আমাকে মুছে গেছে ফেনিল সাগরের সহস্র ঢেউ
বালুকা বেলায় লেখা সোহাগের পেলব স্মৃতি
তবুও অবেলায় ভাটার ফিরতি টানে
ফেলে আসা আলবেলা কৈশোর খুঁজি ।


সমস্ত মন জুড়ে আবেগের ধূলি ঝড়
সূর্যের কুহক ভুলে ছিন্ন পত্র তুলি
আমার মৃত্যু চোখের কোনে স্বপ্নের নীলঘুম
সারা শরীর মাখা ধুলো মাটি বেহাগের কনক মঞ্জুরি ।


চাঁদের রাত্রিবাস যুবতির উন্মাদ শরীরী শব্দ মেলা নীলা
ছুঁয়ে যায় মনের পতঙ্গ ডানা বাতাসে ওড়ার সুখ
ফেলে যাওয়া নিষ্প্রাণ শবদেহের বাঁচবার গোপন ইচ্ছাঘোর
অলৌকিক প্রেমের জাদুদণ্ডে লক্ষ্মীন্দর ফিরে পায় হারানো জীবন ।


শরীরের ছিন্ন সুরতারে ছায়ার গোপন আঁতাত
পাখির মুখে বাঁধা জীর্ণ সুখের ঘর
একদিন চোখ বুজে ছিল অন্ধ রাত্রির কায়া
পাথরের কুঠার ভাঙ্গল সুখের দেওয়াল ।


পাহাড়ের কঠিন বুক ছেঁড়া, চেরা হৃৎপিণ্ড
ধমনীর অসুস্থ রক্তের শোক
শিরায় শিরায় আগুনে জ্বলে ছিল
অন্তহীন বিকালের ভরা যৌবন রোদ ।


আমাকে ছুঁয়ে ছিল উদাসী গোধূলি
সন্ধ্যের অজানা তারা র চোখ
আমি সরে সরে কক্ষ চ্যুত
এলবামের পাতা জুড়ে মৃত্যুঘুম ।


খচখচে আলপিনে বিদ্ধ যীশু মন
এক অবোধ বালকের হাসি মেখে
গোবরে রেখে ছিলেম হাত
পদ্ম শালুক সম্যক সন্ধানে ।


তুমি ছেঁড়া মেঘ, পেঁজা তুলো বরফ বৃষ্টিকূচি
সময়ের যান্ত্রিক অকাট আদিমতা
আমার জানলা জুড়ে ছিল কালো অবছায়া
বাতাসের ভুলে যাওয়া মধুলোভী নিঃশ্বাস ।


আকাশ থেকে নেমে এলো দুষ্টু জলপরি
মোহের মদন বানে বিঁধেছিলে ঘনঘুম
মনের শরীর ছিল অনিয়ন্ত্রিত উড়োবাজ
প্রতিটি নখের ডগায় ডাগর প্রেমের খুন ।


আমায় আধঘুমে খুন করে ঘাতক প্রেমের ধুন
ভরা যৌবন মাধুকরী
নিশ্চুপ বয়ে চলি শিলা ভরা নদী
পাথর স্তব্ধ বুকে চেপে
সাগর সঙ্গমে ঝিনুকের সোনালি বুক খুঁজি ।।