মাঝ দুপুরে মৌচাক ফ্লাইওভারে,
অবহেলিত ভাবে পড়ে আছে এক মাতালের দেহ।  
                   প্রাক্তন কলেজ ছাত্র হবে হয়তো!
          মদের নেশা ধরেছিলো,ছেড়েছিলো পেশা;
  শুনেছি বিবাহের কালে পালিয়ে গিয়েছিলো কনে,
               মাতালের সাথে যদি তার হতো বিয়ে
    বিনাদোষে গলায় দড়ি দিয়ে মরিতো সে মেয়ে।
                     সবাই জানে ও বালক বাউন্ডুলে,
               তার উপর গিলিতো রাশি রাশি তাড়ি;
                          পকেটে ছিলো না কানাকড়ি
                          তাইতো করিতো চুরি।                
                     মাতাল হয়ে যখন ফিরিতো ঘরে,  
তখন যেন পথের দু'ধারে কুকুরও হাঁটিতো না, রহিতো না ডরে।
                শুনেছি শয়নের কালে খাট হতে পড়ে
                         লুটোপুটি খেত মাটির উপরে,
                   জাগিত স্বপন,বুকে ধরিতো কাঁপন
                            এই বুঝি কালু আর কদম,
              একাই গিলিছে অবশিষ্ট মদের মহারণ।
সেটুকুও ফেরাতে মাঝে মধ্যে ঘুমের ঘরে বলিতো সে,
                         খবরদার হাত দিবি না ওতে।
                       অতঃপর এক বৃষ্টি ভরা শ্রাবণে
              এসেছিলো ঢাকায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে,
             যেন দেবদাসের শেষ দৃশ্যয়ানে দাড়িয়ে।
        যার কপালে ছিলো না কাহারও কোন সেবা,            
            পশ্চিম দিক হতে অস্ত গিয়েছে সূর্যিমামা
            পরাণ খানি মরিবার তরে নাচিয়া উঠিছে,
                        আজ বুঝি এ দেহ যাইবে চলে
      চিরতরে ঘুমিয়ে পড়িবে তাহার মেঘরাঙা চোখ।