ইহজাগতিক ঘুড়িগুলোই বোধহয় গোত্তা খেয়ে নিচে নামে, উদাসীনেরা সুতোবন্ধন ছিন্ন করে আর অনুগতদের ইচ্ছেমত বাতাস কেটে কেটে উড়িয়ে শেষমেষ  নাটাইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।
আকাশে তারা পাশাপাশি ওড়ে কিংবা পাশাপাশি না হলেও ঘুড়িদের ব্যক্তিগত ট্যালিপ্যাথিক নিয়মে কথা বিনিময় হয়। নিজ নিজ ঘুড়ির দিকে মানুষের  একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকা, অন্যদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আকাশকে একারই ভ্রমণপথ বানানোর অলীক প্রচেষ্টা, এসবে মহাজাগতিক ঘুড়িদের কিছু আসে যায় না। কারণ, নিজ পরিণতি না জানলেও মানুষের ভবিষ্যৎ বিষয়ে ঘুড়িগুলো সম্যক অবহিত।
ছোটবেলার ঘুড়ি কৈশোরের আকাশ থেকে নেমে অনন্ত সময়ব্যাপী বিশ্রাম নেয়। আর আমরা, যারা তাদের উড়িয়েছিলাম, তাদের উপর আকাশ বিদীর্ণ হয়। আকাশ বলে কিছু নেই, তারা জেনে যায়।