সলতে প্রদীপটা তখনও আধো খোলা জানালার পাশে
এলোমেলো হাওয়ায় বিক্ষিপ্ত দুলোনীতে তবুও জ্বলছিল,
অতৃপ্ত জীবন যেমন- কেন সে অতৃপ্ত ? মেলে না অংক
ভেতরে পুড়ে পুড়ে যায় কেউ দেখে না কি ভাবে পুড়ছিল।


দেহের ভেতরে প্রানটুকু থাকলেই কি তাকে জীবন বলে
মুখে ভালোবাসি বললেই তাকে কি ভালোবাসা বলা যায়?
ছোট বড় কঠিন পাথরে পাথর ঘষলেও তো আগুন জ্বলে
তাই বলে কি আগুন লেখা থাকে ছোট বড় পাথর গায় ?


চোখ তো সব সময় ভেসে থাকে ভাসা ভাসা নোনা জলে
তবুও চোখে আগুন লাগে যখন মন পুড়ে দুঃখের জ্বালায়,
যতই চেষ্টা করি অতিরিক্ত জলেও নেভে না সে আগুন
সচল বাতাস না থাকুক, তাতে সে আগুনের কি এসে যায় ?  


এই আলো আগুনের খেলাতে আগুনেই থাকে যে আলো
তবু আলোর প্রকাশটা আগুন ছাড়াই কেন যে পেতে চাই?
রাত্রি আছে বলেই আঁধার কেটে দেখা পাই মুখরতার দিন
এত তীব্রতা তবু সূর্যকে নয় চাঁদকেই বেশী ভালোবেসে যাই।


বাইরে ঝড় থেমে গেলেও অদূরে তবু থামে না মনের ঝড়
জীবন মৃত্যুর সাথে প্রদীপের সখ্যতা সলতের সাথে তেল,
নদীর মত সুখ দুঃখ নিয়ে তবুও বাঁচতে চাই হাজার বছর
যেমন উত্তাপেও শুষ্ক মরুভূমি বাঁচে, - না থাক জল অঢেল।