বলেছেন বিদ্যাপতি,
তোমার স্তন নাকি-
টলটলে স্বচ্ছ ঝিলে ক্রিয়ারত শুভ্র রাজ-হংসী
আর নিতম্ব!
ঘাটে বাধা তিনটি সাম্পান;
আর তার মধ্যমনি-
আপেক্ষিকতার শুত্রগত ভাবে,
ফুটে আছে পদ্মরাগ হয়ে।


আঙ্গুলের সুতীব্র ছোঁয়ায়-
যে সুখ প্রতিটা কোষে ছড়িয়েছো,
নেশা আমাকে তাও ধরে রাখতে দেয়নি;
নেশা আমাকে দিয়েছে স্খলন,
আত্ম অসুখ, বিতৃষ্ণা আর
ঘড়ির কাঁটা ভরতি একঘেয়েমি একাকিত্বের স্বাদ।
ভেবে দেখো এই জীবন কি আমি চেয়েছিলাম?
সেদিনের সেই স্কুলঘরে;
স্যারের বেদম মার খেয়ে-
চোখ ফুঁলিয়ে কাঁদা ছেলেটা
আজ একের পার এক সিগারেট ফুঁকছে,
গলগল করে নেমে যাচ্ছে-
যত্রতত্র ফুসফুসে নিকটিনের ভার বহন করে।
আমি কি চেয়েছিলাম এই নেশার জীবন?
একের পার এক রাত ঝড়ে যাওয়া,
অভিশপ্ত কাপুরুষের মত।


না আমি চাইনি;
নেশা আমাকে গিলেছে আকন্ঠ,
আরষ্ঠো করেছে আমার বাহু।
নেশা তোমাকে দেয়নি
দিয়েছে দারিদ্র, ঘিনঘিনে কিছু ভোঁতা অনুভূতি;
তবুও আমি মনে করি
ভবো তাড়িত কিছু যুবকের আকন্ঠ মদ গিলে-
গলাবাজি করা উচিৎ;
এটাই সময়ের দাবি
ওরাও স্বপ্ন দেখুক,
আরেক সুতপার শরির নিয়ে।
আর নেশা?
স্বপ্ন আর জাগরনে তোমার ব্যবধান-
তুলুক অবুঝ অনুরাগে;
একটার পর একটা ইট গেঁথে।