অনেক তো হলে- ঘাস ফড়িং,
হরিণ হরিনীর সুঁচালো শিং।
উদাস দুপুর হেয়ালি চিল,
মনের দরোজায় আঁটানো খিল।  


উল্লম্ব খেয়ায় মাছের শিরীর,
নবান্নে পাটালী গুড়ের ক্ষীর।
প্রকৃতি প্রেম সুখ দুঃখ পিরকীয়া,
উজান ভাটির গান মরমীয়া।


তবু কেন যে এ মন শুধি কাঁদে,
পড়েছি আমি আজ এ কোন ফাঁদে!
মাটির দেহ মাটিই তো করবে গ্রাস,
তবুও সময়ের চিন্তায় মৃত্যু নিয়ে বসবাস।


এই যে এত ভালবাসা দরদী সংসার,
কত আত্মীয়তা, কত বায়না আবদার।
কত মঞ্চ কত সংলাপ নিয়ে অভিনয়,
ধীরে ধীরে নামছে পর্দা ফুরাচ্ছে সময়।


এ যেন শেষ অংকের অমোঘ বিধান,
তবু রেখে যাওয়া সু-কর্মের চিন্হটাই প্রধান।
সেটাই যেন হয় বেঁচে থেকে চাওয়া শেষ ব্রত,
না হোক জন্মদিন আমার না হোক মৃত্যুদিন শত।