একা  ভেজার দিনগুলোতে সমস্ত বৃষ্টিফোঁটা একজোট হয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়েছিল। সেই বৃষ্টিময় সম্ভাবনার সরীসৃপ দিনগুলোতে হা করে খুলে গিয়েছিল প্যান্ডোরার বাক্স। বলেছিলাম, এবেলা পুরোটা ঝরিও না। ঝুলিতে রেখে দাও বর্ষা অগণন। মৃদু দোল খাও, এরপর ব্যথার টবে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকো। লতায় পাতায়, দীর্ঘায়িত দিনগুলোতে, জানালার কার্নিশে, মুখ বরাবর সিলিংয়ে ঝুলে থাকো। বিঘ্নিত রতি আবারো ক্লান্তি নিয়ে শুরু করুক সব। এভাবেই মাদক বিনিময়। আসলে ভালো না লাগলে পরে দূর থেকেই ফিরিয়ে দিতে হয়। স্পর্শস্মৃতি শুধু বিকল্প বর্ষাই নামিয়ে আনে। উঠোন জুড়ে সরু, লম্বা  হাঁটাপথ নেই। পুরোটাই জবাফুলে ভর্তি করে উঠোন আমার শতরঙে কাঁদে। ইজিচেয়ারে বসে গুরুদেবের বর্ষার গান শুনি আর এক উঠোন কান্না দেখি। এই শ্রাবণ বেজায় ঘুমের। নগরীর কলকব্জা আর ধূলোময় ট্রপোস্ফিয়ারের প্রেমিক হয়ে কাটিয়ে দিলাম পূর্ববর্ষা। উত্তরবর্ষায় থেকে যাবে দু একটা পেছনফেরা মেঘ। মিলিয়ে যাবার মুহূর্তেই তো আমাদের সব নিশ্চুপের কথা। সব ডিসকোর্স পড়ে থাক চূড়োর তাকে। চোখের পাতা, তুমি অন্তত এইবেলা জ্বালিও না। আলোর জন্য বরাদ্দ  জমিনে শুধু কালো ছোপের  দৈরথ। খুলছে না একজিট ডোর।