সঞ্চিত দুঃখ - সুখে আজ হাসি কান্না নয়,.
মুছে দিয়ে যাক অতীত.. দখিনা বায়।
উদাসীন বিকেলের অবসাদ হৃদয়ে -
জেগে উঠুক ভবিতব্য.... এই স্বল্প সময়ে।
কিছু দিয়ে যাই কর্তব্যের খাতিরে,
নিয়ে যাই কিছু.... জীবন সমাপ্তি নীড়ে।


মৃত্যু আসে বলে কেউ কাঁদিও না।
কাশফুল ফোটে... ঝড়ে যায়,
যতো বসন্ত গেছে... আর যতো বাকি আছে ;
হয়তোবা কোনো কুলায়ে শোনা গেছে -
শোষনক্লিষ্ট কাতর কুহু স্বর।
গোধূলি ঢলে পড়ে, আসে সন্ধে,
সাধের অমরাবতী ঢেকে যায় আঁধারে।
কাঁধে বাহু খানি রেখে অন্ধের মতো -
পরিক্রমা করেছি জীবন-প্লাটফর্ম ছিলো যতো।
কতো শত লক্ষ হয়েছে পূরণ,
কতো সময় হয়েছে ব্যয় কারণ অকারণ,
সেই বে-হিসাবের হিসাব কেউ রাখেনা,
তাই মৃত্যু আসে বলে কেউ কাঁদিও না!



আশা হীন আনন্দ হীন জীবনের... ধূসর অপরাহ্ণ -
দরিদ্র সীমার নীচে নেমে গেছে,
আসমান জমিন জরিপের দুঃস্বপ্ন -
অদৃশ্য অন্ধকারে লীন হয়ে আছে।
লজ্জাকে গুটিয়ে রাখি বলে ;
শামুকও  বিদ্রুপে পিছপা হয় না।
বিষন্ন উপলব্ধি সূচিভেদ্য বেদনাবিধূর তলে -
চাপা পড়ে ম্লান হলেও ভালোবাসার অনুদান মেলে না।
যুক্তি শাস্ত্রের বিধান বোধগম্য নয়,
কেনো কিছু পাওয়া, সব ছেড়ে যাওয়া!


ভোগে ত্যাগে জড়িত অকুতভয় -
জীবনকে ভ্রান্তি পাশে রাখে... যেন মায়া।
আবশ্যক নিয়মাবলির শীর্ষে প্রশ্ন জাগে -
আমি কে... আমার কর্তব্য কী?
দেখি ;.. শব্দ সমূহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন রাগে অনুরাগে,
এখনও দরিদ্র স্বভাব জরিপ করা বাকি,
কিছুই সমাপ্ত হলো না,
সংশোধন হলো না দোষ,
গুণের প্রশংসা পাওয়া হলো না,
শুধু মনেতে রয়ে গেলো আফসোস!



কে চায় মরিতে অপ্সরা ধরা ছেড়ে......?
কিন্তু... ;নিয়তি নেবে যে কেড়ে -
সেই অধিকার।
হায়রে অধিকার............... ;
বুঝি তা জড়ো এক শুষ্ক পুতুলের মতো!
মধু আহরণী ভ্রমর-ভ্রমরী যত -
নিয়েছে বিদায় মৃতের আভাস পেয়ে,
কি হবে অশ্রু ঝড়ানো গীত গেয়ে?
পত্তনের সাথে পতনের কাল ছিলো নির্দিষ্ট,
আমারও সম্মতি ছিলো, এতো নয় অদৃষ্ট।

পূবে উঠা ক্রমবর্ধমান দীপ্তি মান সূর্যের মতো এ জীবন -
মন্থর ভাব নিয়ে অপরাহ্ণে হয় পর্যবসান,
এরই মতো নিজের কাছে নিজে পরাজিত থেকে যাই।
আজ শুধু আপসে কিছু চাই,
আমাকে আনৃন্য করে -
আশ্লেষ দাও উচাটন অন্তরে,
দাও শীতল সান্ত্বনা হৃদয় ভরে।
এই শেষ বেলা কে কার আপন,
মিছি মিছি কেনো পেতেছ যাতন?



জন্মেছি বলে গর্বের কিছু নেই,
কারণ, এই ধরার কাছে ঋণী হয়ে যাবোই।
পরিশোধ দেবার মতো অবশিষ্ট থাকবে না কিছু,
না যেতে পারবো আগে.. না আসতে পারবো পিছু।
আশ্বিনে শালবনে হুল্লোড়ে ঝড় আসার মতো -
একদিন এলোমেলো হয়ে যাবে সব!
যতো অতীত ছিলো তা আসে না বর্তমানে,
বর্তমান ভবিতব্যকে ভাবে না মনে,
শুধু দীর্ঘশ্বাস জাগে নশ্বর অঙ্গে,
কেউ.... সাথী নেই আজকের এই রঙ্গে!


অপ্সরা রুপি বসুন্ধরা আজ বাম,
তাই আনন্দের দিন গেছে।
তোমাদের মনঃস্কাম.. কিছুকাল আরো বেঁচে থাকি,
কিন্তু, ধরণীর রাত্রি-দিন আমারে দিতেছে ফাঁকি,
তাই বলে দুঃখকে দিও না ঠাঁই,
যদি আবার জনম পাই,
এই সাধ করবো পূরণ!
ছাড় মায়া.. বেঁধনা বাঁধন,
কালের ধারা বেয়ে সবাইকে যেতে হয়,
জোয়ার এলে ভাটাও আসে.. এই তো জয়-পরাজয়!


## পলাশ বিশ্বাস