আমি আধারেতে বসি ডাকি সারানিশি
বিরহী রাতের  পাখি
কে? জানি পরায়েছে মোর দু পায়ে
বেদনার ভরা রাখি।
আমি আকাশ দেখিনা, বাতাস দেখিনা
শুনিনা নদীর তান
ভেঙে গেছে হিয়া অন্তর তলে  
বুক ভরা অভিমান।
সে নিশি কাটিত স্বপ্নের ঘোরে
তোমারে স্মরন করি
আজিকে সেথায় জমাট আধার
শুন্য বিভাবরী।
তৃষিত আখি খোজে বারে বারে
তোমার আখি তারা
হতেম যেথায় মিলন বাসরে
স্বপ্নের অপ্সরা।
চলে গেছে দুরে অনন্তলোকের
বেদনার মায়াজাল
চক্ষু সমুখে দাড়ায়ে রয়েছে
আজি তার মহাকাল।
এ জমাট আধার যদি না ফুরায়
নিশি সাথ
ভুলে যাই যদি আছে যত হাহাকার
ভরে দুটি আখি পাত।
তখনো কি রবে দাড়ায়ে আমার
পথের ধারে
যে পথ গেছে শুন্য নিশীথে
ঐ দুর পারাবারে।


আজি একা বসে আমি কাঁদি
হাজারো যাতনা সয়ে নিরেবে
স্বপ্ন হাজার গাথি।
যত ছিল মান, বুক ভরা অভিমান
নেই তার লেশচিহ্ন
শাওন ও সাঝে কাদে আকাশ
হয়েছে কেমন শুন্য।
অতৃপ্ত হিয়ায় কোন সে কারনে
তামাটে জমাট আধার
তবু ক্ষণে ক্ষনে কাদে ধরাতল
নেই তো কোন বাধার।