যৌবনে আমার একটা প্রেম ছিলো🥀,
কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলো কিনা জানিনা,
তবে অসম্ভব রকমের ভালোলাগা ছিলো।
সবাই বলে ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক না,
তবে সেদিন আমার কাছে এ দুটোর মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলো না!
ভালোবাসা কাকে বলে আমি জানিনা,
তবে প্রথম ভালোবাসার সাধ আমি তার কাছ থেকেই পেয়েছিলাম।
সে ছিলো শ্যাম বর্ণের,
এই পৃথিবীর সব রূপসীদের মতো এতো রূপ ছিলো না তার।
তবে আসমানী জোনাকির মতো এক জোড়া চোখ ছিলো,
যার রং ছিলো আকাশী নীল।
যৌবনে সেই চোখ দুটি ছিল আমার অতি প্রিয়।
একসময় যার ভিতরে আমার প্রাণের প্রদীপ জ্বলতো!
যে প্রদীপের আলো এই পৃথিবীর কোন বাতাস নিভাতে পারবে কি না জানিনা!
শুনশান একটা নির্জনতা ছিলো তার ভিতরে!
যেন সহস্র বছর ধরে লুকিয়ে রাখা এক নীল অপ্সরী ছিলো সে,
যখন সে সামনে আসতো,
তখন যেন মনে হতো, শুধু সে আছে!
এই পৃথিবীর আর কোথাও কিছু নেই!
কেবল বালুময় মরুভূমি!
হয়তো কোন কবির কল্পনার রাজকুমারী ছিলো না ,
সে ছিলো এক উন্মাদ প্রেমিকের হৃদয়ের রাণী।
সে ই উন্মাদ প্রেমিক ছিলাম আমি!
আমাদের সম্পর্কটা ছিলো নদীর মতো,
কখনো সেখানে বসন্তের জোয়ার বইতো,
আবার কখনোবা বিরহের ভাটা।
হয়তো কাছে পাবার আকুল আবেদন ছিলো,
ছিলো, না দেখার তিব্র যন্ত্রণা।
এ যেন এক অশান্ত বালিকা,যার নীড় ছিল আমার খুব চেনা।
অতঃপর যৌবনের নদী আজ হয়েছে পাহাড়,হৃদয় শুকিয়ে পাথর।