ধুলিকণার এ শহরে সভ্যতাও উদ্বিগ্ন
বাতাসে ফেলা অামাদের শ্বাসে ভারীমন্ডল,
খুঁজে খুঁজে হয়রান হলেও
প্রকৃতি, তোমার মিলবে না নির্মল ছায়া।
চার চাকার সাইরেনে ঘুম ভাঙে পাখির
জন কোলাহলে পথটাও জাগ্রত সরব,
অফিসের অলসটাও বারবার এলার্মে
তড়িৎ গতিতে নিজেকে গোছানোর ভাব।
রনাঙ্গনে চলে ব্যস্ততা, ছোটাছুটি
ঠিক সময়ে পৌঁছানো, তাড়া করছে
ইস! এই বুঝি বিলম্বের জন্য
কাটা পরবে বেতনের অংশ।
বিশুদ্ধতায় ভরা ছেলাটার মনও
এখানের অক্সিজেন পেয়ে শুদ্ধতা হারিয়েছে,
বদলে গেছে, পাশে থাকবে বলে
কাছের মানুষ হতে সে দুরে সরেছে।
মধ্যরাত ফেইসবুক, ইউটিউব দেখা
ঘুমন্ত ছেলেটার ঘুম ভাঙে দুঃস্বপ্নে,
ঘুমঘুম চোখে মোবাইলের কিরনে
মিনিটখানিকে ঘুম মগ্নতা কেটে পরেছে।
দূষিত এ শহরে বিশুদ্ধ স্বপ্ন ছেয়েছে চারিপাশ
অাপনদের হাসি ফোটাতে গিয়ে,
মানিয়ে নিয়েছে কংক্রিট, মাগো
তোমার সন্তানের বুকের বিশ্বাস।
দুপুরের প্লেট খুজছে মায়ের হাত
ভাবনায় ঘোরে নানা খাবার,
মাগো,তোমার স্বাদ ভোলাতে পারেনি
রকমারি কাচ্চি কিংবা প্লেটার।
বিকেল হলে নামে ঘরে ফেরা
জীবন ঝুঁকি না ভাবিয়া রেসিংএ নাম লিখিয়া,
ধরতে হবে ও বাসটাকে যেন
পৌছে যেতে দ্বিতীয় ঘরে।
উফফ! এখনতো বাসায়, চোখেমুখে ছেয়েছে ক্লান্তি
বাসায় এলে সন্ধ্যা নামে কখনও
কখনো মধ্য রাতের মিলান্তি,
এসে লুটিয়ে পড়ে বিছানার কোল ঘেঁষে।
বেজেছে রিং মোবাইল ফোনে
করা নাড়ছে ওপার হতে,বাবা বলে
ওমনি ঢং করে বলায় অভিনয়,
বেশ অাছি,অাসবো ছুটি পেলে।