আচ্ছা এই যে বলোঃ এ ঋতুটা বেশ ভাল,
আবার পরক্ষনেই বলোঃ তা খারাপ। কখনও
বলঃ পৌষ মাঘের শীতে কেমন কনকনে
জড়সড় সময়, ভালই লাগে না। যখন
বসন্ত এলো, বললেঃ “ফুল ফুটুক আর না
ফুটুক, আজ বসন্ত”। কত সুন্দর পাতা
ঝরা সময় চারিপাশ। হাওয়ায় নিঃশ্বাস
জুড়ানো কিসের মাতামাতি গন্ধ।

যেই চৈত্রের ছোঁয়ায় উষ্ণতার আকাশ ছুঁয়ে
ধূলো উড়ানো বিরক্তির সময় এলো, আর  
ওমনি বললেঃ নাহ্‌ বর্ষাই ভাল। কোন ধূলো
নেই, তেমন গরম নেই। সময়ে ঝম্‌ ঝম্‌
বৃষ্টির ঐকতানে নিজের স্মৃতির সাথে সপ্তসুর
গাঁথা ভাবনা। মনে পড়ে- ফেলে আসা সুদূর
জীবনের গল্প, বর্ষার কাদাজলের মতই যেন
মায়া আর মমতায় কত মাখামাখি সময়।  


কখনও মেঘের ডম্বুরু, আকাশে চমকানো
বিদ্যুত, বর্ণিল রঙধনু, আবার কখনও
আঁধার করা শহর। কত রকমের বৃষ্টিঃ
ঝম্‌ ঝম্‌, টিপ্‌ টিপ্‌, গুঁড়ি গুঁড়ি, ঝড়ো বৃষ্টি,
ন্যাকা বৃষ্টি, কাঁথা মুড়ি দেয়া বৃষ্টি, ঝাল
চানাচুর মুড়ি খাওয়া বৃষ্টি, খিঁচুড়ি খাওয়া
বৃষ্টি, নস্টালজিক বৃষ্টি, আবার কখনও
চোখের জল আড়াল করা বৃষ্টি।


আমি আজও তোমার পথ চেয়ে ঝোলা
বারান্দায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। ভাবি এবার
বর্ষায় তুমি এই বুঝি ফিরে এসে পেছন
থেকে জড়িয়ে ধরে বলবেঃ চল আজ অনেক
করে বৃষ্টিতে ভিজি। অদূরে নদীতে তখন
ডেকেছে বান, নৌকায় ভাসছে নায়রী স্বপ্ন।
অপেক্ষা ফুরায় না। চোখও জানে না কত
জল ধুয়ে মুছে গেল বিগত বিরহী সেই বর্ষায়।