এক দেশে এক গাধা ছিলো
এক দেশে এক গাধা,
নাকের কাছেই মুলো ছিলো,
মুখ ছিল তার বাঁধা।


লাফ দিতো সে ঝাঁপ দিতো সে
দৌড় কিংবা হাটা,
মুলো তবুও ঝুলতো সুখেই,
ব্যর্থ সকল খাটা।


চলতো গাধা, গাধার পিঠে
বোঝায় বোঝায় ভারী,
গাধার যিনি মালিক তিনিও
গাধায় যে সওয়ারী।


বেগার খাটায় কাহিল গাধা
ভাবতো তবুও সুখে
আজ না হলেও কাল সে মুলো
দেবেই দেবে মুখে।


দিনে দিনে বছর গড়ায়
গাধার বয়স বাড়ে,
বাতের রোগী বুড়ো গাধা
খেটে খেটেই মরে।


মুলো তখন মালিক নিজেই
মনের সুখে খেয়ে
চলতে থাকে আবার নতুন
গাধায় সওয়ার হয়ে।


এমন করেই আসতে থাকে
গাধার পরে গাধা,
মুলো ঝুলে, আর গাধাদের
মুখ থেকে যায় বাধা।


* * * * * * * * * * *


আমরা সবাই আমজনতাও
এই গাধাদের মতো,
দেশের সকল বোঝার ভারে
আজ ক্ষত বিক্ষত।


বোঝার উপর আঁটির মতো
নেতাও বসেন চেপে,
প্রতিশ্রুতির মুলোর নামে
চাবুক চালান ক্ষেপে।


আমরা তবুও চলতে থাকি
বিনা প্রতিবাদে,
আর নেতারা মুলো নিজেই
খান সাধে আহ্লাদে।


এমন করেই গাধার মতো
শুধুই দেখে দেখে,
এই আমরাও বুড়ো হবো
সবাই একে একে।


বেলা শেষেও সবাই যদি
চুপ থেকে যাই তবে,
গাধা থেকে আমরা বলো
মানুষ হবো কবে?


(রচনাকালঃ ১১ মে ২০১১ ইং)