সন্ধ্যাফেরত সন্ন্যাস নিয়ে নিদ্রা অবধি  কত দূরে যাওয়া যায়? জানালা আটকে দেওয়া, চোখ সাপেক্ষে সুক্ষ্ম পতঙ্গেদের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষা, জলের গ্লাসটা গোলাকার কার্ডবোর্ড দিয়ে ঢেকে রাখা -এসব ঘনঘোর স্বার্থপরতার মাঝখানে কিঞ্চিৎ জায়গা পেতে গেরুয়া বসনটা বসবে কোথায়?
ব্যস্ততা শুরু হলেই কে যেন  আমাকে এই প্রশ্ন শোনায় আর দেউলিয়ার মতো নিশ্চিন্তে হাসে। হাসতে হাসতে তার সামনের পাটির সাদা দাঁতগুলো বেজায় বড় হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে কিংবদন্তির বিল হিকক হয়ে যেতে পারলে মন্দ হতো না। অবশ্য  বন্দুকবাজ আর লক্ষ্যভেদ, এই দুটি সম্পর্কেই আছে  হতচ্ছাড়া দেউলিয়াটার সম্যক ধারণা। তাই, মুখের দিকে গুলি ছোঁড়ার পরমুহূর্তেই সে ফিরে যাবে পূর্বাবস্থায়, আর আমাকেও কাটাতে হবে আবার একইভাবে  পরবর্তী দিন।
ধারাপাতের সামনের  বড় বড় সংখ্যাগুলো তাদের মতোই বড়ো  চোখ নিয়ে চেয়ে থাকে। এগুলোকে আবার বৈতরণীর অধিক পাত্তা দিই না। প্রতিদিনের চাঁদগুলো যদি মিলেমিশে হয়ে যায় এক রঙের বোতাম, তবে অন্ধকারের জামা পরে পুনরাবৃত্তিই সই।