পড়া-লেখা সবে শেষ হলো-বেকার তখন অামি!বাবা বললো,"খোকা এবার চাকুরী ধরো!
এদিকে ফোনে প্রিয়তম- একই অালাপন,কবে পাবে? বিয়েই বা কবে হবে?
মুশকিল-ঝামেলা যা ই বলি তাই,
অামি ভাই চাকুরীর অাশায় শহর ঘুরিয়া বেড়াই!
সুযোগ সন্ধানী সব লোকে-ঘুষ ছাড়া নিয়োগের দ্বারগুলোয় অাজ লম্বা তালা ঝোলে!
এভাবেই মাস ছয়, কেটে যায়!
না পেয়ে চাকুরি-ঘুরে ঘুরে মরছি!
যে জনক অামার সুন্দর জীবন গড়ে দিতে জানে,
যে জননী মায়ার অাঁচলে চোখের অশ্রুরোধ করতে শিখেছে,
যে সজনী প্রতিটা বছর অামাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে!
তার কিসের ভয়?
হৃদয় নিরবে প্রেমের ত্রিভুজ কবিতা কয়!
হয়তো জীবন থেমে নেই!-নেই পৃথিবীর কোথাও কোনো সহানুভূতি!
এদিকে জনক বয়সের সীমানা পেরিয়ে-জননী কি ভাবে,কে জানে!দেখি সারাদিন কাঁদে!
প্রিয় মানুষটার  অপেক্ষার ঘন্টা ও ফুরিয়ে এসেছে-প্রতিনিয়ত ফোনে পুনারায় মনে করাতে ভারী পটু সে!
মাঝেমধ্যে মন অার মানে না-বড় ইচ্ছে হয় চলে যেতে দূরে- হয়তো পৃথিবীর কোলাহল ছেড়ে,
তবু তোমার কথা ভেবে এই ঘর ছাড়া মন অাবার ফেরে নীড়ে,বেকার হবার জ্বালা বুঝিবে কে?