: এত স্বপ্ন স্বপ্ন করো কেন?
: জানো তো। আমি নিরূপায়।
: কবিতা লেখার অপচেষ্টা করো খালি। আর সুযোগ পেলেই জন্ম, গন্ধ, স্মৃতি শব্দগুলো যেভাবে পারো ঢুকিয়ে দাও।
: আমি তো আঁধারবিনাশী নই, আঁধারবিলাসী।
: সবকিছুতেই হ্যাবিচুয়াল হওয়ার চেষ্টা করো না। বিপদে পড়বে।
: আচ্ছা, আমার কিন্তু শীতনিদ্রার সময়। তবে যদি বলো, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের মতো নিয়ম মেনে কবিতা লিখতে পারবো।
তিনবেলা। খাওয়ার আগে এবং পরে। প্রেমরোগ সারার গ্যারান্টি আছে তো?
: আছে। তবে 'বিফলে মূল্য ফেরত ' থিওরি খাটাতে পারবো না।
: একটানা একা থেকেছ বহুদিন? স্মৃতি আছে একা হাঁটার? একা বিড়বিড় করার?
: কদাচিৎ। তবে ব্যাপারটা মোটেও ফুল দিয়ে পূজা করার মতো কিছু না।
: নিষিদ্ধ তরলের স্বাদ তাতে। মানো?
: তোমার বিলাসী মন আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাই না?
: তাই বলে কিন্তু বেছে বেছে গীতবিতানের বিষাদমাখা গানগুলোই শুধু শুনবো না।
: বেশি কিছু তো না। মৃত কথাদের খুঁজে বেড়াই। আড়াল থেকে শুধু আমায় অনুসরণ করে চলছ নীরবে। তুমি কি ভাষাহীন তোমার
মতোই কারও দেখা পেয়েছিলে?
: অবশ্যই। সে প্রশ্নরোগে জর্জরিত।
: আমাকেই বলছ তো। জানি। তোমার তো স্মৃতি দরকার। এখনো আছ যে?
: নিয়ম হচ্ছে দ্বিতীয় দর্শন থেকে ভিজিট কম। তোমার বেলায় সব নিয়ম তো উল্টো। মূল্য হারাচ্ছি তো।
: এরপর আসবে জন্ম, নৈঃশব্দ্য, জ্যোৎস্না ইত্যাদি ইত্যাদি। মেডিয়েভাল বৃষ্টি বাদ দিয়ে মডার্ন শাওয়ার নাও। সব ওকে।
: শেষ পথ্য?
: অন্তত আমার বিদ্যায়।
(শিরোনাম বিনয় মজুমদারের কবিতা থেকে নেওয়া)