প্রকৃতিময় ধূলিকণা থেকে প্রকান্ড নক্ষত্রের মাঝে
আভরন অথবা নিরাভরণ ভালবাসাবাসির গভীর
আকর্ষন এত বেশী যে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে
আড্ডা হয় এবং হচ্ছে। এ আড্ডা স্বভাবতঃই
দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান সকল অস্তিত্ব আর সত্তার
স্থায়ীত্বের জন্য। এটাই স্বাভাবিক্‌ এটাই প্রাকৃতিক।


যেমন দিনের সাথে রাতের, চন্দ্রের সাথে সূর্যের,
আকাশের সাথে মেঘেদের আড্ডা। আবার মাটির
ধূলিকণার সাথে জীবনের, বনরাজির সাথে বৃষ্টির,
জোয়ারের সাথে সাগরের, পাহাড়ের সাথে বাতাসের
আড্ডা। এ আড্ডা তাই অনেক  ধ্যানের, অনেক
ভালবাসার, অনেক প্রেমের এবং অনেক প্রার্থনার।  


সময়ের সাথে সকল অস্তিত্বের এই যে মাখামাখি
আড্ডা, এই যে অভিসার, তা না হলে এই
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কি এমন অটুট থাকত সেই প্রথম
সময়ের মুহূর্তটি থেকে? তাই প্রত্যেক অস্তিত্বের
যেমন অবস্থান আছে, যেমন সে জায়গা দখল
করে থাকে, ঘুরে বেড়ায়, অভিমান করে তেমনি
দুটি মনের ভালবাসাও।


সেই ভালবাসা আর প্রেমের মনেও মান অভিমান,
অস্তিত্বের অনুভব, জায়গা দখল করার অধিকার
নিয়ে অভিসারে প্রকাশ্যে অথবা নিভৃতে সংগত
আড্ডা না থাকলে কেমন করে তার নিগূঢ় সত্তার
স্থায়ীত্বের অমরত্ব হবে লাভ? তাই ভালবাসার দুটি
মন আড্ডায় হোক আত্মহারা আর তার ঠিক নিকট
অদূরেই অলক্ষ্যে থাক দুষ্টুরা নয়, অদৃষ্টপুরূষ।