আমি ১৯৭১ দেখি নাই
আমি আমার দাদাকেও দেখি নাই
দিনাজপুরে সবাই তাকে ঠোসা ডাক্তার বলে ডাকত
সবাই তাকে খুব ভালবাসত


তিনি ব্রিটিশ আমলে চরকা নিয়ে ঘুরতেন
আমার নানা খবির উদ্দিন হাওলাদারও তাই করতেন
তাদের মধ্যে কি কখনও দেখা হয়েছে ?
জানি না, তবে তারা একই পথে পথিক ছিলেন


১৯৫২ সালে তাকে নিজের দেশ ভারত ছাড়তে হয়
সে পাকিস্থানে আসতে চাননি
আমার দাদি সালমা যিনি মুসলিম লীগ করতেন
যখন শুনলেন পাকিস্থানের নেতারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চাচ্ছে
তখন আমার বাবা-চাচা-ফুপুদের পাকিস্থানে যেতে মানা করেছিলেন
কিন্তু স্থানীয়দের অত্যচারে তাদেরকে ভারত ছাড়তে হয়
দাদা কংগ্রেস নেতা হয়ে তাঁর সম্পত্তি রক্ষা করতে পারেননি


পাকিস্থানকে তিনি আপন করে নেননি
আবার ১৯৭১এ ভারতে ফেরত যাননি
নিজের বাড়ি আগলে রেখেছিলেন


এরপরের কাহিনী কেউ জানে না
শুধু ১৬ ডিসেম্বরের পরে আমাদের দিনাজপুরের কালিতলা বাড়ির উঠানে একটি কঙ্কাল পাওয়া যায়
আমার মতো যার ডান হাত ভাঙ্গা ছিল
আমার মেজবাবু সাহিত্যিক শওকত আলী চিনতে পারেন


১৪ডিসেম্বর এলেই একবার হলেও মনে পড়ে দাদার কথা
কারণ আমার দাদা  শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ খরশেদ আলী সরকার ।
১২-১২-১৩