বৈকালিক বুড়ো রোদ ভাবনার শিহরণ উপেক্ষা করে অযাচিত
বৈদ্যিক সময় এসে হাজির হয় জীবনের মুক্ত আঙিনায়।  
আমি তখন ট্রেডমিলে দাঁড়িয়ে।
হাঁটার পরে ভাবি এবার ইটিটিটা বোধহয় পার করে দিলাম।
স্থেটেস্কোপে ডাক্তারী কান তখনও খুঁজছে অসংলগ্ন হাটবিট।


ভাবি আর কি পাব ফেলে আসা যৌবন? নিজেই নিজের কাছে
প্রশ্ন করিঃ এ আবার কেমন ভাবনা! যৌবন হারিয়ে গেলে কি
আর ফিরে আসে! না আসুক, তবু স্বপ্নরাই তো ধরে রাখে যৌবন।
এ জন্যই কি স্বপ্ন এত মধুর হয়, এ কারনেই কি দু’চোখ ভরে
স্বপ্ন দেখার কথা বলে স্বপ্নবাজ।


স্বপ্ন দেখতে ট্রেডমিলে চড়তে হয় না, স্বপ্ন দেখতে অনেক সম্পদের
মালিক হতে হয় না, স্বপ্ন দেখতে ফুল শয্যায় ঘুমাতে হয় না, স্বপ্ন
দেখতে সোনার চামুচ মুখেও জন্ম নিতে হয় না। স্বপ্ন দেখতে লাগে
স্বার্থহীন বন্ধুর ভালোবাসা, প্রেম, স্বপ্ন দেখতে লাগে কষ্ট উপেক্ষিত
বৈদ্যিক সময়, কষ্টের ভেতর দিয়ে দেখা সোনালী রোদ। যার উষ্মতায়
গলে গলে যায় দারিদ্র ভাবনার পোড়া মোম।


আজকাল চোখের মধ্যে সাদা এপ্রোন দেখি,
অথচ স্বপ্নের মধ্যে দেখি গোলাপ ফুল।
আজকাল শরীরে জ্বরের উত্তাপ টের পাই,
অথচ স্বপ্নের ভেতরে দেখি পাক্‌ রাসূল।
আজকাল হাওয়ায় পাপের অস্তিত্ব টের পাই,
অথচ স্বপ্নে দেখি হেঁটে বেড়াচ্ছি জান্নাতুল।
আজকাল তোমাকে হারানোর ভয়ে থাকি অনুক্ষন,
অথচ স্বপ্নের ভেতরে দেখি গন্ধে ভাসছে এলো চূল।  


তাই ভাবি এবার ট্রেডমিলে চড়লে কি পার পেয়ে যাব হার্টের কাছে?
নাকি স্বপ্নরাও হার মানবে বাস্তবতার সাক্ষাতে। পা সরবে না, স্বপ্নরা
থমকে দাঁড়াবে, ভেতরে তবুও স্বপ্ন দেখার সাধ। বৈকালিক সময় পার  
হয়ে সন্ধ্যা গড়াবে, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি নামবে। এপ্রোনধারীরা
হয়ত তখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে বলবেঃ স্যার শুয়ে পড়েন তো।
এবার বিশ্রাম দরকার।


১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০।