আমি বিদ্রোহ করিবো চিরকাল তাদের বিরুদ্ধে,
যারা বহুআগে সোনার বাংলাকে ডুবিয়েছে।
একদিন ভীরু মন ছেড়ে এগিয়ে যাব তাদের সম্মুখে,
ভূমি হতে সব পদচিহ্ন করে দেব নিশ্চিহ্ন চোখের পলকে!
পাষাণ হৃদয়ের অধিকারী সব রাক্ষুসীর,
বিবর্ণ মুখ ভাঙিয়া গড়িবো মহাশ্মশান!
আমি লন্ড-ভন্ড করে দিব তাহার গতি,
রক্তের গন্ধে মতেছে যে বিষাক্ত নদী!
যেন খোদার আরশ হতে বহিবে সেখানে ঝড়ো হাওয়া!
সেদিন চিরতরে উড়ে যাবে অসহায় মানুষের বিরহ-ব্যথা!
হয়তো অশান্ত হৃদয়ের ক্ষুদা মেটাতে শুকুনিরা আসিবে দলে দলে!
পাষাণের ধ্বংসের ধূলিতে খেলিবে শিশু নিত্যদিনের খেলা!
হয়তোবা আমি নীল হিমাদ্রীর মত দেহ লয়ে আবার আসিবো এ ভবে,
নব জোয়ানের বিজয়ের জোয়ারে ভাসিতে ভাসিতে মিশিবো তুফানের দেহে!
আমার এ বিদ্রোহ শুরু হয়েছে সবে!