আজি শ্রাবন পেরিয়ে নীলাকাশের
কোনে বসে আছি বড় একা ,
কোথা গেল মোর অঝোর প্লাবন
কোথায় আধারের রেখা?
ঝরিতাম বসি গগন ঘিরিয়া
মহা মহা কলরোলে,
ভাবিতে বসিলে আমার দুনয়ন
ভিজে যায় নোনাজলে।
কোথা সে প্লাবন রিমিঝিমি ধারা
কোথা সে নুপুর ধ্বনি,
মিশে গেছে আজ দুর দিগন্তে
নেই তার প্রতিধ্বনি।
শুভ্র বসন পরে আজ আমি চলে
যাব দুর দেশে,
কাদিবে আমার হিয়াতল আবার
আ্রঁখির জলে ভেসে।
হেমন্তের আকাশে সাদা সাদা
মেঘ উকি দেয় যদি একা ,
তাহারো মাঝে খুজো তুমি মোরে
এ পথের যবনিকা।
আজি এই শীর্ন দেহ মাঝে জেঁকে
বসেছে নানা ব্যাধি,
তাহারই যাতনায় নিভৃতে আমি
একেলা বসে কাঁদি।
আমিতো চলেছি অজানার পথে রেখে
গেলেম পদচিহ্ন,
এমনি করিয়া জানিতাম না আমি
হবে যে পথ ভিন্ন।
হাসিতাম খেলিতাম ডাকিতাম দিগন্তে
উদাসী গুরুগুরু,
জানিতাম না যে পথ হবে একদিন শেষ
হয়েছিল যা শুরু।
আসেনা কেহ আমার সমুখে
দেখিতে এ শীর্ন কায়া,
রুধির ধারা করে আনচান
কত ছিল প্রেম মায়া।
বাসর সাজায়ে রচেছিলেম গৃহ
কোথা গেছে আজ ভাসি,
কোথা গেল সেই আষাঢ় শ্রাবন
কোথা আধারের শশী।
তবুও আমি গগনের কোনে
একা একা বসে হাসি
শরতের মেঘ চলে যাব সুদুরে
একেলাই সর্বনাশী।