প্রজনন ঋতুতে বন্ধ্যা মাছেদের কি থাকার জন্য আলাদা নদী আছে? প্রকাশ্যে আড়াল থেকে বেরিয়ে সেই নদীতেই সাঁতরানো যায় কিছুক্ষণ। তারপর সেই অবাঞ্ছিত  মাছেদের সাথে মিলে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকবো টোপবিহীন বড়শি কিংবা ছিঁড়ে হা হয়ে থাকা জালটিকেও। ডাঙায় মৃত দশায় আমরা  হয়তো শুয়ে থাকবো হতভাগ্য অন্যান্য মৃত গর্ভবতী  মাছেদের সাথে।
বেঁচে থাকাদের দল ভারি হয়ে উঠুক। সর্বাধিক সহজ নিঃশ্বাসে সন্তানেরা তোলপাড় করুক নিজ অভয়ারণ্যে।
এই যে খোসাছাড়ানো কমলার গন্ধমাখা স্বীয় অস্তিত্ব, সে যে কীভাবে যন্ত্রণা দেয় মাঝেমধ্যে, ভেবে পাই না। ঘুমের জন্য কাঙাল হয়ে থাকি আর ঘুমানোর সময় নিকটে এলে তৎক্ষনাৎ তড়িঘড়ি প্রস্তুতির চন্দ্রাভিজান এবং পরিত্রান। বাঞ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে দিতে ভাবি, অগোচরে কবে যেন সকল বাঞ্ছাই পূরণ হয়ে নিরানন্দের ভেতরে বসে আছে।
আমার মূলত মানচিত্রের দরকার হয় না কোন। সামনের বাধা সর্বদাই কেন যেন নূন্যতম দূরত্ব মেনে গড়াতে থাকে আর ঝর্নাজলের কাছে এলে নির্দ্বিধায় ডুবে যায়। তখন আমি পরিমিত পান শেষে অবশিষ্ট পিপাসা নিয়ে গুটিসুটি মেরে ফের ঘুমাই দেহ সাপেক্ষে ছোট কোন সমতল পাথরে।