আমার কপাল জুড়ে অস্ত সূর্য হাসে খিল খিল করে
ও পাড়ার মেয়েটা যার নাড়ীর নিঃশ্বাস খুঁজে ছিলাম,
গোলাপের কাঁটায়, কিছু গোপন ইচ্ছাকে গৃহবাসী করে,
সে নারীত্বের পাপ পুণ্যে বিশ্বাসী –মন টার জিভে লালা
তবুও শরীর রাখবে উপাসী।
অমাবস্যা রাত্রির চন্দ্র শোকের মত শরীরের বাগান জুড়ে
উদাসী কান্না ঝড় – নিজেই গেঁথেছে পাহাড় প্রাচীর
পাপ পুণ্যের মাঝে।
পাহাড়ের বাঁধা আমার ভীষণ ভালো লাগে
এটা স্থির সিদ্ধান্ত,
আমাকে প্রলুব্ধ করে না মিথ্যা প্রলোভনে।


দেখ আমার বুকে ফুটেছে আঠারোর একশো গোলাপ
সদ্য বিকশিত কুঁড়ির সতেজ অহংকার মেখে
একে একে ঝরে যাবে প্রতিটি বৃন্ত থেকে,
বিবর্ণ পোড়া আগুন সময় ।
শেষ ফুলটা ঝরে যাবার আগে আমার বুকের উন্মাদনা
হারপুনে বিদ্ধ মাছের মতই ।
আমি খুঁজি শেষ ভোরের রাতে ষোড়শীর পলাশ ঠোঁটের
রক্ত সুখ...শঙ্খ স্তনের কম্পাংক স্পর্শ সুখ, উরুর এঁটেল উন্মাদনা।
    
গলায় জমানো হাজারো ফেনিল বাষ্প
নিঃশেষের কুয়াশা শরীর বেয়ে বেয়ে উপরে ওঠে
অভাবী উন্মাদ মন ধূসর ছায়ার খোঁজে।
চোখের খনিজ গভীরতায় আকরিক খুঁজে ফেরে
বেহায়া দামাল অশ্ব চুম্বক টান।
চোখের ধূসর কাঁটা ছুঁড়ে ফেলবে আমায় পৃথিবীর হীমযুগে,
অনর্থের ভঙ্গিল ইতিহাস শরীরে সমস্ত পয়ঃপ্রণালী জুড়ে
ভালোবাসার খেলাঘর বাঁধবে একটু উষ্ণতার খোঁজে।


পাপ পুণ্যের বাঁধা প্রাচীর চূর্ণ করে এসো রাত্রি সুখে
আমি শূন্য আমি আঠারোর যৌবন রোদ
আমায় পূর্ণ কর সহস্র আদিম সুখে
আমার আঙ্গুল বেয়ে নেমে আসুক ইতর স্পর্শ কাম
আমায় ভরিয়ে দাও উষ্ণ আবেশ সোহাগে
আমি আঠারোর সহস্র রক্ত চোখের গন্ধ।।