শীতনিদ্রা কিংবা কোমা,  দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে বসলেন এক কবি। তখন সময়টা কতো, কবি ঠিক জানেন না। ঘরের পর্দা টানা, ফোয়ারার মতো ইলেকট্রিক আলো, কবি ভাবলেন গভীর রাত।  নিস্তব্ধতা, অন্ধকার, বিষণ্নতা নিয়ে লিখলেন পরপর দুই দুইটি কবিতা।
খানিক বাদেই জোহরের আজান হলো। বেরিয়ে দেখলেন ঘোরতর আলো, প্রখর সূর্যতা। পয়দা হয়েই গেছে, তবু কি রেখে দেবেন কবিতা? নাকি ফেলে দেবেন?  এখন রাত্রি ভেবে তো ওগুলো লেখা।
কবিতা লেখা  হয়ে গেছে, সেটা ভেবেই  রাত্রি নামানো যাক।
অবেলায় রাত্রি নামাতে নামাতে কবি আবার অচেতনে চলে গেলেন।
লেখা হয়েছিল দুপুরবেলা, কবি ঘুমুচ্ছে বিকেল অবধি, পাশে পড়ে আছে রাত্রিকালীন কবিতা।