হলুদ সন্ধ্যায়
আমি যখন তোমার আগমনী পথ চেয়ে বসে ছিলাম
তখন আমার পরনে ছিল হলুদ শাড়ি, কপালে, কপোলে,
হাতের পৃষ্ঠ আঙ্গুলে ছিল হলুদের ছোঁয়া।


অথচ মনের মধ্যে ছিল তখন
সবুজের সজীবতা, যৌবনা স্বপ্নের হাওয়ায় উড়াউড়ি।
আর তাজমহলের শুভ্রতার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়ে
মমতাজের বন্দিসে নিজেকে ছন্দময় হারিয়ে ফেলা।


হলদেটে সময় কেন যে
জীবনের প্রথম শিহরণে এসে হলুদ সন্ধ্যার নামে
বাসা বাঁধল জানি না। এমন রংয়ের সময়টা তো
হলুদ পাতা ঝরার দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়-  
বোশেখের হাওয়ায় উড়ে যাওয়ার অপেক্ষায়!


তাই কি হলুদের রংগে
হলুদ সন্ধ্যায় লুকিয়ে ছিল- জীবনের যে গন্ধ,  
যে স্বপ্ন, যে সবুজের সজীবতা, অথবা তাজমহলের
শুভ্রতা, মমতাজের দরবারী বন্দিস তা মঘোলীয় পথে
পা বাড়াতে না বাড়াতেই যেন হয়ে গেল ইতিহাস।


এ ভাবে সেই সেদিনের
হলুদ সন্ধ্যা যে হারিয়ে যাবে শুভ্রতার মোড়কে
তা কে জানত। কে জানত শুভ সূচনার আগেই
যবনিকার মূর্ছনা জীবনের হলুদ সন্ধ্যায় অজান্তে বেজে
বেজে যায়। অথচ মনের মধ্যে খেলা করে মিলনের গান।