মানবতার শরীরে চোরাকাঁটাও বিঁধেনি
অথচ অবলিলায় বিবেককে করেছি কফিন,
সেই কফিনে লোহার শেষ পেরেকে যেন
হাতুড়ি ঠুকে বন্ধ বিবেকে হয়েছি স্বাধীন।  


হায়রে আমার স্বাধীনতা কত যে অভাগা
তোমাকে বুঝিনা তাই কাঁধে স্বেচ্ছাচারীর ভূত,
বুঝিনা ইজ্জত খুঁজি না নিজ বংশ পরিচয়
ভাবি না আমরা কোন বাংলা মায়ের পূত।


যতই আন্দোলন ফলাই পথ থেকে রাজপথে
যতই করি আহাজারির গলা ফাটা চিৎকার,
বিবেক যে বন্দি আজ পিরামিডিক কফিনে
নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় চাই শক্ত কোন প্রতিকার।


এখন বিবেকহীন পুরুষ সব লেপটে আছে
মুখোশ নয় নাকটুপি পরেও আঁটছে বুদ্ধি কুট,  
আশচর্য হব না যদি শুনি ঠিক আগামীকাল
পুরুষ নয় নারীও করছে পুরুষের সম্ভ্রম লুট।


করোনার মত অভিশাপে মাথায় টুপি নেই
অথচ নিজেকে বাঁচাতে পরছি আজ নাকটুপি,
স্রস্টা এতো গজব দিয়ে শুধালো বিবেক কোথায়?
হায়রে মানুষ বিপদ ফুরালেই হয়ে যাই বহুরুপি!


নাক্টুপিও তোদের ধরাতে পারল না আজ
এতটুকু নরক কিংবা জাহান্নামের ভীতি,
স্রস্টা কি নিজেই ক্রস ফায়ারে শায়িত কফিনে
তাহলে সারাবে কে আজ সমাজের এই ভীমরতি?


করোনা গজবে বিবেক এখনও জাগ্রত হল কই?
যেন আরও হয়েছি বিবেকহীন বিকৃত নরপশু,
নাকটুপির আড়ালে একি অমানবিক খেলা
মায়ের সামনেই ধর্ষিত হচ্ছে আজ মানব শিশু!


তাই পিরামিডিক কফিন থেকে আগে বের করো,
টেনে বের করতেই হবে অসাড় বিবেককে,
তার পর বাল্য শিক্ষায় তাকে শিশুর মননে গেঁথে
আজীবন জাগ্রত রাখতে হবে সে বিদ্যাপতিকে।


যারা বখে গেছে ,কঞ্চি হয়েও বাঁশ থেকে আজ লম্বা
তাদের অপরাধে বিচারের হাত হোক খাটো,
বিলম্বিত আহাজারি নয়, প্রকাশ্যে ফাঁশি চাই তাদের
বুড়ো বাঁশ যেহেতু হয় না পাকিয়ে আঁটো।


নাকটুপির স্রস্টা- তুমি ক্রস ফায়ারে মরতে পারো না
তুমি অবিনশ্বর, তুমিই বিপদে রক্ষার কান্ডারী,
রক্ষা কর প্রভু সম্ভ্রম জারজ ধর্ষণকারীর যৌনাঙ্গ থেকে
মানব জাতি আজ অসহায় তোমার করুণা ভিখারী।