তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম অনলাইনে,
কিন্তু তোমার দেখা মেলেনি সেখানে!
ভাবলাম ফোনে বলি,এতো নাটকীয়তার কি আছে!
কিন্তু তাও হলো না!
কারন আমার কাঙ্ক্ষিত নাম্বারটা খোলা ছিলো না!
জানি এখন তুমি পরীক্ষার্থী,তাই হয়তো পড়তে পড়তে ডুবছে তরী।  
ধরো যদি প্রথম আলোয় প্রকাশ হতো সে কাহিনী,
সব কলমে খুঁজে পেত পাঠক, সম্পাদকের একই বাণী,
‘‘আজ বাবুইয়ের বার্থডে”।
যখন সবাই শুভেচ্ছা জানাতো বাবুইপাখিকে,
তখন বলতাম আমি পৃথিবীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে,
"কোনো পাখি না সে,পরিচিত এক শহরের মেয়ে"!
সেদিন রূপকথার মত তুমি থাকতে সবার হৃদয়ে।
একসময় দিনের শেষে রাত আসতো,
তুমি প্রজাপতির মতো সুন্দর করে সাজতে।
আমি অসংখ্য উপহারের জাহাজ ভাসাতাম তোমার চোখের সমুদ্রে!
আর তখন হৃদয়ের শুভ্র তুষার গুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে,
তুমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকতে দূর মহাশূন্যে।
যেন সেখানে বিশাল এক আলোর উৎসব!
হে মেঘকন্যা, যার উৎস হতো তোমার অদৃশ্য এক রূপ!
তোমার চারপাশে থাকতো আসমানের জোনাকি।
বন্ধুরা দেখে বলতো,“বাবুই গোলাপের মত রঙিন হয়ে থেকো”।
কিন্তু এই অকৃত্রিম ভালোবাসা জড়ানো চাওয়াগুলো,
কোথায় যে আটকালো,জানিনা কেনই বা হলোনা কখনো!
তবু তোমার তো হলো স্বপ্নিল জন্মবার্ষিকী!
দিনের শেষে আমি ১৫টি রজনীগন্ধা দিয়ে ছুঁতে চেয়েছি তোমার আনন্দ।
বাবুই ভালো থেকো,শুভ হোক তোমার জন্ম।
*************************
(তোমাকে জন্মদিনের একরাশ শুভেচ্ছা  বাবুই।)