যে বারমাসি প্রেম শেখালে তুমি তা কি আর ভোলা যায়,  
না তাকে- না খাইয়ে করে রাখা যায় আধমরা,
মাকড়সাও তো তার অস্তিত্বকে বাঁচাতে অনুক্ষন ভাবে  
বাঁচল কিনা তার প্রসুত আদরের সন্তানেরা।  


আমি চাইনা তবু সে মায়ার জাল বুনা মাকড়সা- ভালবাসা
আমি চাই আনন্দ সরোবর চুঁয়া জলধারার অনন্ত প্রেম স্রোত,
কতটুকু কূল উজাড় হল নদীর,ভাসালো কিনা কেউ তরি,  
তার চেয়ে মগ্নতায় মোহনাই হোক তার স্বর্গীয় আড়ত।


এ ভাবে বাঁচতে শিখে কেই কি আবার সব কিছু ভুলে গিয়ে  
শূণ্যতার নিয়তিকে পুনরায় করতে পারে আলিংগন,
যেমন সূর্যমুখী ভালবেসে বাঁচতে শিখেছে সূর্যকে চেয়ে চেয়ে
কি এসে যায় যদি মৌতাতে না ভরে তার প্রাংগন।


কোন একদিন সকাল সন্ধ্যা ভুলে যাওয়া সময় ছিল কত
উভয়ে হারিয়ে গিয়ে ভুলেছি দক্ষিনের জানালায় পূর্ণিমা রাত,
এখন আবেগের কপাট বন্ধ করে জানালা খুলে যতই বলি
ভোলা কি যায় ভালবাসার সমূদ্র নিয়ে বাড়িয়ে দেয়া দুই হাত?


তাইত বুকে গাঁথতে থাকে অসম অভিমানের দগ্ধ নীল পুঁতি
খসে পড়তে চায় না জপমালা আরও যেন পোক্ত হয় গেরো,
প্রেম তো সেটাই যার কাছে যেমন করে দেয় ধরা
তুলনায় প্রেম হয় কি শুদ্ধ যতই থাকুক বৈশাখি খাতা খেরো।  


যে ভোলার সে ভুলবে, যে যাওয়ার সে যাবে এ ব্যক্তি স্বাধীনতা  
তবু শেখানো প্রেমের ছেলেমানুষী টান থাকে যে বড্ড প্রখর,
জানি না এ আমারই মূর্খতা নয়ত নিজেকে খেয়ালি না রাখা
না জানা সত্যিটা এই - এখন ভালবাসায় নেই মুগ্ধতার প্রহর।  


২২ অক্টোবর, ২০১৯।