বাবারা কেন যে চলে যায়,
কেন যে আর দেখা দেয় না।
আচ্ছা চলে যাবে যাক। বাবা ডাকটাও কি
সাথে করে নিয়ে চলে যেতে হবে।
তাহলে কাকে ডাকব বাবা বলে,
আব্বা অথবা আব্বু বলে! আব্বা আব্বা,
আব্বু আব্বু ও বাবা, বাবা!


কিন্তু চোখের চশমাটা ঠিক রেখে গেছে
অথচ চোখ জোড়া রেখে যায়নি।
যে চোখের দিকে তাকালে বিশ্বাসের গভীরতায়
হারিয়ে যেতাম পরম নির্ভরতায়,
লাঠি রেখে গেছে অথচ হাত রেখে যায়নি।
যে হাতের মুঠোয় জমা থাকত
আমার আগামী সোনালী সকাল।
আংটিটা রেখে গেছে অথচ তামাটে  
সুডৌল আংগুল গুলো রেখে যায়নি।
যে আংগুল ধরে আস্থায় নিশ্চিন্তে
প্রথম ধাপ  ফেলেছিলাম কোমল মাটির বুকে
সম্মুখে নতুন পৃথিবী দেখব বলে।
খড়ম জোড়া রেখে গেছে অথচ পা রেখে যায়নি।
যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে পা বাড়িয়েছি
জীবনের অস্তিত্বকে খুঁজে দেখব বলে।


কেন চলে যায় বাবারা এমন করে।
চলে যাবে যাক। সাথে করে
সব কেন নিয়ে যায় বাবারা!
এই যে বাবা বলে , আব্বা বলে,
আব্বু বলে ডাকব
সে ডাকটাও তুমি নিয়ে চলে গেছো!
কি হবে এই বাবাহীন তাঁর চোখের চশমা,
হাতের লাঠি, আংগুলের আংটি আর
পায়ের খড়ম দিয়ে। এগুলো যে কেবলই
গভীর রাতে দীর্ঘ শ্বাস ছড়ায়
আর স্মৃতিকে করে অশ্রু শিক্ত।
তবুও বাবারা পরম শান্তিতে
ভালো থাকুক ওপারে।


২৩ জুন, ২০২০।