পান করে বুঁদ হোয়ে থাকবে বলে যে
সুরার পাত্রে ঢালছ নর্তকীর যৌবন,
ভাবছ তুমিও বুঝি হোয়ে গেছো মোঘলের  
সম্রাট। অথচ নর্তকীর পায়ের নূপুরের
তালের শব্দের আড়ালে অথবা তবলচির
তবলার বোলের আড়ালে যে দুঃখ জমে
জমে পাহাড় হয়ে গেছে বিগত রাতের
উন্মত্ত উন্মাদনায়- তা কি একবারের
জন্যও অনুভব করেছো?


কখন যে সে সব কষ্টরা কোন্‌ পথে
মিছিল করে ভাঙবে তোমার উন্মাদনার
আনাড়ি নেশা, তোমার কাঁচা টাকার
বেহুদা অহংকার, কাঙ্ক্ষিত সমাজ আর
রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থার আড়ালে নিজ স্বার্থ
চরিতার্থের জন্য গড়া তোমার ষড়যন্ত্রের
শৃংখল। কখন যে তোমার নেশাড়ু মাথায়  
ঝাড়বাতির ঝুলনী বন্ধন খুলে আঁছড়ে
পড়তে গুনবে অপেক্ষার সময়, তখন
বুঝবে ভন্ড আভিজাত্য তোমার কোন
শিখরে!


প্রায় আমার বিনিদ্রিত রাত্রিতে বিবেকের
জানালা খুলে চেয়ে থাকি তোমার পাঁচতারা
হোটেলের নাচ ঘরে জলসা মেঝেতে। সূরার
গন্ধ্যে কাঁচা খুনের উষ্ণ গন্ধ ভেসে আসে
নাকে, কানে শুনতে পাই কামনার হাসির
আড়ালে মধ্যরাতে হুতোম পেঁচার অশুভ
বিলম্বিত কান্না। তখন ভাবি নর্তকীর বুকে  
গোপন কষ্টের কান্না কেউ কি শুনে ফেলল,
কেউ কি ন্যায্য অধিকারের করিডোরে
দাঁড়িয়ে পড়ল অস্ত্র হাতেঃ বিগত পাওনাটা
এবার হাতে নাতে পেতে চায় বলে!