সকাল তো প্রতিদিনই দেখি, মানে দেখছি। বেঁচে আছি বলেই
সকাল দেখছি, দুপুর দেখছি, সন্ধ্যা দেখছি, রাত্রি দেখছি,  
ভোর দেখছি। কিন্তু দেখার সাথে তাকে উপভোগ করাটা কেন
জানি আজকাল একটা নেশার মত দোল খাচ্ছে- অস্তিত্ব আর  
সময়কে ভেবে ভেবে। তাই আমি শুধু দেখছিই না, আমি
দেখার নেশায় ডুবছি প্রতিনিয়ত। আমি যেন অপেক্ষায় থাকছি
একটা ভোরের কামনায়, একটা দুপুরের নির্জনতার শিহরণের,
একটা সন্ধ্যা কিংবা রাত্রির অন্ধকারের স্পর্শের। তাই দেখব
বলে এখন আমার বেঁচে থাকার সাধও যাচ্ছে বেড়ে প্রতিদিন।  


হতে পারে তুই যেদিন থেকে আমার সকাল হয়ে জাগিস,
দুপুর হয়ে আমকে কাজের ফাঁকে নিয়ে যাস এই সদ্য ছায়া হেলে
পড়া খেয়ালি ভালবাসায়, অথবা সন্ধ্যা কিংবা রাত্রির রুপ আর
শরীরের গন্ধে ভুলিয়ে দিস চোখের ঘুম, কখনও ভোরের নরম
আলোদের গায়ে মেখে হতে চাস পাখিদের কলকাকলি, তখন মনে
হয় আসলেও দেখা মানে কি শুধুই চোখের দৃষ্টি দেয়া? দেখা
মানে তো উপভোগ করা, দেখা মানে তো হৃদয়ঙ্গম করা। দেখা
মানে তো কারও অস্তিত্বকে ভাংগা গড়া বুকের মধ্যে অনুক্ষন
অনুভব করা।  


আমি তাই আজকাল চোখ মেলে দৃষ্টি দিয়ে চোখের পাতাদের
ঘন সঞ্চালনে এ মন কার কথা কয়ে কয়ে যায় সে অনুভবের  
ভাষাও এখন বুঝি, আমি তাই বিত্ত বৈভবের উষ্ণ দম্ভকে উপেক্ষা
করে কেবল ভালবাসার মায়ায় জীবনকে উপভোগ করতে হয় কি
ভাবে তার অনুরাগের ভাষা এখন বুঝি। আসলে হৃদয়ে দৃষ্টি দেয়া  
নিবন্ধিত ভালবাসায় বিধৃত ভাস্কর্যের ভাষা বুঝতে গেলে দুটি চোখে
আলোর যেমন প্রয়োজন তেমনই এখন খুব বুঝি জীবনকে উপভোগ  
করতে, জীবনের মানে খুঁজতে তোকে নিয়ে কেন আরও হাজার
বছর বাঁচতে ইচ্ছে হয়।