তৃতীয় পুরুষ

তৃতীয় পুরুষ
কবি
প্রকাশনী ভুমিপ্রকাশ
সম্পাদক জাকির হোসেন
প্রচ্ছদ শিল্পী গুপু ত্রিবেদী
স্বত্ব কবি
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সর্বশেষ সংস্করণ প্রথম
বিক্রয় মূল্য ১৫০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

বইটি মূলত প্রেম ও দ্রোহের উপর। এখানে প্রপ্তি অপ্রপ্তি ফুটে উঠেছে, যেখানে প্রিয় মানুষটিকে পাবার কথা থাকলেও পাওয়া যায় না, যে বিষয়টা অর্জন করার কথা ছিলো সেটি অর্জন করতে পারি না, সময়ের ব্যবধানে কাছের মানুষগুলো দূরে সরে যায় সময়ের দাবিতেই। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ৪২ টি কবিতা আছে।
গ্রন্থেটির প্রচ্ছদ করেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষক গুপু ত্রিবেদী।

ভূমিকা

কবি খুঁজে পেতে চান প্রেমকে। অভিজ্ঞতার সীমানায় ধরতে চান প্রেম নামক সর্বজনীন, সর্বগ্রাসী অনুভূতিকে। কিন্তু কবিকে পরাজিত হতে হয়। কবি অভিজ্ঞতার আলোয় স্বপ্নলব্ধ প্রেমকে অনুভব করতে পারেন না। কবি তাই ক্ষত-বিক্ষত হন; তার বাকমূর্তিগুলো রক্তাক্ত হয়। এই নবীন কবিও সে পথে হেঁটেছেন। ট্যুইট, হোয়াটস এ্যাপের এই যুগে কবি তার দুঃখনাশিনী, তৃষা-দায়িনী প্রেমিকাকে খুঁজেছেন। পেয়েছেনও কিন্তু ধরে রাখতে পারেন নি। ফেসবুকের এইযুগে প্রতি সেকেন্ডে ৫-৬টা স্ট্যাটাস স্ক্রল করা মানুষের মধ্যে বাস করা কবি প্রেমিকার শরীরী আকর্ষণের প্রাত্যহিকতায় ক্লান্ত হয়ে উঠেছেন। অধরা প্রেম কিংবা প্রেমিকা চিরদিনের জন্য স্বপ্নলোকে থেকে গেছে তার। কবির আর্তি তাই বারবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে এই কাব্যে।
কবি ব্যক্তিক অনুভুতির অমীংমাসিত বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রনৈতিক-সামাজিক তরঙ্গমালা দেখে বিচলিত হয়েছেন। প্রশ্ন করতে চেয়েছেন উন্নয়নকামী রাষ্ট্রকে, খুঁজেছেন প্রশ্নের উত্তরও। তরুণ এই কবিতাকার রাষ্ট্রের কেবল উন্নয়নকামিতাকে নয় প্রগতিকে গুরুত্ব দিতে চান সভ্যতার খাতিরে। সুবর্ণচর কিংবা কবিরহাটে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে কবি সমাজ-সভ্যতাকে মুক্ত করতে চান। ব্যক্তিক প্রেমের আর্তি আর সামাজিক অনাচারের জন্য বুকফাটা আর্তনাদ কবিকে জাগিয়ে রাখে তার কবিতায়। ভবিষ্যতেও কবি তার পঙ্ ক্তিমালায় জেগে থাকবেন আর আমাদের জাগিয়ে রাখবেন এই প্রত্যাশা রইলো।

উন্মেষ রায়
লেখক, গবেষক ও শিক্ষক
বাংলা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

উৎসর্গ

প্রিয় ঠাকুরমা, যাকে নিয়ে কখনোই কোন কিছু লেখা হয়নি অথচ তার বলা গল্প আর কিংবদন্তি গুলো থেকেই কিনা আমার শৈশবে প্রথম কল্পনার শিহরণ। প্রথম বই, কাকে উৎসর্গ করি! অবশেষে অনেক ভেবে দেখলাম উৎসর্গপত্রে শ্রীমতি কমলা দেবীর নামটিই সবচেয়ে বেশি শোভাপায়।