রাত্রিহাওয়ার বিনোদিনী সাজ কিংবা স্পর্শের প্রশ্রয়ে তিলকগুলো হয়ে গেল কুমুদ । আমার কাছে জমানো জল ছিল । আর ছিল অশ্রুজমানো কৌটা । ঐ যে ‘ গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল , অসংখ্য নক্ষত্রের রাত ... ’ আমি নক্ষত্রগুলোকে বানিয়ে দিলাম বুকের স্বল্পায়ু ব্যথা । আর হাওয়াগুলো থাকল বুকপকেটে । সেখান থেকে আমি চলে গেলাম দূরে । পথের সখ্যে কমে গেল কিছু স্বপ্নভার । আগেও অনেক হেঁটেছিলাম । কাঁটাগুলো এখন নেই । একই সাথে বসে আছে অহল্যা আর শকুন্তলা । সেবার বাকি আর কোন গল্প ছিল না । তোমাকে মনে রেখে ভালোবাসাকে আমি বানিয়ে দিলাম বৃত্ত । তারপর জলজ কান্না শুনলাম যেন । নৌকা ছাড়াই সাঁতরে নদীপার । ঐ নোনাজলের রেখা দিয়েই আঁকলাম ব্যাস । একপাশে আমি থাকি , অন্যপাশে তুমি । তুমি দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে যাও ,যে তুমি কিনা গ্লিসারিনে হাত মাখাও , যে তুমি কিনা চোখগুলো ছলছল সাজাও । আমার একপাশে জবাবন , অন্যপাশে নদী । ক্লান্ত হলে আপাতত শুধু ঢেউ দেখি ।