প্রেমবিদ্যা আয়ত্ত করিতে আসিয়া বংশের ছেলে বেপথু হইয়াছে। ছন্নছাড়া, দলহারা হইয়া সে এখন অকূল পাথারে ভাসিতেছে। অধিকতর সিদ্ধিলাভের দুরাশায় দিনে দিনে সে নারীতে মজিয়াছে। তাহার খাপছাড়া কথাবার্তার অর্থ বুঝা, সে বড়োই দুরূহ কর্ম। যেন সে পুরাতন কোন লিপির পাঠোদ্ধার করিতেছে। তাহার রক্তে যেন তুফান বইতেছে। সে তৃণ আর বটবৃক্ষের ব্যবধান ভুলিয়া প্রত্যহ মরণ খেলায় মাতে। নিদ্রা গেলে তখনও তাহার লোচনদ্বয়ে কিঞ্চিৎ সারল্য আসে না। বংশ বিতাড়িত এই খোয়াব মাতালের অগ্রপথ প্রশস্ত করিতে বৃত্তাকার ধরণী মাতাও যেন সমতল হইবার প্রয়াস পাইতেছে।