো এত করুণভাবে বিদায় নেয় যে, কখনো মনে হয় বৈদেহী সন্ধ্যাগুলোতে কোনরূপ আত্মাও অনুপস্থিত, যেন বা একটা কালো আলখাল্লা হাঁটছে একা একাই । তখন সন্ধ্যাটা যেন শুকনো শ্যাওলাভর্তি অন্ধকার দেওয়াল, কোন ভয় ছাড়াই শখের বশে যে দেয়ালে হাত রেখে রেখে চলে যাওয়া যায় শেষ অবধি। এই কালপ্রিট সন্ধ্যাই আমার কাছ থেকে উধাও করে নিয়েছে কল্পনার সব মায়াবী রেশমে বোনা ছবি। ছবিঘর জুড়ে জ্বরতপ্ত মথেরা ওড়ার বদলে হাঁটছে শুধু। <br />এর বেশি গেলে মনে হবে বানিয়ে বলছি, যেহেতু সন্ধ্যারা বেশিক্ষণ থাকে না। তাদের সম্প্রতি তৈরি হয়েছে দিন - রাত ব্যতিরকেই দুর্বোধ্য কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী।<br /> সন্ধ্যা এবং নিজের পরিমিতিতে ভরসা রাখি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161119074834/প্যান্ডোরার বাক্স - ৭2016-11-19T07:50:21-05:002023-06-25T18:33:51-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>এমনকি, রোদ ছুঁয়ে থাকা মোটা পাপড়ির মস্ত ফুলটিকেও নিজের সমান ব্যথায় জর্জরিত ভাবি। <br />*<br />সবকিছুর একসাথে, এক জায়গায় থাকতে নেই। অজস্র স্পেস তো ফাঁকাই আছে।<br />ওপেন ইন নিউ ট্যাব!<br />ওপেন ইন নিউ ট্যাব!! <br />*<br />ভয় নেই। পরাবাস্তব প্রেমে হ্যাপি রিটার্নের সুবিধা আছে। <br />*<br />নদীর দিকে তাকালে<br />চোখের নদী হয়ে যেতে হয়<br />আর ফুলের দিকে তাকালে<br />হয়ে যেতে হয় ফুল<br />তবেই শুভদৃষ্টিতে গ্রহণ লাগে। <br />*<br />জুজুবুড়ির ভয় দেখিয়ে স্বপ্নগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি। একটা নিরেট, গাঢ় ঘুমের আজন্ম সাধ আমার। <br />*<br />দেখভাল না করলে তৃণভোজী কোমল স্বপ্নেরাও মাংসাশী হয়ে উঠতে পারে। <br />*<br />বিষাদে ডুবিয়ে রেখেও তো দিতে পারো কিছু মেকি সুখের আভাস,<br />সুখের প্রতিটি এলাকায় বসিয়ে রেখেছ নীল দুঃখের দূতাবাস। <br />*<br />সারা বছরের বিরামচিহ্ন<br />আজ তোমার আমার মাঝখানে। <br />*<br />ইচ্ছে করে ঝর্নার শব্দ আলতো করে কানে আসে, এমন একটা জায়গায় শ কয়েক বছর গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। <br />*<br />কয়েক ফোঁটা আদুরে শ্রাবণ ঢেলে দিই। স্মৃতির লাল লিটমাস নীল হয়ে যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161115072533/মাত্রাজ্ঞান2016-11-15T07:27:03-05:002023-06-25T18:33:45-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ঘটমানকে পুরাঘটিত হতে বলি। নিঃসঙ্গতাকে বলি তার নাম থেকে যুক্তাক্ষরটি ভেঙে দিতে, কেননা ঐ জায়গাটিই হলো বিষণ্ণতার কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিপজ্জনক মূর্ধন্য 'ণ ' নিয়ে বিষণ্নতাও চলছে অনিবার্য ভুল সেলাইয়ের পথে। ভয়াল শব্দগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করি, তারপর এইরূপে যুক্তাক্ষর খন্ডন এবং এক পর্যায়ে মাত্রা ঝেড়ে দিয়ে খোলকমুচির মতো জড়ো করি। প্রিয়তম শব্দগুলোর একটিও মনে নেই কিংবা তাদের ধীরলয়ের অলস স্নান আর শেষ হবে না। অন্য সম্ভাবনাও এসেছে হামাগুড়ি দিয়ে, আমি শুধু ভাঙতেই জানি কেবল, জুড়তে পারি না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161111011608/হিমনিশান2016-11-11T01:16:41-05:002023-06-25T18:33:45-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শীতল আইসবার্গের দেশেও জমে উঠতে পারে একটি নির্দিষ্ট শীতকাল। মেরু ভাল্লুকের কাছে চিঠিরূপে যদি পাঠিয়ে দিই সুপর্ণা বিষয়ক দ্বন্দ্বমুখরতা, তবে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে পরজন্ম বিষয়ে প্রিয় পেঙ্গুইনেরা ভেবে নেবে কিছুক্ষণ।<br />তুষারসমৃদ্ধ ঘরে সকালের আলতো রোদে, সেলাইয়ের অসাবধানতায় আঙুলে সুঁচ ফুটে রক্তবরফে তৈরি হওয়া ঝাঁঝালো স্মৃতিগন্ধী রাংতা, শীতকালের এটাই তো সার্বজনীন পতাকা।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161107011146/তলদেশ বার্তা2016-11-07T13:12:19-05:002023-06-25T18:33:45-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>একদিন জাহাজের প্রপেলার আর মাস্তুলের দেখা হয়ে গেল। পরস্পরের কাছ থেকে তারা সমুদ্রের তলদেশের বিবিধ গল্প এবং আকাশের সীমানাহীন ঔদার্য নিয়ে বিশদ বর্ননা শুনলো।<br />তৎক্ষণাৎ মাস্তুল বিনীত অনুরোধ জানিয়ে প্রপেলারকে বললো জাহাজটাকে ডুবিয়ে দিতে। তলদেশের দৃশ্য সে মাথায় করে রাখতে চায়। আর প্রপেলার ইচ্ছা রাখলো, সমুদ্রের ভারী জলে ক্রমাগত চড়কি খেয়ে সে ক্লান্ত, তাই সে একটা হাওয়াকলের মতো বাতাসে অনিয়মিত ছন্দে দুলে দুলে উঠতে চায়। জায়গা বদলের জন্য দুজনেই মরিয়া। <br />কিন্তু তাহলে তো জাহাজ পুরোটা ডুবিয়ে দেওয়া যাবে না। শেষতক ঠিক হলো, পুরোটা ডুবিয়ে কেবল মাস্তুলের জায়গাটা ভাসিয়ে রাখলেই হবে, প্রপেলার সেখানেই ঘুরপাক খাবে আর নোনা বাতাস গায়ে মাখবে।<br />ওদিকে মাস্তুলের যেহেতু আকাশের অনেকটা জানা, তাই সে জলেরও গভীরে যেতে চাইলো। নোঙরের সাথে গোপনে ফন্দি এঁটে প্রপেলারের কথা না রেখে জাহাজের পুরোটাই ডুবিয়ে দিলো। সমুদ্রের তলদেশে ডুবে ডুবে থাকা শ্যাওলাজমা জাহাজের প্রপেলারগুলো আজও বিষণ্ণ মাস্তুলরূপে কেমন মৃদু মৃদু দোলে।<br />জীবিত কিংবা মৃত জাহাজের মাস্তুলই তো প্রকৃত অভিবাবক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161105041036/পুষ্পনাদ2016-11-05T04:11:16-04:002023-06-25T18:33:48-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পরাগধানীর মালিকানা দাবি না করেও নিঃস্বার্থ পুরুষ ফুলটি উড়ে এসে জুড়ে বসা পরাগায়নকে মেনে নেয় আর ভাবে যে, পরাগরেণু থেকে ফিরে এলে মৌমাছিকে শোনাবে তার রৌদ্রাভ নিঃসঙ্গতার কথা। কোনদিনই তার জানতে ইচ্ছে করে নি মেয়ে ফুলটির নাম। গর্ভকেশরের সর্পিল পথে তাকিয়ে তার মনে হয়, আরে আমিও তো মেয়ে একটা।<br />Random চলনে অভ্যস্ত বলে মৌমাছিরা আর ফেরে না, ক্ষুধার অধিক কিছু ইদানিং তারা<br />জানে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161104081734/দায়2016-11-04T08:17:58-04:002023-06-25T18:33:39-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মধ্যরাতের ভাঙা ঘুমে শুয়ে থাকি<br />সাউন্ডপ্রুফ স্মৃতিঘরে এত এত হল্লা -<br />ভোরের আকর্ষণে আমার দিক ঠিক নেই<br />মুখোমুখি সোজা দৌড়াচ্ছি সুবহে সাদিকের দিকে। <br />এত তাড়া খেয়ে খেয়ে জখম<br />নির্লজ্জের মতো তবু রাত্রির গলা ধরে,<br />গল্প শোনার মতো পড়ে থাকি।<br />প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় একবার করে<br />আমার দাহ সম্পন্ন হয়,<br />মুখাঘ্নির ভার তো রাত্রিই নেয়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161101053110/বিরতিহীন জড়তায়2016-11-01T05:31:39-04:002023-06-25T18:33:39-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আত্মহত্যাপ্রবণ এক ষোড়শী যদি সাত দিন সাত রাত ধরে লোভ সামলিয়ে গলায় পরে থাকে ধুতুরার মালা, তবু বলবো তার কাছে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নাও তুমি নিজে জীবিত কিনা। পারতপক্ষে চলমান সকলেই একই রকম সচল, এটা ভাবা বোকামি। আমার গোপন ইচ্ছা, কোন এপিটাফ নয়, সমাধির চারধারে বাজতে থাকবে মাইলস ডেভিসের অন্তহীন জ্যাজ। ধূলিকণায় পরিণত হয়ে পৃথিবীকে মুক্তিবেগে ধাক্কা দেওয়ার ইচ্ছেটা লালন করে আসছি বয়ঃসন্ধি থেকেই। কোনরূপ সময়জ্ঞানহীন দেবতারা যখন খাচ্ছে এবস্যুলিউট ভদকা, তখন হিসেবরক্ষক দুই ফেরেশতা ভাবছে, এই বুঝি শেষ হলো কার্যদিবস। ফেনোমেনা ছাড়াই যদি পৌঁছানো যায় স্বপ্নগঙ্গা , কি আর ক্ষতি হবে এলার্মে আটকানো ঘুমে?</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20161031023327/দুর্যোগ2016-10-31T02:33:44-04:002023-06-25T18:33:39-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>গভীরভাবে দেখি তোমার জীবনের সমূহ জলবায়ু, <br />এক দশকের জলবায়ু অন্য দশককে পাল্টে দেয়।<br />এর মধ্যেই ঘনঘটা, মেঘ - রৌদ্র - বিকার,<br />একটা আস্ত জীবন পেয়ে রূপান্তরের পথ ধরে যাচ্ছ,<br />যেমনটা সবাই যায় কিংবা -<br />আমারও যাওয়ার কথা ছিল।<br />অথচ বিশ্রী এক নাতিশীতোষ্ণ দিনেই বসে রইলাম অদ্যাবধি<br />বিকারগ্রস্ততার নানা প্রকরণ, <br />ঘুমঘুম চোখে স্বভাবতই আড়ালে যায়। <br />এই বিপদসংকেতের কোন নম্বর জানা নেই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160621064919/পরিপাট্যের ভাঁজ খুলে যায়2016-06-21T06:49:48-04:002023-06-26T00:49:42-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ভূমিষ্ঠকাল থেকে স্বপ্নগুলো ট্রান্সপারেন্ট জারে বন্দী। বাইরে থেকে কিছু দেখি, সময় করে জিইয়ে রাখি। আদি জলজের জন্য আছে কান্নাভেজা পরিচর্যা, আর গুটিগুটি পায়ে যেটা জারের গায়ে ধাক্কা দিচ্ছে আলতোটি করে, তার জন্য বোবা শোক। এটাও পরিচর্যা, সমবেদনার এঙ্গেলে।<br />হাঁটতে শেখা শুরু হলে বাইরে নিয়ে আসার রীতি নেই। যেই না ভাবি কিছু পোক্ত হলো, অমনি দেখি ফের চলে গেছে সদ্য চোখফোটা দশায়।<br />আমার স্বল্পমাত্রার প্রফুল্লতার দৃশ্য কার্যত দীর্ঘমেয়াদি সুখবিরতির সংকুলানে চলে যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160609013602/জলচরের নিকট মার্জনা2016-06-09T01:36:42-04:002023-06-26T08:36:57-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সমুদ্রের কাছে গেলে ওল্ড ম্যান সান্টিয়াগোর কথা মনে পড়ে, তবে খুব কম। সেই যে বড় ডলফিনটা মবি ডিক, কিংবা রবিনসন ক্রুশোও সমুদ্র সাপেক্ষে বেমানান। সাতাশ বছর নির্জন দ্বীপে থাকায় কোন বাড়তি কৃতিত্ব অর্জিত হয় না।<br />সমুদ্র মানেই আমার কাছে সেই মৎস্যকুমার ইকথিয়ান্ডর। আহা, সে বেচারা ছিল বিষণ্ণ এক উভচর মানব। তার ছিল মানুষের ফুসফুস আর ডলফিনের ফুলকা। সমুদ্রেই থাকতো সে, ঘুরে বেড়াত অবাধে, কথা বলতো মাছেদের সাথে। ডাঙায় আসতো খুব কম।<br />একদিন নির্জন এক দ্বীপে ইকথিয়ান্ডর দেখলো সুন্দরী গুত্তিয়েরেকে। প্রেমে পড়ে গেল উভচর মানবটি। মেয়েটাকে একবার কেবল দেখার জন্য সময় সেই অসময় নেই, সে উঠে আসতো শক্ত ভুমিতে। এভাবেই অত্যাধিক ব্যবহারে তার ফুসফুস বিকল হয়ে যেতে থাকলো। গুত্তিয়েরেকে দেখার পরে সে আবার ফিরে পেত উদ্যম, ফের চলে যেত সমুদ্রে।<br />গুত্তিয়েরেকে চাইত এক ডাঙার মানুষও। সেই ক্রোধান্বিত পশুটির রোষানলে একদিন ইকথিয়ান্ডরের ফুসফুস পুরোটাই অকেজো হয়ে গেল। সে আর মাটিতে থাকতে পারল না, মানুষ প্রাণীটার উপর এক সহস্রাব্দের ঘৃণা ছুঁড়ে দিয়ে এক বুক অভিমান আর প্রিয়সীর জন্য জন্মান্তরের ভালোবাসা নিয়ে সে ঝাঁপ দিল সমুদ্রে।<br />উভচর মানবটিকে তারপর আর দেখা যায় নি। ওর কান্নার নোনাজলে সমুদ্র পুরোটাই লবণাক্ত হয়ে গেল। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে বসি। ইকথিয়ান্ডরের জন্য আমার কান্না পায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160604030418/ক্লাউড সিকনেস2016-06-04T03:04:58-04:002023-06-25T18:33:37-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমি দুপুর বলি না, এপারের জংধরা কাঁটাতার <br />আর অসহায়ত্ব ছুটিয়ে ঘুম আনতে বলি, দুপুরবেলা।<br />আর এখন তোমার নাম দিলাম অন্তঃক্ষরা <br />চলে গেছ বহু শীত আগে দূরের সমুদ্রে<br />চলে গেছ দীর্ঘ পথ সবুজ ঘাসেদের মাড়িয়ে<br />আমি অনেকদিন হলো, কেবলই ঘুমাতে চাই -<br />তাই তুমি কোন সমুদ্রে যাও নি, তোমার সলিলসমাধি হয়েছিল। <br />তাই তুমি চলে যাও নি, আর কোন প্রস্থানও হয় নি তোমার। <br />নিজেকে অস্বীকার করছি, <br />তুমি অন্তঃক্ষরা, ব্যথাতরলের অববাহিকা -<br /> ভুবন ভ্রমণের ব্যস্ততায় আছ।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160527031611/আশংকা2016-05-27T03:16:28-04:002023-06-25T18:33:37-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>নিতান্ত নিরুপায় না হলে<br />জলচর প্রাণীরা উভচর হয় না।<br />বিবর্তনও তাই বলে।<br />পৃথিবীর ডাঙা ছিল একদা প্রাণহীন<br />স্থলজ শূন্যতায় মুহুর্মুহু সয়লাব।<br />অথচ, যখনই প্রয়োজন হয় বিনোদন<br />কিংবা নিখাদ অলস পর্যটন -<br />শুধু তখনই মাটির প্রাণী জলে নেমে পড়ে।<br />জলকেলি করে, সাঁতরায়। <br />এইসব ভারসাম্যহীন দৃশ্য দেখে<br />আকাশচারীরা আবার হাসে।<br />সারা মরুভূমি দাপিয়ে বেড়ালেও<br />উট শুধুই দু পায়ের পাখি গোত্রভুক্ত।<br />সে ডানাহীন, বিষণ্ণ উট।<br />চড়ুয়ের কাছ থেকেও সে পায় উপহাস।<br />আর আমরা, সামাজিক স্তন্যপায়ীরা -<br />জীবনভর ঘেঁটে গেলাম অন্যদের বাস্তুসংস্থান।<br />সময় যাচ্ছে, আরও দুর্বল হয়ে পড়ছি<br />জন্মের পর কতো শত দিন চলে যায়<br />তবু আমরা হাঁটতে নিই দীর্ঘ প্রশিক্ষণ।<br />এসব মাথাব্যথার কারণ নয় মোটেই,<br />মিসিং লিংক বলে দিচ্ছে -<br />ধীরে ধীরে স্ফীত হতে হতে<br />মনুষ্য প্রজাতির মস্তিষ্ক, গোটা মাথাটা নিয়ে<br />শরীর সাপেক্ষে বেখাপ্পা বড় হবে।<br />তখন সেই আজব খেলনাটা নিয়ে<br />কে বা কারা যে খেলবে,<br />তার সামান্যতম আভাসও, মানুষ জানে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160520032320/অপারগ2016-05-20T03:23:51-04:002023-06-25T18:33:37-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ঠিক কোথাও যেন আমি একটা টকিং টম হয়ে চ্যাপ্টা মুখ নিয়ে চেয়ে আছি। সদ্য হাঁটতে শেখা কোন শিশুকে মোবাইলে টকিং টম ধরিয়ে দিয়ে তার মা যেন রান্নাঘরে ব্যস্ত। ছোট্ট বাচ্চা, কিই বা সে বলে? তবু তার বলাটুকু আমি কিছুতেই ধরতে পারছি না। চেষ্টা করছি কাছাকাছি নকল করতে, সেটাও হচ্ছে না। শিশুটির এলোমেলো স্পর্শে আমি, এই টকিং টম পর্দা থেকে হয়তো বা সরে গেলাম। ওর কাছে আমার এই নিদারুণ অসহায়ত্ব কিংবা এ সম্পর্কে সে কিছুই জানে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160514065816/হৃত2016-05-14T06:58:45-04:002023-06-25T18:33:35-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মানুষেরা ভয়ংকর। নকশাকাটা খুনের প্ল্যান থেকে শুরু করে মানুষের হাত, পা, মাথা সবই ভয় জাগায়। আমি নিজেও যেহেতু মানুষ, মানে মানুষ যাদের বলা হয়, তাদের সাথে সাদৃশ্য আমারও আছে, তাই আমার মতোই কেউ কেউ হয়তো এই আমি মানুষটাকেও ভয় পায়। কোন কোনদিন ঝুলে থাকা হাত দুটো আর নিরুপায় পা দুটোর দিকে তাকিয়ে ভাবি, তারা কোনদিন সহোদরা হলো না। কোন জিনিসকে একই সাথে হাত দিয়ে সরালে এবং পা দিয়ে ঠেললে সেই জিনিসের আপাত অস্তিত্ব নির্মমভাবে অস্বীকার করা হয়। তাই আমি তাদেরকে মিলেমিশে ভারসাম্যে থাকতে বলি। আর আমার বাকপ্রতিভা আর কিছু না পারুক, মানুষের কাছে প্রতি মুহূর্তে তার বর্জনযোগ্যতা ফাঁস করে দিচ্ছে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160501053422/সন্ধিপ্রস্তাব2016-05-01T05:34:45-04:002023-06-25T18:33:35-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পারমাণবিক বিচ্ছেদাস্ত্র পরিচিত কোথাও লুকিয়ে রেখে দাও তুমি। আসন্ন বর্ষাদিনে কিছুটা মানবিক হওয়ার প্রস্তুতি নাও। বেছে নাও সুবিধামাফিক কয়েকটা ভালবাসাস্নাত দিন। এর মাঝে কোনদিন তুমি হয়ে ওঠো আলঙ্কারিক। কোনদিন হয়ে যাও কিছুটা মাঙ্গলিক। কোনদিন পুরোটাই তোমার, কিছু একটা হও, একটু বৃষ্টিদিনের ইচ্ছেমত, আর বাকিটা তোমার চাহিদামাফিক।<br />আর আমি তো কবে থেকেই বহুধা বিভাজিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। তার প্রতিটি থেকেই তোমার দিকে ছুটে যাচ্ছে অনুরোধ রশ্মি। আমি নিস্পৃহ, তবে এদেরকে তুমি রক্ষা কর, করুণা দেখাও।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160427084252/জিজ্ঞাসাবাদ2016-04-27T08:43:14-04:002023-06-25T18:33:35-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>জীবন এসে কিছুটা অভিযোগ ভঙ্গিতে বলে,<br />সময়ের সাথে পুরোটাই তো মিশে গেলাম,<br />এর মাঝে তুমি কোথায় ছিলে?<br />আমি বলি, আমার এলিবাই আছে।<br />তুমি যখন মিশে যাচ্ছিলে,<br />আমি ছিলাম হয়তো প্রাণ পরিত্যক্ত হিমে<br />কিংবা কোন পরাবাস্তব ঘুমে।</p>
<br /><p>- অথচ আশ্চর্য! তুমিই যাপন করেছ আমাকে।<br />- চুপ করো তো! বলেছি তো শক্ত এলিবাই আছে।</p>
<br /><p>হাত থেকে দস্তানা আর জুতো মোজা খুলে<br />অতঃপর জীবন হাঁটা দেয় অন্য কারও দিকে<br />অন্তত যে মানুষ দায়টুকু, দোষটুকু --<br />নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নেবে।</p>
<br /><p>প্রতিদিন, শয্যার প্রতিটি পাশ ফেরায়<br />এভাবেই জীবন আর আমি, আমি আর জীবন<br />এক শান্ত, দ্বন্দ্বমুখর স্তব্ধতায় মেলে রয়েছি। </p>
<br /><p>এখন আমরা চোখের পলক দেরিতে ফেলি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160421115155/সেইসব যন্ত্রজীবন2016-04-21T11:54:14-04:002023-06-25T18:33:35-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>'তুমি আসবে বলে তাই, আমি স্বপ্ন দেখে যাই<br />আর একটা একটা করে দিন কেটে যায়। '<br />(অঞ্জন দত্ত) </p>
<br /><p>দিনগুলোর গলায় পরিয়ে দিই স্তব্ধতার মালা। আমার সবগুলো সময়ই এখন প্রস্তুতিপর্ব। কিছু রেখে দিয়েছি জরিবুটি। সাঁতার কেটে সমুদ্রেরাই এখন চারদিক থেকে কেবল ছুটে ছুটে আসে। পুরোটা দ্বীপে একটাই গাছ আমি, দেহ জুড়ে ভ্রুণস্মৃতি। শ্বাস সহায়ক সহজ বাতাস, অগণিত তোমাকে।</p>
<br /><p>আগুন প্রশ্রয়ে আমার স্মৃতির সাথে সহমরণ। তোমার নভেম্বর রেইন আমার রেইনকোট অবধি এসেই পুনরায় মেঘে ফিরে গেছে । দেখো, সকল সতর্কব্যবস্থা ভেদ করে কেবলই নিস্তেজ চাউনি, ফিফটি শেডস অফ গ্রে। </p>
<br /><p>আরও অধিক আয়ুর নিশ্চয়তা নিয়ে সবশেষে এক শতবর্ষী বনসাই হয়ে পড়ে আছি। কিছু উপেক্ষার প্রাণ হরণ করে নাও। তুমি তো আর জানো না, ছোট্ট বনসাইটা মনে মনে দ্য স্ট্রেঞ্জ বিগ বিন। <br />লোপামুদ্রার অধিক তুমি চেয়ে যাও, কিন্তু আমি তো অগস্ত্য মুণি নই। নিরাপদ ছায়ায় বসে আমার যাবতীয় আবাদ। শূণ্য দূরত্ব অসীমের অধিক এবং তারপরে উর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160318110655/পলাতক2016-03-18T11:07:20-04:002023-06-25T18:33:33-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>পাখা যতোটা ওড়ায় সহায়ক ,<br />তারচেয়েও বেশি উপযোগ <br />ছানাদের আগলে রাখায়।<br />ওই আকাশ পরিবারে<br />একা ঝুলে থাকা, বিবর্ণ -<br />বন্ধ্যা পাখিটির কষ্টের ভারে<br />প্রতি বেলা,<br />আকাশ পড়ে যায় ওইখানে।<br />যদিও নকল নয়,<br />জন্মসূত্রে আসলই ডানা,<br />তবু প্রতিটি বন্ধ্যা পাখিই<br />দিনে রাতে অজস্রবার<br />নিজেকে ইকারুস ভাবে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160316110429/মঞ্জুর2016-03-16T11:04:46-04:002023-06-25T18:33:33-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>প্রমিত শোকে কোন আস্থা নেই, <br />সবকিছু নিজ দিকমুখী, <br />শোকের কোন দিক, কুল থাকতে নেই। <br />শোকের উচ্চারণে ভদ্রভাষা ফেলনা যাক<br />আমি তো এপিঠওপিঠ করে<br />বহুবার শোক নেড়েচেড়ে দেখি<br />সুকথা, কুকথায় সয়লাব।<br />বহুদিক ঘুরে মূল্য না পাওয়া শোক<br />এইখানে এসে গেঁয়ো হয়ে যাক।<br />কথা বলুক নিজ চেতন মনে<br />চৈত্র শুরুর হাহাকার বাতাসে।<br />পরিপাটি কাপড়চোপড় ছেড়ে<br />উতলা শোক করুক বৈধব্যের স্নান।<br />সন্তোষের কথোপকথন রেখে,<br />আহা! শোক আমার -<br />দেখাক তার বয়সী অভিমান।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160303111312/সমুদ্র এক বিষণ্ণ সাঁতারু2016-03-03T11:13:51-05:002023-06-25T18:33:33-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সমুদ্র কি কাঁদে কখনও?<br />যদি কাঁদে,<br /> তাহলে সেই কান্না সে কোথায় রাখে?<br />পুরোটা সমুদ্রই তো কান্না<br />জমাট কান্নাতেই সমুদ্রের পূর্বগল্প ।<br />তবে আলাদা বলে যাকে<br />সমুদ্র বলে জানি -<br />সে কোথায় থাকে?<br />যে ছোট বড়, শান্ত উন্মত্ত ঢেউগুলো -<br />ওগুলোই হলো সমুদ্র।<br />তীরের দিকে , <br />কান্নার উপরিভাগ দিয়ে<br />সাঁতরে যেতে যেতে<br />সেও কাঁদতে কাঁদতে বলে,<br />এক সময় কান্না ছিলাম,<br />এখন সমুদ্র হয়েছি।<br />তবু নোনাজল থামে নি ।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160226042414/এগিয়ে আছি একা পথে2016-02-26T04:24:43-05:002023-06-25T23:49:02-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে সরোজিনী, তুমি জানো? ঘুমাতে যাবার আগে ছোট্টটি থাকি, আর উঠে দেখি বড় হয়ে গেছি ঢের। আমি কি তাহলে রিপ ভ্যান উইংকলের মতো ঘুমাই?<br />তুমি ভাবতে থাকো, কেননা অনন্ত শূন্যের মতো তোমার বয়সের তো কোন গাছপাথর নেই। আর ফুরিয়ে যাওয়ারও কোন বালা নেই। আমার আছে। ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় নিয়েই পা ফেলি, থামি, আবার এগোই। কি করে সময়ের খাকি হিসাবনিকাশের বাইরে চলে গেল তোমার জীবন? কেন তোমার সাথে একই সমান্তরালে আমি বেঁচে থাকছি না ... কেন নির্দয়ের মতো যাবতীয় ভারি ভারি সময় আমার দিকে ধেয়ে আসছে?<br />এই ভারসাম্যহীন, স্বল্পমেয়াদি, অনিচ্ছুক ভ্রমণ সামনে চলে আসলেই আমার গালিবের কবিতা মনে পড়ে।</p>
<br /><p>প্রতীক্ষাই আমার জীবন<br />তোমাকে আমি ছুঁতে পারি না <br />এই জীবন যদি আরও দীর্ঘতর হতো<br />তবে তাও হতো ব্যথাতুর প্রতীক্ষার জীবন...</p>
<br /><p>তোমাকে সবুজটি রেখে স্বার্থপরের মতো আমি বাদামী হয়ে উঠছি দিনকে দিন। তারাখসা দেখতে তোমার নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগতো। হাওয়ার অন্তহীন মই বেয়ে কোথায় চলে গেলে? আকাশগঙ্গার কোথাও যদি ডাকঘর থাকে, তবে খসে পড়া তারাদের কাছে খবর পাঠিও। সরোজিনী, তোমাকে আমার এক অধিবর্ষ ঈর্ষা।<br /> আমার বয়স বাড়ে, সরোজিনী তোমার বাড়ে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160222125821/নিজ দৈর্ঘ্যের দ্বীপে2016-02-22T12:58:53-05:002023-06-25T18:33:31-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>"আজ অবহেলা ছলনা দিয়ে ঢেকো না। "<br />-- রবি ঠাকুর। </p>
<br /><p>কিছু ব্যাপার ভয়ংকর,<br />খুব বেশি করে ঘটলে<br />অশ্লীলও বলা যায়।<br />বিকেল যদি একঘেয়ে হয়ে যায় -<br />তবু সন্ধ্যার হাতছানি<br />একটা সম্ভাব্য মিথ্যাচার।<br />দিনে আমার স্থানাভাব<br />তবু রাতের স্বপ্নের সাথে<br />দিবাস্বপ্ন মিলিয়ে দেখা পাপ।<br />হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়লে<br />পথ্য একমাত্র না হাঁটা।<br />কেউ যানে চড়তে বা শুতে বললে -<br />সেই বাহুল্য দূরে থাকুক।<br />আর একটার উপরে<br />অন্যটাকে ফেললে -<br />সেই ফেলাফেলি<br />আমার থেকে <br /> একশো হাত দূরে ঘটুক।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160221023103/নিরীক্ষণকালে2016-02-21T14:31:47-05:002023-06-25T18:33:31-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>একটা পরাবৃত্ত,<br />তার সব রকম বাঁক, সাজসজ্জা খুলে<br />নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের নিপাট বৃত্ত হয়ে যায়।<br />তারপর আস্তে আস্তে<br />বৃত্তটি ছোট হতে হতে<br />কেন্দ্রে চলে আসে।<br />এক সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।<br />এটা হলো বাইরে থেকে দেখা,<br />যদি ভেতরে যাই,<br />একটা পিনড্রপ সাইলেন্সের ভেতর<br />স্বার্থপরের মতো<br />ওটা ঢুকে গেল।<br />আমি বোকার মতো<br /> ইরেজার হাতে নিয়ে বসে আছি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160217033125/প্যান্ডোরার বাক্স - ৬2016-02-17T03:31:47-05:002023-06-25T23:50:05-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>দিনশেষে জেনেছি, আর সব শরণার্থী প্রেমিকের মতো আমিও তোমার কাছে টেলিপ্যাথি ছাড়া কিছুই শিখি নি।<br />*<br />হামিং বার্ডও কি অভিমানের সময় ভাববাচ্যে কথা বলে?<br />*<br />যে ব্যথা, যে দুঃখ, যে শোক পরিতাপে তুমি নেই, ফর গডস সেক সেই যাতনা যেন কোনদিন আমার না হয়।<br />*<br />মেঘ আর কিছুই নয়। শুধু আরও একটা মৌলিক কান্নার প্রস্তুতিপর্ব।<br />*<br />পৃথিবীর সকল ব্যর্থ প্রেমিক ভাই ভাই। অন্তত বর্ষাদিনে।<br />*<br />ধনপতি আর লহনা একে অন্যের দিকে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিচ্ছে।<br />নিশ্চিন্তে। মেঘমহলের নিরাপত্তা বলয়ে।<br />*<br />তোমার মনের কোন উঁচু অথচ অগোচরের দেয়ালে এক জড়োসড়ো ক্যালেন্ডার হয়ে ঝুলে আছি। তুমি কাটাচ্ছ বর্ষাকাল, অথচ আমাকে রেখে দিয়েছ খরার দিনে।ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাও নি।<br />*<br />মাঝরাত্তিরে ব্যালকনিগুলো পরিণত হয় এক একটা লাশবিহীন নিঃসঙ্গ কফিনে।<br />*<br />স্মৃতি এক্কে স্মৃতি<br />স্মৃতি দু গোনে ব্যথা। <br />*<br />আবহমান কিছু শপথ<br />প্রতিরাতে এই শহরের অলিগলি ঘুরে<br />এক সময় বিষণ্ণ বসে পড়ে। <br />তারপর ভোরের আক্রমণে<br />শপথ আর স্বপ্ন <br />সবকিছুই স্পট ডেড হয়ে যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160215054502/পাশা2016-02-15T05:45:19-05:002023-06-25T18:33:31-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>একটি একোয়ারিয়ামকে <br />সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়ার পর<br />সেটি তলদেশ অবধি চলে গেল।<br />মাছেদের কাছে সেটা চিহ্নিত হলো<br />উঁচু জাতের মাছেদের প্রাসাদ হিসেবে।<br />দ্বাররক্ষী হিসেবে নিয়োগ পেল<br />শূদ্র মাছেরা - <br />যে মাছেরা আকৃতিতে ছোট বলে<br />মানুষের নির্বাচন প্রক্রিয়ায়<br />পৃথিবীর একোয়ারিয়ামগুলোতে <br />উপযুক্ত হিসেবে স্থান পায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160213031716/মিসিং লিংক2016-02-13T03:17:36-05:002023-06-25T18:33:29-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বিরতি মানেই বিরাম নয়<br />শুরু এবং শেষের মাঝের সময়টা<br />মানুষ সাপেক্ষে দীর্ঘতর হলে -<br />বিরতি দেওয়া হয়। আমরা বিরতি নিই।<br />আর বিরাম নিতে গেলে<br />দরকার হয় কিছু ব্যক্তিগত দক্ষিণদিক<br />আর স্থূলকোণী চাউনি।<br />মানুষ সোজা তাকায়, নাক বরাবর<br />স্থির কিংবা হাঁটতে থাকে,<br />আর ভাবে বিরাম পুষিয়ে নিচ্ছে।<br />বিরতির পর বিরতি যায়<br />বিরাম আসে কি?</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160212013338/পরিমিত2016-02-12T01:34:08-05:002023-06-25T18:33:29-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>অনাগত সকল সেকেন্ড মিনিট ঘন্টার কাঁটা<br />আমার দিকে কেমন রোমশ হাত বাড়িয়ে রেখেছে,<br />তুমি এসে এই সামনের দিনগুলো থেকে<br />বাছাইকৃত দু একটা দিনের গোড়ায় <br />একটু পরিচর্যা ঢেলে দিও।<br />ঘন, নিশ্চিদ্র বনের কথা ইদানিং আর ভাবি না<br />নরোম, বিনীত কান্ডের গুল্ম হলেই<br />বড়োজোর আট দশকের একটা জীবন <br />রোদমাখা ছায়ায় কাটিয়ে দেওয়া যায়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160211122649/গুটি2016-02-11T00:27:24-05:002023-06-25T18:33:29-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>জীবন এক অদ্ভুত কাটাকুটি খেলছে আমাকে নিয়ে, <br />আধিভৌতিক এক সাপলুডুর কোর্টে এসে পড়েছি<br />মই দিয়ে উঠে যাচ্ছি,<br />আবার এক পেটমোটা রঙিন সাপ কোঁৎ করে গিলে ফেলছে।<br />দৃশ্যচিন্তা আর অবচেতনের হাত ধরাধরি করে চলা পথকে<br />আর ঈর্ষা করি না -<br />ভ্রুক্ষেপ নেই অনুমতি ছাড়াই বিকেলবেলা কে এসে পড়ছে ঘরে। <br />বিষাদার্জিত সন্ধ্যাটা একা কাটিয়ে কিছু অহমবোধ হয়, <br />কেমন হতো -<br /> যদি পৃথিবীর সব মানুষের জুতো একসাথে চুরি হয়ে যেত ?</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160210062331/প্যান্ডোরার বাক্স - ৫2016-02-10T06:23:54-05:002023-06-25T18:33:29-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মাঝেমাঝে স্বপ্নের ভেতরে এক অযাচিত মাছরাঙা এসে পড়ে। তারপর স্বপ্নটা ক্ষতেয় ভরে যায়। জলজ স্বপ্ন কখনো বা সরীসৃপ হয়ে গিয়ে তার মুদ্রণযোগ্যতা হারায়। <br />*<br />একটা দিন। তার শুরুটা সকাল, শেষটা সন্ধ্যা। যদিও কেউ কেউ রাত্রি পর্যন্ত গণনা করে। আমি কোন চিত্রকরের ফেলে দেওয়া মেয়াদউত্তীর্ণ জলরং।<br /> মধ্যদুপুরের বেশি যেতে পারি না।<br />*<br />যতোই হোক নিস্পৃহ দিনকাল, আসলে পার করছি একটা রাটলস্নেকের জীবন। <br />*<br />তেমন জুতসই অশ্রু হলে<br />আমাকেই দিও।<br />*<br />দিনগুলো সব পরিত্যক্ত আর রাতগুলো থেকে যাচ্ছে অসংশোধিত অবস্থায়। <br />*<br />হাসি নেই, কথা নেই। আমাদের মাঝে কেবল পারঙ্গমতার প্রশ্ন। <br />*<br />স্পন্দনহীন কোন ধাতব সুন্দরীর মতো শুয়ে আছে চ্যাট হিস্টোরি।<br />*<br />প্রলয়ের দিনেও তোমাকে বুঝতে থাকবো। ঈস্রাফিলকে বলবো, জাস্ট আ সেকেন্ড।<br />*<br />আমার শহরে -<br />সুখেরা দিব্বি ঘুরে বেড়ায় কাস্টমাইজড হয়ে।<br />*<br />ত্রিশ পারা বেদনা মুখস্ত আমার, আর তুমি জিজ্ঞেস করো অশ্রুর নিচে কয় নোকতা??</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160206024238/প্যান্ডোরার বাক্স - ৪2016-02-06T02:43:04-05:002023-06-25T18:33:27-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>মাধবীলতা , প্রেমিকরা এখন ভালোবাসা নয় , স্বাভাবিক বিচ্ছেদের গ্যারান্টি চায় ।<br />*<br />এক তামসিক বিষবৃক্ষের নিচে কাটিয়ে দিচ্ছি পুরোটা জীবন। কিছু বৈকালিক নিদ্রা ধার হবে? <br />*<br />ঘুমের এধারে ওধারে বসেছে বিস্মৃতির ব্যারিকেড। ভেতরে স্বাপ্নিক গোলযোগ।<br />*<br />বৃক্ষপাতা থেকে শুরু করে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত ছায়াপথগুলো পর্যন্ত ভুগছে ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সে। সেখানে আমি নিজেকে তোমার একটুখানি যোগ্য বলে কীভাবে ভাবি? <br />*<br />কোনমতে অঙ্কুরোদগম হয়ে গেলেই শুরু হয় বাড়বাড়ন্ত বৃক্ষের স্বার্থপর বাসনা। বীজ পুঁতে রেখে চলে যাওয়া, সে ধাতে নেই। বয়সের সমস্তটাই নিয়ে বসে আছে আমার প্রতীক্ষাজীবন। <br />*<br />মাধবীলতা, মেয়েদের হৃদয়ের রিখটার স্কেলে ছেলেদের হৃদকম্পন ধরা পড়া এখন বলতে গেলে বিরল ঘটনা। <br />*<br />বিকল হয়ে গেছে তোমার মনের সকল দূরবীন আর মাইক্রোস্কোপ। দূরত্ব, ব্যথা, অভিমান, তোমার সাথে আমার এই তিনটা মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। আজ এত এতদিন পরে তোমার কথাগুলো যখন ডিকোড করছি নিরুপদ্রব বিকেলে, মনে পড়ে যাচ্ছে সেই সব কথা যা তুমি কোনদিন বলো নি। এই বিরহ প্রেমের অধিক। <br />*<br />কেউ আর ঘনায়মান অন্ধকারের কথা বলো না। এখন কেউ একটু খুনসুটিতে মনোযোগ দাও, এখানে আনন্দ। শুধু বলে যাচ্ছো বহুশ্রুত কথাগুলোই, শব্দহীন থেকে গেলে, সেটাও তো কথা? এইসব দ্বিধা বাদ দিয়ে রণপা পরে বিকেলের দিকে কিছুক্ষণ হেঁটে এসো। অনেক অনেক ভ্রমণবৃত্তান্ত আর বেগুনি স্বপ্নের নথিপত্র দরকার। <br />*<br />পুরোটা বায়োস্কোপ জুড়ে<br />শুধুই ডার্ক ফেস<br />একটার পর একটা। <br />*<br />ব্যথা কিংবা না ব্যথা, পরিচর্যা পেলে সবই রগরগে হয়ে ওঠে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160203125448/দুঃখছাউনি2016-02-03T00:55:14-05:002023-06-25T18:33:27-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>প্রেমে ব্যর্থ হয়েও প্রেমিকরা ওভারব্রিজ পার হয়।<br /> প্রেমিক চলে গেলে ভ্যানিটিব্যাগের একটা ফিতা<br />মেয়েদের কাঁধ থেকে খসে পড়ে কিনা, তা আমি জানি না।<br />আমরা স্বপ্নজাত -<br />ম্যাজিক্যাল কিংডম কিংবা ওয়ান্ডারল্যান্ড,<br />কোথাও আমাদের জন্য জায়গা নেই।<br />বেহেশতের উঁচু স্তর আমাদের পাওনা,<br />আল্লাহ তো 'হও ' বলেই খালাস<br />সুন্দরতম বিন্যাসে ব্যর্থরাই পারঙ্গম।<br />হে আল্লাহ,<br />অতঃপর তুমি আমাদের<br />কোন ভালোবাসাকে অস্বীকার করবে?</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160202021555/ভাববাচ্যে ভালোবাসা হয়2016-02-02T02:16:22-05:002023-06-25T18:33:27-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>কি খবর? চলছে কেমন?<br />কোথায় এখন ... কেমন থাকা হয়?<br />একই ধরণের প্রশ্ন<br />আমাকেও অহরহ শুনতে হয়।<br />এই প্রকার বর্তমান টিকে গেছে -<br />এরকমটিই মেনে নিয়েছি,<br />এক সময় 'ভালোবাসি ' বলা আমাদের,<br />এখন ভাববাচ্যে ভালোবাসা হয়।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160201020909/হোয়াট টাইম ইজ ইট2016-02-01T02:09:56-05:002023-06-25T18:33:27-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শীতনিদ্রা কিংবা কোমা, দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে বসলেন এক কবি। তখন সময়টা কতো, কবি ঠিক জানেন না। ঘরের পর্দা টানা, ফোয়ারার মতো ইলেকট্রিক আলো, কবি ভাবলেন গভীর রাত। নিস্তব্ধতা, অন্ধকার, বিষণ্নতা নিয়ে লিখলেন পরপর দুই দুইটি কবিতা।<br />খানিক বাদেই জোহরের আজান হলো। বেরিয়ে দেখলেন ঘোরতর আলো, প্রখর সূর্যতা। পয়দা হয়েই গেছে, তবু কি রেখে দেবেন কবিতা? নাকি ফেলে দেবেন? এখন রাত্রি ভেবে তো ওগুলো লেখা। <br />কবিতা লেখা হয়ে গেছে, সেটা ভেবেই রাত্রি নামানো যাক। <br />অবেলায় রাত্রি নামাতে নামাতে কবি আবার অচেতনে চলে গেলেন। <br />লেখা হয়েছিল দুপুরবেলা, কবি ঘুমুচ্ছে বিকেল অবধি, পাশে পড়ে আছে রাত্রিকালীন কবিতা।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160130122929/পুরোনো অসুখের অকশন হাউজ2016-01-30T00:29:55-05:002023-06-25T18:33:24-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বিনিময়, তুলাদণ্ড, মূল্য এবং পরিশোধ<br />হাঁকাহাঁকি, স্থির সংগ্রাহক,<br />এই দেখে ক্রিমমাখা সন্ধ্যা বলে,<br />সব জোচ্চুরি! ফিরে আয় দেখি --<br />ফেরে না,<br />সংগ্রাহক কখনো আর ফেরে না<br />অকশন হাউজকে সে বেজায় ভালোবাসে<br /> কোন সন্ধ্যায় যদি না মেলে কিছু,<br />সে ঠায় বসে থাকে,<br />আর যদি মেলে, আদতে ফেরে না।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160127010809/ভ্রমণের খসড়া2016-01-27T01:08:41-05:002023-06-27T05:23:21-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>আয়ুজ ব্যাকরণ ভুলেছিলাম<br />ব্যবহার্য বায়ু থেকে কিছুটা বেরিয়ে,<br />দেখা হলো স্বপ্নসঞ্চালক দীঘিপাড়ের সাথে<br />শুনলাম জল এবং জলনৃত্যের বিবিধ কৌশল। <br />ততক্ষণে অভিমানী হাওয়া ধরে ফেলেছ<br />দীঘি জানে ফের আমি আসবো<br />দীঘির হাতে হবে অন্নপ্রাশন, হাতেখড়ি। <br />তবে হাওয়ার বুননে তো মাদল আছে<br />বাঁধা পড়ে ভাসতে ভাসতে যাই<br />যেন একটা গ্যাসবেলুন আমি<br />শিশুর হাত থেকে আচমকা ছুটে গেছে।<br />দীঘিবুড়ি জানে এসেছিলাম, থাকি নি।<br />হাওয়াবকুল জানে না, এসেছি তবে -<br />নিয়মিত থাকবো কিনা, সেকথা ভাবি নি।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160126034327/পথে অশ্রুপ্রপাত2016-01-26T03:43:52-05:002023-06-25T23:48:53-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>শীতসন্ধ্যায় আর কিছু নয়,<br /> শুধু পাতাবাহার গাছের মনখারাপ দেখে <br />আমারও মনখারাপের মতো হয়।<br />এরপরেও আর কিছু নয়, শুধু -<br /> দীর্ঘরাত্রির টানা উদ্বেগ কল্পনায়<br />আমারও উদ্বেগ জাগে, বাসনাভর্তি ভয়।<br />ট্রামের তলে মরা কবির ছিল,<br />পরিচিত মুমূর্ষু,<br />হিম কমলালেবুর মাংস নিয়ে<br />শীতের রাতে কবির ইচ্ছে হতো, চলে যাই <br />সেই চেনা মুমূর্ষুর বিছানার কিনারায়।<br />আমি এবং চেনা অচেনা অনেকেই<br />কীভাবে যেন নিয়েছি বিষাদশয্যা -<br />আমাদের জন্য<br />লুপ্ত নাশপাতির গন্ধ নিয়ে আসুন।<br />পৃথিবীর সংবেদ কিছুটা রয়ে গেছে<br />আর তলানিও ফেলনা কিছু নয়।<br />একটা দীঘল, মসৃণ বরফ রাত্রির উপর দিয়ে<br />কথা নয়, স্বপ্ন নয়। নির্ভেজাল হেঁটে যেতে চাই।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160123033738/পরখ2016-01-23T03:37:55-05:002023-06-27T07:07:43-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>তারপর আমাদের নিয়মিত আসবাবগুলো <br />পুরনো হতে হতে -<br />এক সময় ক্লান্ত হয়ে গেল।<br />আমাদের প্রতিদিনকার আচরণগুলো,<br />পেল না কোন নিজস্ব স্বভাব।<br />বোধিনক্ষত্রের নিচে বসে এসবই ভাবা হয়<br />বয়স হয়ে যাচ্ছে সব কিছুর,<br />তৃণাশ্রয়ী আমরা, অথচ কেউ জানি না<br />কেন সরীসৃপ, শ্বাপদের প্রতি অহম<br />কেন আমাদের বস্তুদের প্রতি অহম ...</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160122033030/চোখে ঘুম কৃতজ্ঞতা2016-01-22T03:33:51-05:002023-06-25T23:49:51-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>বলো সকালবেলা,<br />কী চেয়েছিলে? একসাথে -<br />প্রাতঃভ্রমন, তারপর এক টেবিলে নাস্তা?<br />তুমি সকাল, দেখা দিলে পরে <br />ভয় দূর হয়,<br />নিজেকে টানটান দিনের কাছে সঁপে দিই<br />নিশ্চিন্তে ঘুমাই।<br />অথচ তুমি ভাবো --<br />মূল্যহীন আসা, <br />নেই অভিবাদন, নেই কোন চাওয়া। </p>
<br /><p>(শিরোনামে 'ঘুম ' শব্দটির পরে একটি কমা থাকবে। সাইটের ফিচারে দেখলাম শিরোনামে কোন যতি চিহ্ন দেওয়া যাবে না।)</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160121064425/মহাশূন্য প্রবাসী2016-01-21T06:44:55-05:002023-06-25T18:33:22-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ইদানিং পৃথিবীর কথা ভাবার আগেই<br />মহাশূন্যের কথা মনে পড়ে।<br />আমি জেনে গেছি -<br />জুতসই ডানা লাগিয়ে উড়াল দিলেই <br />পৌঁছে যাবো এক অন্তহীন আঙুরের বনে।<br />তারপর মৎস্যগন্ধা পৃথিবীর দিকে<br />অজস্র ধারায় বর্ষিত হবে আঙুর।<br />করো উদরাগত, করো চোলাই --<br />তোমরা চলে এসো ডানা খুঁজে<br />সাথে নিও একটা আলো, ফানুস কিংবা মোমবাতি। <br />খুলে যাবে পথ,<br />ভুলে থাকো বায়ুস্তর, ভুলে থাকো সমুদ্রফেনা<br />আহা আঙুর, ভরহীন মহাশৌন্যিক আঙুর।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160120010112/অশ্রুপতন নীরবতা2016-01-20T13:01:42-05:002023-06-25T18:33:22-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>সমস্তটা রাতই অনিবার্যভাবে<br />শুধুই দীর্ঘশ্বাসের হতে পারতো।<br />তবে এরই মধ্যে কিছুটা সময় নিয়ে<br />লেখা হয়ে গেছে ব্যক্তিগত ত্রিপিটক,<br />বলা হয়ে গেছে কিছু ফিসফাস<br />ভেবেছি সামনে কিছুদিন থাকবো নির্বাক।<br />আর এভাবেই --<br />সমস্তটা রাত, একটু ভিন্নধারার দীর্ঘশ্বাস।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160119012320/পুনর্বিন্যাস2016-01-19T13:24:32-05:002023-06-27T15:31:09-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>দুই দিকে আচ্ছামতো টেনে<br />চলো, রাত্রির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দিই<br />বাড়াতে বাড়াতে -<br />দিনের পুরোটাও রাত্রি করে ফেলি।<br />তারপর চব্বিশ ঘন্টা -<br />সেই বানানো রাত্রির মধ্যে<br />চলো, ঘুরি ফিরি, খাই দাই, হাসি<br />ওভারব্রিজ পার হই, বাসে চাপি।</p>
<br /><p>পুরোনো মন খারাপ, <br />দীর্ঘশ্বাস আর বুকভার দিয়ে<br />আমাদের সীমিত রাত্রি পচে গেছে।</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/post20160116051948/নগ্ন সাঁতার (মূল - অ্যানা সেক্সটন)2016-01-16T05:21:51-05:002023-06-25T18:33:20-04:00আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন) https://www.bangla-kobita.com/orbachin/<p>ক্যাপ্রি দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে<br />পাওয়া গেল ছোট্ট , অপরিচিত একটি গুহা<br />যেখানে মানুষ বলতে ছিল না<br />শুধু আমরাই সেখানে গিয়েছিলাম ।<br />এবং আমাদের শরীর দুটি<br />হারিয়ে ফেলেছিল সকল ভারবাহী ক্লান্তি ।</p>
<br /><p>আমাদের আভ্যন্তরীণ মাছগুলো<br />কিছুক্ষণের জন্য লুকিয়ে ছিল ।<br />প্রকৃত মাছটি ছিল নিঃস্পৃহ ।<br />আমরা এই মাছেদের ব্যক্তিগত জীবনে<br />কোন বিঘ্ন ঘটাই নি ।<br />শান্তভাবে তাদের অনুসরণ করেছিলাম ,<br />তাদের নিচ দিয়ে<br />বাতাসের অগণিত বুদ্বুদ নির্গত হচ্ছিল ।<br />এক ইতালিয়ান নাবিক মুখের উপর হ্যাট চাপিয়ে<br /> তার নৌকার উপরেই ঘুমিয়ে ছিল ।<br />আর ছোট ছোট সাদা রঙের বুদ্বুদ বেলুনগুলো<br />সূর্যের আলোয় এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল ।</p>
<br /><p>জল এতোটাই স্বচ্ছ ছিল<br />চাইলেই পড়ে ফেলতে পারতে একটা আস্ত বই ।<br />এতোটাই সান্দ্রতা যে -<br />তুমি নিরুপদ্রব সাঁতরে যেতে পারতে ।<br />আমি শুয়েছিলাম -<br />যেন শুয়ে আছি ডিভানের উপরে ।<br />আমি শুয়েছিলাম -<br />ঠিক ম্যাটিসি’র ‘রেড ওডালিস্ক’ চিত্রের শয়নের মতো ।<br />জল ছিল আমার অদ্ভুতুড়ে ফুলের উপর ।<br />নারীচিত্র আঁকতে হয়<br />কোন গাউন কিংবা স্কার্ফ ব্যতিরকে<br />কাউচের উপরে শোয়া ভঙ্গিমায় ,<br />একটা সমাধির মতোই গভীর ।</p>
<br /><p>সেই গুহাটির দেয়ালের রঙগুলো<br />সব নীলাভ হয়ে গেল<br />আর তুমি বললে,<br />‘ দেখো ! চোখে তোমার সামুদ্রিক রঙ ।<br />দেখো ! চোখে তোমার আকাশরঙ। ’</p>
<br /><p>আমার চোখেরা বুজে গেল<br />যেন তারা আকস্মিক লজ্জাবনত ।</p>
<br /><p>( Translated from ‘The nude swim’ by Anne Sexton )</p>@ 2024 - আবদুল্লাহ আল হারুন (স্বজন)