নবম শ্রেণীর ছাত্র রহিম চাচা,
অংকেতে সে বরাবরই কাঁচা।
প্রাইমারি ছিলো নড়বড়,
কোনোমতে পার হলো।
ফেল এর উপর ফেল করিয়া,
নবমে হলো বন্দি,
নয় বছরের কারাদন্ডী।
পরীক্ষার হল গুলো
তার চিরচেনা ছিলো,
বাধিতো শুধু গণিতেই গড়বড়।
সে ছিলো সূত্রহারা
নকল করিতে গিয়ে পড়িত ধরা,
কখনো অংক গুলোর দিকে চেয়ে থাকিত,
অবলীলায় নয়ন হতে অশ্রু ঝরিত।
শেষমেশ শিক্ষক বলিতো তারে,
ও রে বাপধন খাতা দে এবারে।
ফলফলের কালে অসংখ্য লাল রসোগোল্লা,
জুটিতো তার কপালে।
গোবিন্দ রায়ের বাঁতগুলো,
পড়িতো তাহার সর্বাঙ্গে।
বর্ণনায় বেলাতে সাদামাটা সে,
সাদা পাঞ্জাবী আর লাল টুপি
চোখের দু-পাশে সুরমা আছে,
মুখ ভরা তার দাড়ি!
সারাদিন বলে ধর্মের কথা,
নিয়মিত নামাজ পড়ে বেটা।
সবাই ডাকিত চাচা বলিয়া,
কর্মের খ্যাতি ছিলো গ্রাম জুড়িয়া!
বিচার বুদ্ধিতে সবার উপরে।
হয়তো সুযোগ দেবেনা
কেহই তাকে দেশ চালাতে,
তবু নিজ হাতে দেশের কল্যাণ করে সে।
দরিদ্রকে সে ভালোবাসে
ভালোবাসে বৃদ্ধ মা কে,
তবু জীবন পথের যুদ্ধ ক্ষেত্রে,
চিরকাল অঙ্কের কাছেই হারে।