এই যে এতো ঝনঝনানি, চোখ রাংগানি
নিত্য নতুন সমরাস্ত্রের প্রতিযোগীতা,
কার হাতে আছে দূর পাল্লার, নিউক্লিয়ার
পাওয়ার আছে, হতে বড় বিশ্ব নেতা।


প্রতি দিনই থাকতাম ভয়ে, আসছে ধেয়ে
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ংকর দিন,
কোন দেশ যাবে কার দিকে, থাকতে টিকে
প্রয়োজনে একাই লড়বে লড়াকু চীন।


আমেরিকা নাকি ইউরোপ, কার কি টোপ
গিলবে কখন বাঁচাতে নিজের জীবন,
ওয়ারশো নিয়ে রাশিয়া ভাবে, দেখা যাবে
সময় হলে দেখা যাবে রাখছি গোপন।


দুনিয়াটার মোড়লগিরি, রাখতে তড়িঘড়ি
ভাঙ্গল রুশ আমেরিকার ন্যাটো,
ভেবেছিল মধ্যপ্রাচ্যের তেলে, কুট খেলা খেলে
মোড়লগিরির নাগাম করবে খাটো।  


মধ্যপ্রাচ্যকে মাটির সাথে, গুঁড়িয়ে দিতে
কত সমরাস্ত্রের গর্জন গেল শোনা,
ইসরাইল কেবল নিভৃতে বসে, মুচকি হাসে-
দেখে ভারতও বাড়ায় হাত দু’খানা।


রোহিংগাদের কষ্টের দিনে, এ বুকে টেনে
বাঁচতে চায় একত্রে সোনার বাংলাদেশ,
ন্যাটো, খাটো ওয়ারশো, আমেরিকা রুশও
এ নিয়ে হৃদয়ে ছিল না কোনই ক্লেশ।


এমন সময় করোনা এসে, অজানা বেশে
দেশ থেকে দেশান্তরে দিল হানা,
স্রস্টা তাঁর ক্ষমতার পাত্র থেকে বিন্দু মাত্র
অদৃশ্য ভাইরাসে দিচ্ছে একটু যাতনা।


প্রযুক্তি কত হাতের মুঠোয়, অনেক ছুতোয়
নব্য জেনারেশন ভাবে আহামরি,
এলিয়নদের করবে বশ, আর কিছুটা বরষ-
অপেক্ষাতেই গ্যালাক্সিতে হবে বাড়ি।


স্রস্টা এবার মুচকি মুচকি হাসে, আরশে বসে
বলে হায়রে অকৃতজ্ঞ মানবজাতি,
আমাকে ভুলে আমার বিশ্বে, নি-বোমার বিষে
ধবংস করবি মুহাম্মদের জ্ঞাতি!


দাগা এবার কামান দাগা, ভর সব নলের আগা
দেখ দেখি আসে কি না কোন কাজে,
একত্রে কর নি-বোমা, প্রয়োজনে আরও জমা
ঊর্দ্ধ্যাকাশে কান পেতে শোন কি নাম বাজে।


তারই কাছে ফিরতে হবে, সময় শেষ হবে যবে
এত বড়াই করো না কেউ ক্ষমতার দম্ভে,
ফিরে এসো মানবতার পথে, সুন্দরের ঐক্য মতে
তবেই কেবল করোনার কষ্ট যাতনা কমবে।


২২ মার্চ, ২০২০।