স্বপ্নরাতে ওঠালে মোরে দিয়েছ আদুরে ডাক,
কিছু গোপন বলো আর ইতিকথা পরে থাক।
শুনিয়ে যাও পূর্বরাতের রক্তরাগ  অভিমান,
আমার বাণী   না শোনো প্রিয় , শুনিও মোর গান।
প্রেমভরাতুর হৃদয়ে মোর বেদনাশিকল পরা,
সেই বেদনারে ডিঙিয়া তুমি হও অশ্রুহরা।
তারার ক্রন্দন ধরিতে চাইলে তাও হোক সারা,
নিভৃতে শুধু দেখিও মোরে, কান্না পাগলপারা।
আচানক কোন ফুলটি আসিয়া গেল আলতো ছুঁয়ে,
আঁধারদাগের চিহ্ন থাকিলো, জ্যোৎস্না গেল ধুয়ে।
মিলন ব্যাধিতে ভুগিতে লাগিল বেচারা সাধের  প্রাণ,
তুমিই তো রাতের অপেরা আমার, পারিজাতের ঘ্রাণ।
পুরোনো  সেতারে চড়াও হইতেছে সকরুণ কোন  সুর,
কতো পথ আর খুঁজিবো বলো, আর কতো দূর ..।
কামনামত্ত দ্রুত  সমীরণে চিঠি ভাসালেম মোর,
পাই নি তারে প্রতীক্ষারাতে .. সম্মুখে মলিন ভোর।
ভেবে পাইলেম না প্রেমাঞ্জলি কোথায় রেখেছ লুকায়ে,
বয়ে গেছে সরোবর নদী, অশ্রু গিয়েছে শুকায়ে।
একটিবারও না তাকায়ে পিছে চলিয়া যাচ্ছ সরে,
বিদগ্ধ দেহমন আবারো উথলায়, আসন্ন শোকের ডরে।
ভুলি নাই কোন কথা, ভুলি নাই কোন ছবি,
সেঁটে আছে স্মৃতির স্লেটে, জমা আছে সবই।
মাল্যদান করেছি সেদিনই, বলেছি যেদিন ভালোবাসি,
তারপর গল্প আর চাপা কান্না সব, গিয়েছে বানভাসি।