প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী নীলার জন্য বসে থাকি,
ও গাঁদা ফুলের মতো হলুদ একটা শাড়ি পরে যখন আমার কাছে আসে,
তখন আমার নাকে ভেসে আসে তাজা গোলাপের একটা গন্ধ,
       চেয়ে দেখি নীলার চুলে ভোরের  লাল রক্ত ফুটেছে,    
            সে অপরূপ দৃশ্য আমি সামলাতে না পেরে বলি,
হে প্রিয় গোলাপ, পৃথিবীর সব ভূমি তোমাকে দিলাম আমি,
তুমি  শুধু চিরকালের জন্য বির্সজন দেও নীলাকে,  
           ওর চুল থেকে  বিছিন্ন করে ফেল নিজেকে।


       এ কথা শুনে নীলার এক আকাশ হাসি ঝরতো মুখে,
এ জনবহুলতা ঢাকতে পারতো না সে আওয়াজ, সেই চির অম্লানকর দৃশ্য।
কিন্তু আমি ঢেকে দিয়ে বলতাম শোন নীলা, ভালোবাসা মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে,
        যেমন আমি-তুমি,পৃথিবীর সব প্রেমিক।  


তখন নীলা বলতো, এ দিনে ও তুমি লেকচার দিবে?
তুমি কলেজ - ক্যাম্পাস আর ইউনিভার্সিটির বাইরে যাও না দেখছি!


তখন বলতাম আমি, তুমি কি জানো - এই দিনটা শুধু তোমাকে দিব বলে,
                   সেই ৩৬৪ দিন ধরে অপেক্ষা করছি।  
তোমার হাত দুটি ধরে আজ উঠে যাবো  হিমালয়ের উপরে,
        যার নিচে থাকবে নদী কিংবা বিস্তীর্ণ বনভূমি।  
আমি  তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবো,
          তারপর চিৎকার করে বলবো, হে চাঁদ - সূর্য - গ্রহ - নক্ষত্র শোন, নীলা একমাত্র  আমার।