শীতের অনেকগুলো নাম আছে। গতবারের শীতের এক নাম। এবারের শীতের অন্য নাম। সকালের শীতের একটা নাম, ছোট্ট বিকেলের গায়ে লেগে থাকা শীতের একটা নাম, গভীর রাতের প্রবল শীতের আবার আরেকটা নাম। আসলে বর্ষা আর শীতের একটা অন্ত্যমিল আছে। সেটা টুপটাপ কুয়াশা আর বৃষ্টিফোঁটার ছন্দ। আর দুটোতেই আমরা নিজেদের ঢেকে ফেলি। যে স্মৃতি বর্ষাদিনের জন্য প্রযোজ্য কেবল, শীতেও তা একবার এসে ঢুঁ মেরে যায়। রবীন্দ্রনাথের বর্ষা আর জীবনানন্দের শীতের কবিতাগুলো নিয়ে বসলে বর্ষা কিংবা শীত যে কোন একটা পুরোটা কাটিয়ে দেওয়া যাবে। আমার ব্যক্তিগত বর্ষা ছাতাবিহীন, আর শীত হল নিরন্তর কুয়াশাপান। আমাকে উদ্বাস্তু রেখে তুমি যখন শাদা কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখো, তখন তা বর্ষা বলে ভ্রম হয়। আবার দেখো, মেঘের ব্যাপারটাও ফেলনার নয়। সেটা জানান দেয় আসন্ন বর্ষার, আবার এই যে এখন বাইরের আকাশ সূর্যহীন, খুঁজে দেখলে তার পেছনেও পেয়ে যাবে মেঘের গোপন কারসাজি। শীত - বর্ষা টানে না আর। যাবতীয় অভিমান আর রক্তরাগ সব জমা রাখলাম মেঘের কাছে। তারপর তোমার দেখাদেখি আমিও নিরুদ্দেশ হারিয়ে গেলাম গোধূলির ধোঁয়ায়। আমরা অভিমান করতে ভালোবাসি। যে যার মতো করে অভিমানটাকে নিয়ে চলে যাই। আর বেচারা অভিমান? সেটা পথের মাঝে পড়ে থাকে। আমরা অভিমানের শাপে জর্জরিত হতে থাকি।