আঁধার রাত নয়ত যেন অনুক্ষন আঘাত ছিল এ রাতে,  
ঘুম নয়ত যেন গুম হওয়া দৃষ্টিরা ছিল দুই আঁখিপাতে।


শুয়ে থাকা নয়ত যেন তীক্ষ্ম শূলে চড়া ছিল এ সারা দেহ,  
মসৃণ বিছানা নয় যেন বিচ্ছুর বিষে ঠেসে ধরে ছিল কেহ।


সুখের স্বপ্ন নয়ত যেন দুঃস্বপ্নে ভরা ছিল সেই চোখের পাতা,
তোমার প্রেম নয়ত যেন ভ্রমের কীর্তি ছিল সে তন্দ্রায় যাতা।  


শিয়রের জানালায় চাঁদ নয় যেন চাতকী  ছিল রাত্রি জুড়ে,  
দরজায় খিল নয় যেন অনাবিল কান্না ছিল প্রেতাত্মার সুরে।


ঘরে তো নয় যেন কবরে শুয়ে ছিলাম দুর্বিষহ এক যন্ত্রনায়,
নিঃশ্বাস তো নয় যেন নিঃশেষ হোচ্ছিলাম কোন অজানায়।


আমি চিতকাত হোয়ে চিতকার করে তবু ডেকেছি তোমায়,
শিয়রে জল নয় যেন কিছু গরল ছিল সেই কাতরানি তেষ্টায়।


আমি তো নই যেন থৈ থৈ করা শুধু পঁচা শরীর ছিল আমার,
শুভ্রতায় মোড়ানো শরীর জড়ানো বোতাম ছিল না জামার।