নিতান্ত নিরুপায় না হলে
জলচর প্রাণীরা উভচর হয় না।
বিবর্তনও তাই বলে।
পৃথিবীর ডাঙা ছিল একদা প্রাণহীন
স্থলজ শূন্যতায় মুহুর্মুহু সয়লাব।
অথচ, যখনই প্রয়োজন হয় বিনোদন
কিংবা নিখাদ অলস পর্যটন -
শুধু তখনই  মাটির প্রাণী জলে নেমে পড়ে।
জলকেলি করে, সাঁতরায়।
এইসব ভারসাম্যহীন দৃশ্য দেখে
আকাশচারীরা আবার হাসে।
সারা মরুভূমি দাপিয়ে বেড়ালেও
উট শুধুই দু পায়ের পাখি গোত্রভুক্ত।
সে ডানাহীন, বিষণ্ণ উট।
চড়ুয়ের কাছ থেকেও সে পায় উপহাস।
আর আমরা, সামাজিক স্তন্যপায়ীরা -
জীবনভর ঘেঁটে গেলাম অন্যদের বাস্তুসংস্থান।
সময় যাচ্ছে, আরও দুর্বল হয়ে পড়ছি
জন্মের পর কতো শত দিন চলে যায়
তবু আমরা হাঁটতে নিই দীর্ঘ প্রশিক্ষণ।
এসব মাথাব্যথার কারণ নয় মোটেই,
মিসিং লিংক বলে দিচ্ছে -
ধীরে ধীরে স্ফীত হতে হতে
মনুষ্য প্রজাতির মস্তিষ্ক, গোটা মাথাটা নিয়ে
শরীর সাপেক্ষে বেখাপ্পা বড় হবে।
তখন সেই আজব খেলনাটা নিয়ে
কে বা কারা যে খেলবে,
তার সামান্যতম আভাসও, মানুষ জানে না।